প্রথম পাতা

১৮ বছর বয়স হলেই টিকার নিবন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার

২৫ জুলাই ২০২১, রবিবার, ৯:৩৬ অপরাহ্ন

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বিঘ্ন রাখতে এবং অধিকাংশ নাগরিককে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে এখন থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে দেশের সকল নাগরিককেই ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। ইতিমধ্যেই সরকারের আইসিটি বিভাগের আওতাধীন জাতীয় সুরক্ষা অ্যাপে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকল নাগরিক যেন রেজিস্ট্রেশন করতে পারে সে ব্যাপারে একটি নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

গতকাল বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত  ‘কোভিডের ৩য় ঢেউ মোকাবিলায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ, অক্সিজেন সংকট, হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা ও শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি’ শীর্ষক একটি ভার্চ্যুয়াল সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় দেশের মানুষকে কোভিড মহামারি থেকে রক্ষা করতে ব্যাপক ভ্যাকসিনেশন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মুখে মাস্ক পরার গুরুত্ব তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে বর্তমানে দেশের জন্য সব থেকে অপরিহার্য কাজ ভ্যাকসিনেশনে দেশের সফলতার কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারের হাতে ১ কোটির উপরে ভ্যাকসিন রয়েছে। আগামী মাসের মধ্যেই আরও ২ কোটি ভ্যাকসিন সরকারের হাতে চলে আসবে। এভাবে চীন থেকে ৩ কোটি, রাশিয়া থেকে ৭ কোটি, জনসন অ্যান্ড জনসনের ৭ কোটি ভ্যাকসিন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ভ্যাকসিনসহ আগামী বছরের শুরুর দিকের মধ্যেই সরকারের হাতে প্রায় ২১ কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে। আশা করা যাচ্ছে, এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমেই দেশের অন্তত ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হবে সরকার।
গ্রামাঞ্চলে কোভিড রোগীদের শনাক্ত করার উদ্যোগ হিসেবে সরকার জেলা, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ ছাড়াও খুব দ্রুত ৪ হাজার চিকিৎসক, ৪ হাজার নার্স, ৫০০ এনেসথেসিয়া সহ প্রচুর টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কাজও এগিয়ে চলেছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রতিটি দেশই নিজ দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে উৎসাহ দিচ্ছে, প্রশংসা করছে; শুধু আমাদের দেশেই এই মহামারির সময়েও দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সমালোচনা করে চিকিৎসক, নার্সদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে বিশেষ কিছু মহল। অন্যদিকে, দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে গোটা বিশ্ব যখন প্রশংসা করছে তখন দেশের কিছু মহল স্বাস্থ্যখাত নিয়ে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে যাচ্ছে যা মোটেও কাম্য ছিল না। খাদ্যে ভেজাল  কেমিক্যাল মিশানো, নদী দখল, মানব পাচারের মতো বিষয়গুলো রেখে দেশের অতিমারি চলাকালীন অবস্থায় স্বাস্থ্যখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে যেভাবে ঢালাওভাবে সমালোচনা করা হচ্ছে সেটিকে দুঃখজনক আখ্যা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ)’র সভাপতি বলেন, দেশের ক্রান্তিকালে যখনই সরকার ডেকেছে তখন দেশের প্রাইভেট মেডিকেল এগিয়ে এসেছে। আগামীতেও যখন সরকার ডাকবে প্রাইভেট মেডিকেলগুলো সেভাবেই সরকারের পাশে দাঁড়াবে। করোনাকালীন এই দুর্যোগেও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ)’র সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আরও ২ হাজার কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড শয্যা বৃদ্ধি করছে এবং ভবিষ্যতেও সরকারের পাশে থাকবে।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, জাপান ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বিপিএমসিএ’র চেয়ারম্যান ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিপিএমসিএ’র সহ-সভাপতি ডা. মাঈনুল আহসান,  পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান এবং বিপিএমসিএ’র সহ-সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান এবং বিপিএমসিএ’র সাধারণ সম্পাদক ড. আনোয়ার হোসেন খান, এমপি, ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও পরিচালক, এফবিসিসিআই ও প্রেসিডেন্ট (ইনচার্জ), বিসিআই প্রীতি চক্রবর্তী প্রমুখ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status