শেষের পাতা
ঝুঁকি নিয়েই ঢাকা ছাড়ছে মানুষ
নূরে আলম জিকু
১৯ জুলাই ২০২১, সোমবার, ৯:২৫ অপরাহ্ন
স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে লঞ্চে এভাবেই বাড়ি ফিরছে মানুষ ছবি: শাহীন কাওসার
করোনায় বিপর্যস্ত দেশ। সংক্রমণের গতি আগের তুলনায় বেড়েছে কয়েকগুণ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব মতে গত কয়েকদিন ধরে করোনার মৃত্যুর সংখ্যা ২ শতাধিকের অধিক। আক্রান্তের সংখ্যাও কমছে না। এ ছাড়া প্রতিদিনই উপসর্গ ও লক্ষণ নিয়ে মারা যাচ্ছেন আরও অনেকে।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে করোনা সংক্রমণকে উপেক্ষা করে ঢাকা ছাড়ছেন নগরবাসী। তীব্র গরম ও যানজটের চরম ভোগান্তির মধ্যেও ছুটছেন ঘরমুখী মানুষ। নাড়ির টানে বাড়ি যেতে বাস, ট্রেন, ফেরিসহ লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে উপচে পড়া ভিড় করছেন তারা। এতে করোনা ঝুঁকি আছে জেনেও ভিড় ঠেলে উঠছেন বিভিন্ন গণপরিবহনে। অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন মালবাহী ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন মোটরযানে। এসব যানবাহনে গাদাগাদি করে বসেছেন তারা। মানছেন না কোনো স্বাস্থ্যবিধি।
অনেকেই বলছেন, সারা বছরই কর্মস্থানে আর রাজধানীতে বন্দি অবস্থায় সময় কাটে। ঈদের ছুটি তাদের কাছে অন্যরকম অনুভূতি। এই সময়ে সকল বাধা কিংবা স্বাস্থ্যঝুঁকি তাদের কাছে তুচ্ছ। এজন্য ঈদের আনন্দ স্বজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে গ্রামে ফিরছেন। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করায় সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সরজমিন দেখা যায়, রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলো থেকে একের পর এক ছেড়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী বাস। যাত্রী কিংবা পরিবহন সংশ্লিষ্টদের কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। দূরপাল্লার গণপরিবহনগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা মানা হলেও ছোট পরিবহনে তা মোটেও মানা হচ্ছে না। অনেকেই নির্দিষ্ট গন্তেব্যের গণপরিবহন না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ টার্মিনালে। দিনভর দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়েও বাড়ি ফেরার অপেক্ষা করছেন কেউ কেউ। মহাখালী টার্মিনালে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন কুড়িগ্রামের মুজিবুর রহমান। তিনি জানান, ঈদের পর গার্মেন্ট বন্ধ থাকবে। তখন ঢাকায় কি করবো। আগেই গ্রামে ফিরে যাচ্ছি। ফিরতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হলেও কিছু করার নেই। ছেলে মেয়েদের সঙ্গে ঈদের উৎসবটাও অনেক আনন্দের।
মিলন হাওলাদার নামের এক যাত্রী বলেন, করোনার ভয় আছে। তবুও যাচ্ছি। বাড়িতে গিয়ে কোরবানি গরু কিনতে হবে। আমার ওপরে আমার পরিবার নির্ভরশীল। সবার মন রক্ষায় স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে ঢাকা ছাড়তে হচ্ছে। ঈদের পরদিন ফের ঢাকায় ফিরতে হবে। মাত্র ২/৩ দিনের জন্য ভোগান্তি নিয়ে যাওয়া।
লকডাউন শিথিলের পর গতকালও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ভিড় করেছেন ঢাকা সদরঘাটসহ মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাতায়াতের কথা থাকলেও অতিরিক্তযাত্রী নিয়েই ঘাট ছেড়েছে বেশির ভাগ যাত্রীবাহী লঞ্চ ও ফেরি। সকাল থেকে সদরঘাট কিছুটা ফাঁকা থাকলেও দুপুরের পর সেখানে ভিড় বাড়তে থাকে। পন্টুনের ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি থাকায় অনেককে টার্মিনালের বাহিরে অবস্থান করতে দেখা গেছে। অনেকেই হুড়োহুড়ি করে লঞ্চে উঠতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি করেছেন। লঞ্চের প্রবেশমুখে জীবাণুনাশক টানেল থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে না। যে যেভাবে পারছেন তড়িগড়ি করে জায়গা দখল করছেন। সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া অনেক লঞ্চের ডেকে বসা বেশির ভাগ যাত্রীর মুখে ছিল না কোনো মাস্ক। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে একে অপরের গা ঘেঁষে গাদাগাদি করে বসছেন কেউ কেউ। ফলে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা জেনেও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে।
