অনলাইন
নিম্ন মধ্যবিত্ত কি গরিব হয়ে যাচ্ছে?
সাজেদুল হক
২০ জুলাই ২০২১, মঙ্গলবার, ৬:২৬ অপরাহ্ন
১৬ মাস হলো। করোনার বিরুদ্ধে লড়ছে বাংলাদেশ। লড়ছে সারা দুনিয়াই। অনেক দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখন বিপর্যয়কর পরিস্থিতি। প্রতিদিনই হচ্ছে মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড। অল্পবয়সীদের মৃত্যুর হারও বাড়ছে। বিশেষত জুন মাসের শুরু থেকে এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, কিছু কিছু জায়গায় মনে হচ্ছে আমরা ভাইরাসের কাছে হেরে যাচ্ছি।
এটা করোনার সরাসরি আঘাতের ফল। কিন্তু কালান্তক এই ব্যাধি শুধু মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েই ক্ষ্যান্ত হচ্ছে না, কেড়ে নিচ্ছে জীবিকাও। টিসিবি’র লাইনে আমরা পাচ্ছি জীবনের নানা গল্প। উচ্চ বেতন পাওয়া চাকরিজীবী চাকরি হারিয়ে ধুঁকছেন এখন। বেতন কমে গেছে বহু মানুষের। ব্যবসা চলছে না হাজার হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর। গরীবের খাতা থেকে নাম কাটানো বহু মানুষ আবার গরিব হয়ে যাচ্ছেন।
গত পহেলা জুন দৈনিক প্রথম আলো’তে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, করোনার আগে ২০১৯ সাল শেষে দেশে দারিদ্র্যের হার নেমেছিল ২০ শতাংশে। তখন দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করতেন প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার কারণে গরিব মানুষের সংখ্যা বেশ বেড়েছে। গত এপ্রিল মাসে প্রকাশিত বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) জরিপে বলা হয়েছে, করোনার সময়ে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ নতুন করে গরিব হয়েছেন। এর মানে, সাড়ে তিন কোটি পুরোনো গরিবের সঙ্গে নতুন আড়াই কোটি গরিব যুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে গরিবের সংখ্যা ছয় কোটির মতো।
এইসব জরিপ অবশ্য মানতে নারাজ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এটা সত্য করোনার এই আঘাত সবার জীবনে সমান প্রভাব ফেলেনি। অতি ধনীদের আয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে বরং বেড়েছে। দেশে আমরা বিশ হাজার কোটি কালো টাকা সাদা হতে দেখেছি। কোটিপতির সংখ্যাও বেড়েছে।
কিন্তু নিশ্চিত করেই বলা যায় এই দল সংখ্যা গরিষ্ঠ নয়। বরং অন্য দলটিই বড়। করোনায় আমরা বহু মানুষকে ঢাকা ছাড়তে দেখেছি। একটি ট্রাক বা পিকআপে কীভাবে তারা জীবনের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি টেনেছেন তার কিছু কিছু চিত্র সংবাদমাধ্যমে এসেছে। চাকরি সংকটের কথা বলেছি আগেই।
লাখ লাখ মানুষ দীর্ঘ প্রচেষ্টায় তাদের জীবনে বদল এনেছিল। করোনা তাদের জন্য নিয়ে এসেছে ভাগ্য বিপর্যয়। জীবন থেমে থাকে না। তারা নিশ্চয় ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকার ও সামর্থ্যবানদের উচিত তাদের পাশে থাকা। এ আঁধার একদিন কেটে যাবে।
এটা করোনার সরাসরি আঘাতের ফল। কিন্তু কালান্তক এই ব্যাধি শুধু মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েই ক্ষ্যান্ত হচ্ছে না, কেড়ে নিচ্ছে জীবিকাও। টিসিবি’র লাইনে আমরা পাচ্ছি জীবনের নানা গল্প। উচ্চ বেতন পাওয়া চাকরিজীবী চাকরি হারিয়ে ধুঁকছেন এখন। বেতন কমে গেছে বহু মানুষের। ব্যবসা চলছে না হাজার হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর। গরীবের খাতা থেকে নাম কাটানো বহু মানুষ আবার গরিব হয়ে যাচ্ছেন।
গত পহেলা জুন দৈনিক প্রথম আলো’তে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, করোনার আগে ২০১৯ সাল শেষে দেশে দারিদ্র্যের হার নেমেছিল ২০ শতাংশে। তখন দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করতেন প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার কারণে গরিব মানুষের সংখ্যা বেশ বেড়েছে। গত এপ্রিল মাসে প্রকাশিত বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) জরিপে বলা হয়েছে, করোনার সময়ে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ নতুন করে গরিব হয়েছেন। এর মানে, সাড়ে তিন কোটি পুরোনো গরিবের সঙ্গে নতুন আড়াই কোটি গরিব যুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে গরিবের সংখ্যা ছয় কোটির মতো।
এইসব জরিপ অবশ্য মানতে নারাজ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এটা সত্য করোনার এই আঘাত সবার জীবনে সমান প্রভাব ফেলেনি। অতি ধনীদের আয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে বরং বেড়েছে। দেশে আমরা বিশ হাজার কোটি কালো টাকা সাদা হতে দেখেছি। কোটিপতির সংখ্যাও বেড়েছে।
কিন্তু নিশ্চিত করেই বলা যায় এই দল সংখ্যা গরিষ্ঠ নয়। বরং অন্য দলটিই বড়। করোনায় আমরা বহু মানুষকে ঢাকা ছাড়তে দেখেছি। একটি ট্রাক বা পিকআপে কীভাবে তারা জীবনের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি টেনেছেন তার কিছু কিছু চিত্র সংবাদমাধ্যমে এসেছে। চাকরি সংকটের কথা বলেছি আগেই।
লাখ লাখ মানুষ দীর্ঘ প্রচেষ্টায় তাদের জীবনে বদল এনেছিল। করোনা তাদের জন্য নিয়ে এসেছে ভাগ্য বিপর্যয়। জীবন থেমে থাকে না। তারা নিশ্চয় ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকার ও সামর্থ্যবানদের উচিত তাদের পাশে থাকা। এ আঁধার একদিন কেটে যাবে।