বাংলারজমিন
অনাবাদি পদ্মার চরে বাদাম চাষে সাফল্য
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
২৮ জুলাই ২০২১, বুধবার, ৭:৪৭ অপরাহ্ন
অনাবাদি পদ্মার চরে চিনাবাদাম চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চাষিরা। পদ্মার বিস্তীর্ণ চরে চাষ করা সোনালী ফসল বাদাম ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। অর্থকরী এ ফসল চাষ করে সংসারের সচ্ছলতাও ফিরেছে চরবাসীর। তবে হঠাৎ করে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে অনেক চাষির বাদাম পানিতে ভেসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দৌলতপুরের বিস্তীর্ণ চরে চাষ হয়েছে ৮৮০ হেক্টর জমিতে। এক সময় পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা বালুচর পতিত থাকতো। যা চাষিদের কোনো কাজেই আসতো না। এখন জেগে ওঠা পদ্মার চরে চাষিরা চিনাবাদাম চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় এ অর্থকরী ফসলের চাষ পুরো চরে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বছরও চরে বাদাম চাষ করে চাষিরা সাফল্য পেয়েছেন। খরচ বাদ দিয়ে চাষিদের লাভও হচ্ছে। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে মাত্র ৫-৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় বাদাম হয়েছে ৫-৭ মণ হারে। আর বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকা থেকে ২২০০ টাকা মণ দরে। তবে হঠাৎ পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে অনেক চাষির বাদাম পানিতে ভেসে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়রে কোলদিয়াড় গ্রামের বাদাম চাষি উজ্জ্বল হোসেন জানান, তিনি এ বছর চরের ৫ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছিলেন। বাদামের ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু পদ্মা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধির ফলে কিছু বাদাম ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ গ্রামের বাদাম চাষি আব্দুল জব্বার জানান, এ বছর চরের ৭ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। বিঘা প্রতি ৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে ৬ মণ হারে বাদাম পেয়েছেন তিনি। বাদাম চাষিদের প্রশিক্ষণ ও সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি চরাঞ্চলের সার্বিক সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম। চরাঞ্চলের যেসব জমি অনাবাদি পড়ে থাকে সেসব জমি অর্থকরী সোনালী ফসল বাদাম চাষের আওতায় আনা গেলে চরবাসীর সারা বছরের আর্থিক চাহিদা পূরণ হবে, পাশাপাশি দেশের বাদামের চাহিদা মিটবে।