বাংলারজমিন
গাজীপুরে পরকীয়ার জেরে স্বামী হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
১৯ জুলাই ২০২১, সোমবার, ৯:০৮ অপরাহ্ন
গাজীপুরে পরকীয়ায় জড়িয়ে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে এক গৃহবধূ তার স্বামীকে হত্যা করে বালু চাপা দিয়ে রেখেছে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন এবং নিহতের স্ত্রী ও তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে জিএমপি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানার বড়াইকান্দি গ্রামের রুপালি খাতুন ও জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার নীলের চর গ্রামের সুজন মিয়া। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার জাকির হাসান গতকাল জানান, জিএমপি’র কাশিমপুর থানাধীন পশ্চিম শৈলডুবী এলাকার ছোফর উদ্দিন ছাফ্ফুর নির্মাণাধীন বাড়ির মাঝখানের রুমে বালুর নিচে ভিকটিম জাহিদুল ইসলাম (৩০) এর অর্ধ গলিত মরদেহ গত ১৬ই জুলাই পাওয়া যায়। কাশিমপুর থানা পুলিশ উক্ত মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওই মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর উপ-কমিশনার জাকির হাসানের তত্ত্বাবধানে তথ্য প্রযুক্তি ও ম্যানুয়েল ইন্টিলিজেন্সের সহায়তায় অপরাধ (উত্তর) বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রেজওয়ান আহমেদের নেতৃত্বে সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোনাবাড়ী জোন) সুভাশীষ ধরের অংশগ্রহণে কাশিমপুর থানার একাধিক টিম কাশিমপুর, কুড়িগ্রাম জেলা ও জামালপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। হত্যার ঘটনার সন্ধিগ্ধ হিসেবে কাশিমপুরের শৈলডুবী এলাকায় বসবাসরত নিহতের স্ত্রী রুপালি খাতুন (২৫) কে কুড়িগ্রাম হতে এবং টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় বসবাসরত মোহাম্মদ সুজন মিয়া (১৯) কে জামালপুরের বকশীগঞ্জ হতে গত শনিবার গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার হওয়া আসামীদ্বয় ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার ঘটনা স্বীকার করেছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ভিকটিম জাহিদুলের স্ত্রী রুপালি খাতুনের সঙ্গে মোহাম্মদ সুজন মিয়ার বিগত ৮/৯ মাস যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ইতিপূর্বে রুপালি খাতুন বেশ কয়েকবার তার স্বামী জাহিদুল ইসলামকে ফেলে টঙ্গীতে সুজনের বাসায় চলে যায় এবং সুজনের জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানাধীন নীলের চর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বসবাস করে। এ নিয়ে রুপালির সংসারে দাম্পত্য কলহ ছিল। এরই জের ধরে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রুপালি তার স্বামী জাহিদুলকে মেরে ফেলে সুজনের সঙ্গে সংসার করার পরিকল্পনা করে। গত ৬ই জুলাই রাত অনুমান ১১.০০ ঘটিকায় ভিকটিম জাহিদুল বাসায় আসলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রুপালি দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশেয়ে খাওয়ায়। অতঃপর রাত অনুমান ১টায় সুজন মিয়া ঘুমন্ত জাহিদের হাত পা চেপে ধরে ও রুপালি ভিকটিমের উপরে চড়ে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দু’জনে মিলে পাশের নির্মাণাধীন ঘরের বালির নিচে মরদেহ চাপা দিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা মতো পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ভিকটিম জাহিদুলের স্ত্রী রুপালি খাতুনের সঙ্গে মোহাম্মদ সুজন মিয়ার বিগত ৮/৯ মাস যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ইতিপূর্বে রুপালি খাতুন বেশ কয়েকবার তার স্বামী জাহিদুল ইসলামকে ফেলে টঙ্গীতে সুজনের বাসায় চলে যায় এবং সুজনের জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানাধীন নীলের চর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বসবাস করে। এ নিয়ে রুপালির সংসারে দাম্পত্য কলহ ছিল। এরই জের ধরে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রুপালি তার স্বামী জাহিদুলকে মেরে ফেলে সুজনের সঙ্গে সংসার করার পরিকল্পনা করে। গত ৬ই জুলাই রাত অনুমান ১১.০০ ঘটিকায় ভিকটিম জাহিদুল বাসায় আসলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রুপালি দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশেয়ে খাওয়ায়। অতঃপর রাত অনুমান ১টায় সুজন মিয়া ঘুমন্ত জাহিদের হাত পা চেপে ধরে ও রুপালি ভিকটিমের উপরে চড়ে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দু’জনে মিলে পাশের নির্মাণাধীন ঘরের বালির নিচে মরদেহ চাপা দিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা মতো পালিয়ে যায়।