নৌ-পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, টার্মিনালের ভেতরে ঢুকতে হলে মাস্ক পরে ঢুকতে হয়। মাস্ক ছাড়া কাউকে লঞ্চে উঠতে দেয়া হচ্ছে না। যাত্রীরা যাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাচল করে সেদিকে খেয়াল রাখছি। যাত্রীরা লঞ্চে ওঠার পরে মাস্ক খুলে রাখেন। স্বাস্থ্যবিধি ভুলে যান। গাদাগাদি করে বসেন। বারবার হ্যান্ডমাইক নিয়ে সচেতন হওয়ার বার্তা দিলেও কথা শুনছেন না তারা। অনেক যাত্রীকে আমরা লঞ্চ থেকে নামিয়ে দিয়েছি। তাতেও লাভ হচ্ছে না।
মামুন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, রাজধানী থেকেই সারা দেশে করোনা ছড়িয়েছে। গত ঈদের সময় মানুষ যেভাবে ঢাকা ছেড়েছেন। এবার লকডাউন শিথিল থাকাও আরও বেশি মানুষ বাড়ি ফিরছেন। সারা দেশে করোনা ছড়ানোর শঙ্কা ও ভয় থাকলেও তবুও মানুষ যাচ্ছেন। উপচে পড়া ভিড় ঠেলে ফেরি পথেও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে।
পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া ঘাটেও গতকাল সকাল থেকেই ছিল মানুষ ও যানবাহনের চাপ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ফেরিতে উঠছে পরিবহনগুলো। এদিকে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ পড়েছে রাজধানীতেও। গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, মহাখালী, শ্যামলী, টেকনিক্যাল, মিরপুর, গাবতলী ও গুলিস্তানে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বেশি যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাজধানীর ভেতরের প্রধান প্রধান সড়ক ও গলিতে যানজটের মুখে পড়েছে দূরপাল্লার বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে করোনা সংক্রমণকে উপেক্ষা করে ঢাকা ছাড়ছেন নগরবাসী। তীব্র গরম ও যানজটের চরম ভোগান্তির মধ্যেও ছুটছেন ঘরমুখী মানুষ। নাড়ির টানে বাড়ি যেতে বাস, ট্রেন, ফেরিসহ লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে উপচে পড়া ভিড় করছেন তারা। এতে করোনা ঝুঁকি আছে জেনেও ভিড় ঠেলে উঠছেন বিভিন্ন গণপরিবহনে। অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন মালবাহী ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন মোটরযানে। এসব যানবাহনে গাদাগাদি করে বসেছেন তারা। মানছেন না কোনো স্বাস্থ্যবিধি।
অনেকেই বলছেন, সারা বছরই কর্মস্থানে আর রাজধানীতে বন্দি অবস্থায় সময় কাটে। ঈদের ছুটি তাদের কাছে অন্যরকম অনুভূতি। এই সময়ে সকল বাধা কিংবা স্বাস্থ্যঝুঁকি তাদের কাছে তুচ্ছ। এজন্য ঈদের আনন্দ স্বজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে গ্রামে ফিরছেন। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করায় সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সরজমিন দেখা যায়, রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলো থেকে একের পর এক ছেড়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী বাস। যাত্রী কিংবা পরিবহন সংশ্লিষ্টদের কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। দূরপাল্লার গণপরিবহনগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা মানা হলেও ছোট পরিবহনে তা মোটেও মানা হচ্ছে না। অনেকেই নির্দিষ্ট গন্তেব্যের গণপরিবহন না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ টার্মিনালে। দিনভর দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়েও বাড়ি ফেরার অপেক্ষা করছেন কেউ কেউ। মহাখালী টার্মিনালে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন কুড়িগ্রামের মুজিবুর রহমান। তিনি জানান, ঈদের পর গার্মেন্ট বন্ধ থাকবে। তখন ঢাকায় কি করবো। আগেই গ্রামে ফিরে যাচ্ছি। ফিরতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হলেও কিছু করার নেই। ছেলে মেয়েদের সঙ্গে ঈদের উৎসবটাও অনেক আনন্দের।
