বাংলারজমিন
গণধর্ষণের ভিডিও ধারণ, অপমানে জীবন দিলো স্কুলছাত্রী
কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
২৩ জুলাই ২০২১, শুক্রবার, ৩:১৭ অপরাহ্ন
কাউখালীতে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করেছে ৫ বখাটে। এরপর বখাটেরা ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেয় স্কুলছাত্রীকে। এতে অপমানে কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় কাউখালী থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা হয়েছে। পুলিশ এক বখাটেকে আটক করেছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার ছোট বিড়ালজুড়ি গ্রামে সেলিম হোসেনের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ও কাঠালিয়া স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আক্তার (১৫)কে একই উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামের তোফাজ্জেল খানের ছেলে সজীব খান (২৪), মোঃ জাকির হোসেন খান এর ছেলে মো. সাকিল (২৩) এবং হাবিব মীরের ছেলে মো. আকাশ মীর(২৪) সহ ৪-৫জন প্রায়ই কিশোরী মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতো। এক পর্যায় গত ১৬ই জুলাই কিশোরী মেয়েটিকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে বখাটেরা স্থানীয় হাবিব মীরের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে বখাটেরা স্কুল ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং আপত্তিকর দৃশ্যগুলো মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তী সময় আবারও তাকে ওই কিশোরীকে বখাটেরা মোবাইল ফোনে কু-প্রস্তাব দেয়। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আপত্তিকর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে মোবাইল ফোনে হুমকী ও ভয় দেয়। বখাটেরা আরও বলে, আমাদের কথা না শুনলে তখন তোর আত্মহত্যা ছাড়া কোন গতি থাকবে না। তখন কিশোরী মেয়েটি লোকলজ্জার ভয়ে, ক্ষোভে, দুঃখে ঘরের বারান্দায় ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। অতঃপর গত ১৭ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ ব্যাপারে কিশোরীর বাবা সেলিম হাওলাদার বাদী হয়ে ৫ জনের নামে কাউখালী থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ও আত্মহত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শাকিল হোসেন (২৩) নামে এক আসামীকে আটক করেন। এ বিষয়ে কাউখালী থানা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বনী আমিন জানান, কিশোরীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা হয়েছে এবং আসামী একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার ছোট বিড়ালজুড়ি গ্রামে সেলিম হোসেনের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ও কাঠালিয়া স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আক্তার (১৫)কে একই উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামের তোফাজ্জেল খানের ছেলে সজীব খান (২৪), মোঃ জাকির হোসেন খান এর ছেলে মো. সাকিল (২৩) এবং হাবিব মীরের ছেলে মো. আকাশ মীর(২৪) সহ ৪-৫জন প্রায়ই কিশোরী মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতো। এক পর্যায় গত ১৬ই জুলাই কিশোরী মেয়েটিকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে বখাটেরা স্থানীয় হাবিব মীরের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে বখাটেরা স্কুল ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং আপত্তিকর দৃশ্যগুলো মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তী সময় আবারও তাকে ওই কিশোরীকে বখাটেরা মোবাইল ফোনে কু-প্রস্তাব দেয়। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আপত্তিকর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে মোবাইল ফোনে হুমকী ও ভয় দেয়। বখাটেরা আরও বলে, আমাদের কথা না শুনলে তখন তোর আত্মহত্যা ছাড়া কোন গতি থাকবে না। তখন কিশোরী মেয়েটি লোকলজ্জার ভয়ে, ক্ষোভে, দুঃখে ঘরের বারান্দায় ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। অতঃপর গত ১৭ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ ব্যাপারে কিশোরীর বাবা সেলিম হাওলাদার বাদী হয়ে ৫ জনের নামে কাউখালী থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ও আত্মহত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শাকিল হোসেন (২৩) নামে এক আসামীকে আটক করেন। এ বিষয়ে কাউখালী থানা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বনী আমিন জানান, কিশোরীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা হয়েছে এবং আসামী একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।