বাংলারজমিন
বাঁশের সাঁকোই ভরসা
আলাউদ্দিন কবির, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) থেকে
২৭ জুলাই ২০২১, মঙ্গলবার, ৮:৫৮ অপরাহ্ন
চার যুগ ধরে কুলাউড়ার একটি সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন জয়চণ্ডি ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের হাজারো মানুষ। দাবিটি সংশ্লিষ্টদের প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ থাকায় এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত একটি বাঁশের সাঁকোতে ভোগান্তি নিয়ে পারাপার করছেন। স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি ৪ গ্রামের ১০ সহস্রাধিক মানুষের একমাত্র ভরসা। জানা যায়, উপজেলার জয়চণ্ডি ইউনিয়নের গোগালীছড়া নদীর উপর দিয়ে নির্মিত ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ওই সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে অনেক রোগীর স্বজনদের পোহাতে হয় নানা ভোগান্তি। শিক্ষার্থীদের নানা রকম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। শিশু থেকে বয়স্করা নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে পারাপার হচ্ছেন ওই সাঁকো দিয়ে। দেশ স্বাধীনের পর থেকে আবুতালিপুর, রামপাশা, মিঠুপুর ও বেগমানপুর গ্রামের হাজারো মানুষ একটি সেতুর জন্য হাহাকার করলেও কেউ কোনো কর্ণপাত করছেন না। সরজমিন দেখা যায়, গোগালীছড়া নদীতে কয়েকটি পাকা ও বাঁশের খুঁটি পুঁতে রাখা হয়েছে। অধিকাংশ খুঁটি একপাশে কাত হয়ে গেছে। এর ওপর বাঁশ ফেলে নির্মিত হয়েছে সাঁকো। স্থানীয় দিলদারপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রহমত আলী ও বন্দে আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ওই সাঁকো ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। টানা কয়েক দিন বৃষ্টি হলে নদীতে পানি বেড়ে যায়। এতে কোমলমতি শিশু, বৃদ্ধ, রোগী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের উপর দিয়ে নদী পার হয়। দিলদারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুপিয়া বেগম বলেন, এখানে একটি সেতু খুবই জরুরি। সাধারণ লোকজন ছাড়াও অনেক শিক্ষার্থীরা এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে। স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য বিমল দাস বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য এলাকার লোকজনকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। অনেক প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। কিন্তু আজও সেতু পাইনি। জয়চণ্ডি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন আহমদ কমরু জানান, গোগালিছড়া নদীতে একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার জানিয়েছি। কিন্তু কোনো আশ্বাস পাচ্ছি না। কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী খোয়াজুর রহমান জানান, সরজমিন পরিদর্শন করে সেতু নির্মাণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।