মিলন হাওলাদার নামের এক যাত্রী বলেন, করোনার ভয় আছে। তবুও যাচ্ছি। বাড়িতে গিয়ে কোরবানি গরু কিনতে হবে। আমার ওপরে আমার পরিবার নির্ভরশীল। সবার মন রক্ষায় স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে ঢাকা ছাড়তে হচ্ছে। ঈদের পরদিন ফের ঢাকায় ফিরতে হবে। মাত্র ২/৩ দিনের জন্য ভোগান্তি নিয়ে যাওয়া।
লকডাউন শিথিলের পর গতকালও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ভিড় করেছেন ঢাকা সদরঘাটসহ মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাতায়াতের কথা থাকলেও অতিরিক্তযাত্রী নিয়েই ঘাট ছেড়েছে বেশির ভাগ যাত্রীবাহী লঞ্চ ও ফেরি। সকাল থেকে সদরঘাট কিছুটা ফাঁকা থাকলেও দুপুরের পর সেখানে ভিড় বাড়তে থাকে। পন্টুনের ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি থাকায় অনেককে টার্মিনালের বাহিরে অবস্থান করতে দেখা গেছে। অনেকেই হুড়োহুড়ি করে লঞ্চে উঠতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি করেছেন। লঞ্চের প্রবেশমুখে জীবাণুনাশক টানেল থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে না। যে যেভাবে পারছেন তড়িগড়ি করে জায়গা দখল করছেন। সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া অনেক লঞ্চের ডেকে বসা বেশির ভাগ যাত্রীর মুখে ছিল না কোনো মাস্ক। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে একে অপরের গা ঘেঁষে গাদাগাদি করে বসছেন কেউ কেউ। ফলে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা জেনেও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে।
নৌ-পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, টার্মিনালের ভেতরে ঢুকতে হলে মাস্ক পরে ঢুকতে হয়। মাস্ক ছাড়া কাউকে লঞ্চে উঠতে দেয়া হচ্ছে না। যাত্রীরা যাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাচল করে সেদিকে খেয়াল রাখছি। যাত্রীরা লঞ্চে ওঠার পরে মাস্ক খুলে রাখেন। স্বাস্থ্যবিধি ভুলে যান। গাদাগাদি করে বসেন। বারবার হ্যান্ডমাইক নিয়ে সচেতন হওয়ার বার্তা দিলেও কথা শুনছেন না তারা। অনেক যাত্রীকে আমরা লঞ্চ থেকে নামিয়ে দিয়েছি। তাতেও লাভ হচ্ছে না।
মামুন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, রাজধানী থেকেই সারা দেশে করোনা ছড়িয়েছে। গত ঈদের সময় মানুষ যেভাবে ঢাকা ছেড়েছেন। এবার লকডাউন শিথিল থাকাও আরও বেশি মানুষ বাড়ি ফিরছেন। সারা দেশে করোনা ছড়ানোর শঙ্কা ও ভয় থাকলেও তবুও মানুষ যাচ্ছেন। উপচে পড়া ভিড় ঠেলে ফেরি পথেও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে।
পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া ঘাটেও গতকাল সকাল থেকেই ছিল মানুষ ও যানবাহনের চাপ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ফেরিতে উঠছে পরিবহনগুলো। এদিকে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ পড়েছে রাজধানীতেও। গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, মহাখালী, শ্যামলী, টেকনিক্যাল, মিরপুর, গাবতলী ও গুলিস্তানে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বেশি যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাজধানীর ভেতরের প্রধান প্রধান সড়ক ও গলিতে যানজটের মুখে পড়েছে দূরপাল্লার বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি।