ভারতের কারাগারে বন্দি ৭ বাংলাদেশি

ভারতের কারাগারে বন্দি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার সমন্বয় পাড়া গ্রামের ৭ বাংলাদেশির মুক্তির জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্বজনরা। ইট ভাটায় কাজ শেষে সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে আসার সময় ভারতীয় বিএসএফ তাদের আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে। পরে গত ৬ই জুলাই পরিবারের পক্ষ থেকে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করে তাদের মুক্তির জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। জানা গেছে, ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের রেওয়ারি জেলার নাহারলাখি গ্রামের ইট ভাটায় সপরিবারে র্দীঘদিন ধরে কাজ করতেন ওই ৭ বাংলাদেশি। এক পর্যায়ে দেশে ফেরত আসার জন্য কোচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার সীমান্তবর্তী খারুবাজ এলাকার দালাল আমিনুল মণ্ডলের বাড়িতে আসেন। সেখান থেকে গত ৪ঠা জুলাই ভোরে সীমান্ত অতিক্রম করার সময় ভারতীয় ১২৯ ব্যাটালিয়নের অধীন সাহেবগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করেন। পরে তাদেরকে থানায় সোপর্দ করে। একই পরিবারের ওই সাত বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুরুষদের দিনহাটা এবং নারী ও শিশুদের কোচবিহার কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ভারতের কারাগারে থাকা বাংলাদেশিরা হলেন- সোনা মিয়া (৫২) তার স্ত্রী শেফালী (৪২) ছেলে হাবিবার (১৮) অপর ছেলে নুরনবী মিয়া (২৪) নুরনবীর স্ত্রী শালিমা বেগম (১৮) নুরনবীর ছেলে সাকিবুল ইসলাম (৭) মেয়ে নুরনাহার (৫)।
ছিটমহল আন্দোলনের সাবেক নেতা গোলাম মোস্তফা খান জানান, ভারতে আটককৃত সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তারা বাংলাদেশ সরকারের ২০১৬ সালের গেজেটভুক্ত। তাদের মুক্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম আবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের নাগরিকত্বের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তারা বাংলাদেশি নিশ্চিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।