খেলা
ম্যাচ সেরা হয়েও আক্ষেপ সৌম্যর
স্পোর্টস ডেস্ক
২৩ জুলাই ২০২১, শুক্রবার, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
এবারের জিম্বাবুয়ে সফরে টেস্ট আর ওয়ানডে দলে সুযোগ ছিল না সৌম্য সরকারের। হারারেতে টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেয়ে ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিয়ে ঝলক দেখালেন তিনি। আর দলের জয় শেষে ম্যাচ সেরা হয়েও সৌম্য জানালেন আক্ষেপ।
হারারেতে বৃহস্পতিবার ১৫৩ রানের টার্গেটে মোহাম্মদ নাঈম শেখের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ১০২ রানের জুটি গড়েন সৌম্যর। ১০০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এসে জুটিতে প্রথমবার শতরানের দেখা পেল বাংলাদেশ। এদিন দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে উইকেট খোয়ান সৌম্য। কাঁটায় কাঁটায় করেন ৫০ রান।
বল হাতে একটি উইকেট নেয়ার সঙ্গে ফিল্ডিংয়েও সফল সৌম্য লুফে নেন একটি ক্যাচ। আর খেলা শেষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে তারই হাতে। পরে বিসিবির ভিডিও বার্তায় সৌম্য বলেন, ‘অবশ্যই হতাশ হয়েছি। রান আউট হয়েছি যদি আমি থাকতাম, শেষ করে আসতে পারতাম, তাহলে নিজের আত্মবিশ্বাসের জন্য তো ভালো হতোই, ম্যাচও অন্তত আরও দুই ওভার আগে শেষ হতে পারতো। ওদের বাঁহাতি স্পিনার ছিল, আমি থাকলে চার্জ করতে পারতাম।’
এই ম্যাচে অবশ্য তার ইনিংস শুরু করার কথাই ছিল না। নাঈমের সঙ্গে ওপেন করার কথা লিটন দাসের, সৌম্যর পজিশন ছিল তিন নম্বর। তবে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়ে বাইরে যান লিটন। ম্যাচের ইনিংস বিরতিতে কোচ রাসেল ডমিঙ্গো সৌম্যকে জানান ওপেন করার কথা।
শুরুতে খানিকটা অস্বস্তি ছিল তার ব্যাটে। এই ম্যাচের আগে জাতীয় দলের হয়ে তার সবশেষ ম্যাচ ছিল গত ১লা এপ্রিল, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি।
সৌম্য বলেন ‘চার মাস পর খেললাম (আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে), সবশেষ নিউজিল্যান্ডে খেলেছিলাম। আজকে (বৃহস্পতিবার) প্রথমে একটু নড়বড়ে লাগছিল। প্রথম কয়েকটি বলে যে শট খেলেছি, সব হাতে (ফিল্ডারের) চলে যাচ্ছিল। তখন নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলেছি যে একটু সময় নেয়া উচিত আমার। কয়েকটি বল খেলে একটি চার বা ছয় এলে তখন আবার নিজের মতো যাওয়া যাবে। ওটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। পরে যখন আমার পছন্দের একটি বল পেয়েছি, ছক্কা মেরেছি। আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি তখন।’
শুরুটা ধীরে করেছিলেন সৌম্যর উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী নাঈমও। প্রথম ৩ ওভারে তাই বাংলাদেশের রান ছিল কেবল ৯। তবে ওই সময়টায় তাড়াহুড়ো করবেন না বলেই ঠিক করেছিলেন তারা দুজন। সৌম্য বলেন, ‘প্রথম দিকে যখন রান আসছিল না, উইকেটে নাঈমের সঙ্গে কথা হচ্ছিল যে একটা ওভারে ১০-১২ রান হলেই পুষিয়ে নেয়া যাবে। নাঈম এক ওভারে তিন চার মারে, গতিটা তখন আমাদের দিকে আসে। এরপর আমরা সেটা চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছি।’