বিশ্বজমিন
মিয়ানমারের কুখ্যাত ইনসেইন কারাগারে দাঙ্গা!
মানবজমিন ডেস্ক
২৪ জুলাই ২০২১, শনিবার, ৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
মিয়ানমারের কুখ্যাত ইনসেইন কারাগারে দাঙ্গা শুরু হয়েছে। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন। অন্যরা বলছেন, কারাবন্দিরা বিক্ষোভ করেছেন ভিতরে। ভিতর থেকে সামরিক জান্তাবিরোধী স্লোগান দেয়া হয়। বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত এই কারাগারে রাখা হয়েছে অভ্যুত্থানের পর গ্রেপ্তার করা বিরোধী নেতাকর্মীদের। অধিকারকর্মীরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ায় ওই জেলখানার ভিতরে পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হচ্ছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন কারাবন্দিরা। এ সময় তারা ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’। বিক্ষোভ বিক্ষোভ। গণঅভ্যুত্থান অবশ্যই বিজয়ী হবে- এসব স্লোগান দিতে থাকেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
এতে আরো বলা হয়, অভ্যুত্থানের পর এটাই এ ধরনের প্রথম বিক্ষোভ মিয়ানমারে। দেশটিতে প্রতিদিনই জনগণ সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। তারই অংশ হিসেবে ঔপনিবেশিক আমলের ইনসেইন জেলখানার ভিতরে বিক্ষোভ হয় শুক্রবার। সেখান থেকে যেসব ভিডিও বাইরে এসেছে তাতে বিক্ষোভকারীদের ওইসব স্লোগান দিতে দেখা যায়। থাইল্যান্ডভিত্তিক অধিকার বিষয়ক গ্রুপ অ্যাসিসট্যান্স এসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) বলেছে, এই বিক্ষোভ শুরু হয় নারী বন্দিদের ব্লক থেকে। পরে তাতে সমর্থন দেন বেশ কিছু কারারক্ষী।
মিয়ানমার প্রিজন ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি পরিচালক চ্যান নিইন কাইওয়া রাষ্ট্র পরিচালিত মিডিয়া মায়াবতীকে বলেছেন, জেলখানার ভিতর দাঙ্গা হয়েছে। এ নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চলছে এবং বন্দিদের দাবি ও অনুরোধ মেনে নেয়ার চেষ্টা চলছে। এএপিপি বলেছে, শুক্রবার দিনের শুরুতে ওই কারাগারে প্রবেশ করে সেনাবাহিনী। তারা স্টাফদের অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করেছে। এ বিষয়ে ফোন করা হলে তার উত্তর দেননি জেল মুখপাত্র জাওয়া জাওয়া। তবে তিনি স্থানীয় মিডিয়াকে বলেছেন, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এবং সবার মৌলিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে দৃষ্টি রেখে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ৯টি সদস্য দেশের কূটনীতিকরা। ইনসেইন কারাগার এবং অন্য কারগারে বন্দি সবার যথাযথ মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এ মাসের শুরুর দিকে এই কারাগার থেকে কমপক্ষে দুই হাজার বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমার। এর মধ্যে রয়েছেন কিছু সাংবাদিক। তাদেরকে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। এএপিপি বলেছে, কারাবন্দিদের চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত না করায় বিক্ষোভ হয়েছে। এমনকি জেলখানার স্টাফদেরকেও দেয়া হয়নি কোভিড-১৯ সুরক্ষা। ক্ষমতাচ্যুত অং সান সুচির সিনিয়র উপদেষ্টা নাইয়ান উইন মঙ্গলবার হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি কারাগারে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
অন্যদিকে লন্ডনে অবস্থিত দূতাবাসে অস্থায়ীভিত্তিতে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে হতুন অং কাইওয়াকে নিয়োগ দিয়েছে মিয়ানমার। সামরিক সরকারের অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য রাষ্ট্রদূত কাইওয়া জাওয়ার মিনকে সরিয়ে সেখানে নতুন এই দূতকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বৃটেনও শুক্রবার মিয়ানমারে নতুন রাষ্ট্রদূত পিটি ভোলসকে নিয়োগ দিয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, অভ্যুত্থানের পর এটাই এ ধরনের প্রথম বিক্ষোভ মিয়ানমারে। দেশটিতে প্রতিদিনই জনগণ সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। তারই অংশ হিসেবে ঔপনিবেশিক আমলের ইনসেইন জেলখানার ভিতরে বিক্ষোভ হয় শুক্রবার। সেখান থেকে যেসব ভিডিও বাইরে এসেছে তাতে বিক্ষোভকারীদের ওইসব স্লোগান দিতে দেখা যায়। থাইল্যান্ডভিত্তিক অধিকার বিষয়ক গ্রুপ অ্যাসিসট্যান্স এসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) বলেছে, এই বিক্ষোভ শুরু হয় নারী বন্দিদের ব্লক থেকে। পরে তাতে সমর্থন দেন বেশ কিছু কারারক্ষী।
মিয়ানমার প্রিজন ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি পরিচালক চ্যান নিইন কাইওয়া রাষ্ট্র পরিচালিত মিডিয়া মায়াবতীকে বলেছেন, জেলখানার ভিতর দাঙ্গা হয়েছে। এ নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চলছে এবং বন্দিদের দাবি ও অনুরোধ মেনে নেয়ার চেষ্টা চলছে। এএপিপি বলেছে, শুক্রবার দিনের শুরুতে ওই কারাগারে প্রবেশ করে সেনাবাহিনী। তারা স্টাফদের অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করেছে। এ বিষয়ে ফোন করা হলে তার উত্তর দেননি জেল মুখপাত্র জাওয়া জাওয়া। তবে তিনি স্থানীয় মিডিয়াকে বলেছেন, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এবং সবার মৌলিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে দৃষ্টি রেখে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ৯টি সদস্য দেশের কূটনীতিকরা। ইনসেইন কারাগার এবং অন্য কারগারে বন্দি সবার যথাযথ মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এ মাসের শুরুর দিকে এই কারাগার থেকে কমপক্ষে দুই হাজার বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমার। এর মধ্যে রয়েছেন কিছু সাংবাদিক। তাদেরকে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। এএপিপি বলেছে, কারাবন্দিদের চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত না করায় বিক্ষোভ হয়েছে। এমনকি জেলখানার স্টাফদেরকেও দেয়া হয়নি কোভিড-১৯ সুরক্ষা। ক্ষমতাচ্যুত অং সান সুচির সিনিয়র উপদেষ্টা নাইয়ান উইন মঙ্গলবার হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি কারাগারে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
অন্যদিকে লন্ডনে অবস্থিত দূতাবাসে অস্থায়ীভিত্তিতে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে হতুন অং কাইওয়াকে নিয়োগ দিয়েছে মিয়ানমার। সামরিক সরকারের অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য রাষ্ট্রদূত কাইওয়া জাওয়ার মিনকে সরিয়ে সেখানে নতুন এই দূতকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বৃটেনও শুক্রবার মিয়ানমারে নতুন রাষ্ট্রদূত পিটি ভোলসকে নিয়োগ দিয়েছে।