বিশ্বজমিন
ইউরোপে অর্ধেক মানুষকে টিকা দিলেও আতঙ্ক
মানবজমিন ডেস্ক
২৩ জুলাই ২০২১, শুক্রবার, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বলেছে, পুরো ইউরোপে প্রাপ্ত বয়স্কদের অর্ধেকেরও বেশি মানুষকে পুরোপুরি টিকা দেয়া হয়েছে। একে এক মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ, দ্রুত বিস্তারের ক্ষমতা সম্পন্ন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি করেছে। এই ঢেউ ইউরোপেও আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বলেছে, ইউরোপের ২০ কোটি মানুষকে পুরোপুরি টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন প্রাপ্ত বয়স্কদের অর্ধেকের বেশি। তা সত্ত্বেও গ্রীষ্মের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়ার টার্গেট ধরা হয়েছিল। সেই টার্গেট অর্জন এখনও অনেকটা বাকি। এসব তথ্য এমন এক সময়ে এলো যখন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল বলেছেন, তার দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে সূচকীয় গতিতে। তিনি আরো জার্মানকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তিনি। এ সময় মারকেল বলেন, কয়েকদিন ধরে আবার নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমার দৃষ্টিতে এটা এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। সব কিছু ঘটছে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জন্য।
সাত দিনে প্রতি এক লাখ মানুষে জার্মানিতে আক্রান্তের হার ১২.২ ভাগ। জুলাইয়ের শুরুতে যে হার ছিল, এ সংখ্যা তার দ্বিগুণেরও বেশি। অ্যাঙ্গেলা মারকেল বলেন, নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আমাদেরকে আরো নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করতে হতে পারে। উল্লেখ্য, ইউরোপের বেশ কিছু দেশে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর জন্য দায়ী করা হয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে।
ওদিকে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রধান ক্রিস্টিন লগার্ড সতর্কতা দিয়েছেন। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এই ব্যাংক ইউরোজোনের জন্য বিশাল প্রণোদনার ব্যবস্থা রেখেছে। ক্রিস্টিন লগার্ড বলেন, ইউরো জোনের অর্থনীতি আবার শক্তিশালীভাবে উঠে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সেই ধারাকে পশ্চাতে নিয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে সেবাখাত, পর্যটন এবং অন্যান্য সার্ভিসের ক্ষেত্রে।
এ সপ্তাহে সব রকম ইভেন্টের জন্য কথিত হেলথ পাসের নতুন নিয়ম চালু করেছে ফ্রান্স। এর ফলে আগস্টে কোনো রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং শপিং সেন্টারে ৫০ জনের বেশি সমবেত হওয়া যাবে না। যেকোনো সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে জনগণকে প্রমাণ দেখাতে হবে যে, তারা টিকা নিয়েছে অথবা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এসেছে। মে মাসের শুরুর পরে বুধবার ফ্রান্সে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এ সংখ্যা কমপক্ষে ২১ হাজার। ইতালিতেও একই রকম ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সরকার বলেছে, ৬ই আগস্ট থেকে যেকোনো সেবা বা অবসরমূলক কর্মকাণ্ডে প্রমাণ দেখাতে হবে যে, রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ টিকা নিয়েছেন। বৃটেনেও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সপ্তাহে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর এ ঘটনা দেখা গিয়েছে। অনেক সুপারমার্কেটের স্টাফদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। এ জন্য সুপারমার্কেটগুলোতে খাদ্য সরবরাহে সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
সাত দিনে প্রতি এক লাখ মানুষে জার্মানিতে আক্রান্তের হার ১২.২ ভাগ। জুলাইয়ের শুরুতে যে হার ছিল, এ সংখ্যা তার দ্বিগুণেরও বেশি। অ্যাঙ্গেলা মারকেল বলেন, নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আমাদেরকে আরো নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করতে হতে পারে। উল্লেখ্য, ইউরোপের বেশ কিছু দেশে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর জন্য দায়ী করা হয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে।
ওদিকে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রধান ক্রিস্টিন লগার্ড সতর্কতা দিয়েছেন। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এই ব্যাংক ইউরোজোনের জন্য বিশাল প্রণোদনার ব্যবস্থা রেখেছে। ক্রিস্টিন লগার্ড বলেন, ইউরো জোনের অর্থনীতি আবার শক্তিশালীভাবে উঠে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সেই ধারাকে পশ্চাতে নিয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে সেবাখাত, পর্যটন এবং অন্যান্য সার্ভিসের ক্ষেত্রে।
এ সপ্তাহে সব রকম ইভেন্টের জন্য কথিত হেলথ পাসের নতুন নিয়ম চালু করেছে ফ্রান্স। এর ফলে আগস্টে কোনো রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং শপিং সেন্টারে ৫০ জনের বেশি সমবেত হওয়া যাবে না। যেকোনো সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে জনগণকে প্রমাণ দেখাতে হবে যে, তারা টিকা নিয়েছে অথবা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এসেছে। মে মাসের শুরুর পরে বুধবার ফ্রান্সে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এ সংখ্যা কমপক্ষে ২১ হাজার। ইতালিতেও একই রকম ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সরকার বলেছে, ৬ই আগস্ট থেকে যেকোনো সেবা বা অবসরমূলক কর্মকাণ্ডে প্রমাণ দেখাতে হবে যে, রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ টিকা নিয়েছেন। বৃটেনেও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সপ্তাহে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর এ ঘটনা দেখা গিয়েছে। অনেক সুপারমার্কেটের স্টাফদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। এ জন্য সুপারমার্কেটগুলোতে খাদ্য সরবরাহে সঙ্কট দেখা দিয়েছে।