বাংলারজমিন

‘মুজিববর্ষের উপহারের ঘরে ফাটল’

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে

২০ জুলাই ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:১৫ অপরাহ্ন

 মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরূপ ভূমিহীন-গৃহহীনদের জন্য নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের জগদানন্দ গ্রামে নির্মিত ১৭টি ঘরের মধ্যে অধিকাংশ ঘরের মেঝে, দেয়াল ও পিলারে ফাটল ধরেছে। ভেঙে গেছে একাধিক ঘরের দরজা-জানালা। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় টয়লেটগুলোও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে সেখানকার উপকারভোগী পরিবারগুলোর সদস্যদের। জানাগেছে, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরূপ ভূমিহীন-গৃহহীনদের জন্য কবিরহাটে মোট ৭৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে জগদানন্দ গ্রামে তৈরি হয়েছে ১৭টি ঘর। আক্তারের খেফায় ৩৫টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। অন্যান্য জায়গায় রয়েছে ২২টি ঘর। প্রতিটি ঘর তৈরিতে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। গত ২৩শে জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ঘরগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়। সেমি-পাকা দুই কক্ষ বিশিষ্ট এসব ঘরে সংযুক্ত একটি রান্নাঘর ও টয়লেট রয়েছে। সরজমিন কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের জগদানন্দ গ্রামে গিয়ে গেলে উপকারভোগী মো. রাশেদ বলেন, আমার কোনো জমি বা ঘর ছিল না। উপহারের ঘর পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি। কিন্তু ঘরে বসবাসের ৬ মাস না যেতেই আমার ঘরের জানালা খুলে পড়ে যাচ্ছে। দেওয়াল ও ফ্লোরেও ফাটল ধরেছে। ঘর নির্মাণের সময়ে নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার ও পর্যাপ্ত সিমেন্ট দেয়া হয়নি। ঘরের এসব সমস্যায় প্রতিনিয়তই এখানে ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। উপকারভোগী ইউসুফ নবীর মা বললেন, এখানে থাকতে ইচ্ছা করেনা। বাথরুমের দরজা দিতাম পারিনা বাথরুমে পানি জমে থাকে। দরজা আলগা হয়ে গেছে। ফ্লোর ফাইট্টা গেছে। চাল দিয়ে পানি পড়ে। একই কথা বললেন উপকারভোগী আবুল কালামের স্ত্রী রোজিনা আক্তার। তিনি বলেন, বৃষ্টি আসলে বাথরুমের স্লাভের ওপরে পানি উঠে যায়। দুর্গন্ধে খাওয়া-দাওয়া করা যায় না।
এসব বিষয়ে জানতে ঘরগুলো নির্মাণের তত্ত্বাবধানে থাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা আক্তার জানান, ঘরগুলো বাস্তবায়নের সময় তিনি এ উপজেলায় ছিলেন না। তিনি বলেন, আমরা নিজেদের বাড়িতে বসবাসের জন্য কোনো ঘর নির্মাণ করলেও সেখানে টুকিটাকি কিছু সমস্যা হয়। মুজিববর্ষের উপহারের এ ঘরগুলোর মধ্যে দু-একটিতে যে সমস্যা হয়েছে তা ১৮ জুলাই লোক পাঠিয়ে মেরামত করে দেয়া হয়েছে। টয়লেটের পানি নিষ্কাশনের জন্য ঘরের পাশে ড্রেন নির্মাণ করে দেয়া হবে। তবে উপকারভোগী আনোয়ার হোসেন জানান, উপজেলা থেকে লোক এসে দেওয়াল ও পিলারের ফাটা কিছু অংশে আস্তরণ লাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ভেঙে পড়া দরজা-জানালা মেরামত করেনি। বাথরুমের সমস্যাও সমাধান হয়নি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status