এক্সক্লুসিভ

বিলিয়ন ডলারের রণতরী

বাংলাদেশের বিবেচনায় এগিয়ে তুরস্কের প্রস্তাব

স্টাফ রিপোর্টার

২৭ জুলাই ২০২১, মঙ্গলবার, ৮:৩৯ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ নৌবাহিনী তার বহু বিলিয়ন ডলারের ফ্রিগেট বা রণতরী নির্মাণ কর্মসূচি চূড়ান্ত করার উদ্দেশ্যে আরও এক ধাপ এগোলো। তুরস্কের ‘ডেইলি সাবাহ’ জানিয়েছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড বা সিডিডিএল-এর উদ্যোগে এই রণতরীতে নির্মাণ করা হবে অত্যাধুনিক মিসাইল সিস্টেম। বেশ কয়েকটি দেশ আড়াই বিলিয়ন ডলারের এই কর্মসূচিতে আগ্রহ দেখিয়েছিল। তাদের মধ্যে ছিল যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং দক্ষিণ কোরিয়া। তবে তুরস্ক, চীন, নেদারল্যান্ডস এবং ইতালি তাদের পেছনে ফেলে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় বলে ‘ডেইলি সাবাহ’র রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
তুরস্কের এসটিএম ডিফেন্স টেকনোলজিস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেড ইনকর্পোরেটেড-যারা মিলগেম (ন্যাশনাল শিপ) প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইস্তাম্বুল ফ্রিগেট তৈরি করেছে, তারা দৌড়ে এগিয়ে আছে। সূত্র বলছে, একদিকে যেমন এটি ব্যয়ের অঙ্ক কমাচ্ছে অন্যদিকে তুরস্কের অত্যাধুনিক সেন্সর এবং রকেট এই রণতরীতে সম্পৃক্ত করার সুযোগ থাকছে। বাকি তিনটি দেশের বিড তুরস্কের মতো উপযুক্ত না হওয়ার মূল কারণ হলো- তারা হয় আরও ব্যয়বহুল নতুবা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ্তুঞুঢ়ব ০৫৪ ভৎরমধঃব্থ- তৈরির জন্য চীন প্রায় ৩৭৮ মিলিয়ন ডলারের দর হেঁকেছে।
সেই সঙ্গে সিডিডিএলের থেকে বেশি অংশের শেয়ার তারা নিজেদের হাতে রাখতে চাইছে, যাতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সায় নেই। ঞুঢ়ব ০৫৪ ভৎরমধঃব- এই রণতরী ২০০৭ সালে চীনা সৈন্যরা প্রথম ব্যবহার করে, যা ৪ হাজার টন পর্যন্ত মাঝারি পরিসরের বিমান, প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র, এন্টি-শিপ মিসাইল বহনে সক্ষম। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে একটি এন্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার রকেট লঞ্চার সিস্টেমও রয়েছে। আলোচনায় ছিল নেদারল্যান্ডসের প্রস্তাবটিও। ডামেন এবং সিডিডিএলের সম্মিলিত প্রস্তাবটি বাংলাদেশের নৌবাহিনীর চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কারণ প্রয়োজন মতো এতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো প্রযুক্তি সম্পৃক্ত করার ব্যবস্থা নেই। ইতালির প্রস্তাবটি সব থেকে বেশি পছন্দ হয়েছিল বাংলাদেশের নৌবাহিনীর। ইতালি আমেরিকাকে বহুমুখী ক্ষমতাসম্পন্ন একটি রণতরী ডিজাইন করে দিয়েছিলো। তবে ইতালির প্রস্তাবটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই সবদিক বিচার করে আপাতত তুরস্কের প্রস্তাব নিয়েই ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এর একটি বাড়তি সুবিধাও আছে। তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হলে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এন্টি-শিপ মিসাইলের সাবসিস্টেমগুলোর রপ্তানির জন্য দরজা খুলে যাবে। যদি তুরস্ক এই প্রকল্প গ্রহণ করে তাহলে তুর্কি শিপবিল্ডার এবং সিডিডিএল’র মধ্যে সহযোগিতার পথ প্রশস্ত হবে। তুরস্ক ইস্তাম্বুল ফ্রিগেট নির্মাণে শীর্ষস্থানীয় দুটি প্রতিরক্ষা সংস্থা এসেলসান এবং হাভেলসানকে তাদের প্রধান ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে রেখেছিলো। এটিতে প্রায় ৮০ জন সাব-কন্ট্রাক্টর রয়েছেন যারা ১৫০টিরও বেশি সিস্টেমে কাজ করেছেন। এই সাব- কন্ট্রাক্টরের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ তুরস্কের এবং বাকিরা আন্তর্জাতিক কোম্পানি। তুরস্কের এই রণতরীর ডিফেন্স সিস্টেম ভূপৃষ্ঠ থেকে বায়ুতে আঘাত হানতে সক্ষম, সেই সঙ্গে মাঝারি পরিসরের বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতেও পারে। অত্যাধুনিক ত্রি-মাত্রিক রাডারগুলোও জাহাজে সংযুক্ত করা হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status