প্রথম পাতা
ঢাকায় ১৮৪৯ শিশুর চিকিৎসা, ১৪২ জনের মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ জুলাই ২০২১, রবিবার, ৯:৩০ অপরাহ্ন
শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। রাজধানীর হাসপাতালগুলোর তথ্য বলছে, আগের তুলনায় এখন শিশু রোগী আসছে বেশি। হাসপাতালে আসাদের অনেকের সাধারণ উপসর্গ থাকায় পরীক্ষার পর করোনা ধরা পড়ে। যেসব শিশুর গুরুতর অন্য রোগ রয়েছে তাদের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনছে এই করোনা। ঢাকা মেডিকেল ও ঢাকা শিশু হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় আলাদা ওয়ার্ড রয়েছে। এই দুই হাসপাতালে শুক্রবার পর্যন্ত ১৮৪৯ জন শিশু করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মারা যাওয়া শিশুদের শুধু করোনা ছিল না। তাদের প্রায় সবার অন্য এক বা একাধিক জটিল রোগ ছিল। জটিল রোগের সঙ্গে করোনা সংক্রমণ হওয়ায় ওই শিশুদের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। কারণ অন্য রোগের কারণে শিশুদের শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এমন অবস্থায় করোনার সংক্রমণ তাদের কাবু করে ফেলে।
ঢাকা শিশু হাসপাতাল সূত্র বলছে, অন্য রোগের চিকিৎসা নিতে আসা কিছু শিশুরও করোনা ধরা পড়েছে। ওই হাসপাতালটিতে করোনা আক্রান্ত শিশুদের জন্য ২০টি আসন রয়েছে। গত ১৪ দিন ধরে একটি আসনও খালি থাকছে না। ওই হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৩২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্তের পাশাপাশি তাদের অন্য আরও রোগ ছিল।
শুধু শিশু হাসপাতাল নয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু করোনা ওয়ার্ডে প্রতিদিনই শিশু করোনা রোগী ভর্তি হচ্ছে। এর বাইরে অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে আসা রোগীর মধ্যে করোনা শনাক্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, সরাসরি নিউমোনিয়া বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে কম। যারা ভর্তি হচ্ছে তাদের অনেকেই আগে থেকে জটিল রোগে আক্রান্ত। এখানে আসার পর পরীক্ষা করায় তাদের করোনা ধরা পড়ছে। তবে এ ধরনের শিশু রোগীদের অবস্থা দ্রুত খারাপ হতে থাকে। কারণ তাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং সহজেই তারা করোনায় আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত হওয়ার পর করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করার অবস্থা থাকে না। করোনা আক্রান্ত হয়ে যেসব শিশু মারা যাচ্ছে তাদের প্রায় সবারই আগে থেকে জটিল রোগ ছিল। ঢাকা শিশু হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৫২৩ জন শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে।
ঢাকা শিশু হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ১ হাজার ৪০০ নবজাতকের ওপর তারা একটি গবেষণা করে সম্প্রতি এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে নবজাতকদের ২ শতাংশের শরীরে করোনা সংক্রমণ ছিল। যাদের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে তার ৩২ জনই আক্রান্ত ছিল। এসব নবজাতকের মধ্যে ১দিন বয়সী নবজাতকও ছিল। ৭ জন নবজাতক করোনা উপস্থিতি নিয়ে মারা গেছে। যারা অন্যরোগেও আক্রান্ত ছিল। গত বৃহস্পতিবার ১০ দিন বয়সী এক নবজাতক মারা যায়, যার রক্তে সংক্রমণ ও নিউমোনিয়া ছিল। পরে নবজাতকটির করোনা ধরা পড়ে। এছাড়া যে ৩২ নবজাতক করোনা আক্রান্ত ছিল এদের মধ্য থেকে ২৬ জনের মায়ের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এতে তিনজন মায়ের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, আক্রান্ত হওয়া শিশুরা বড়দের মাধ্যমে সংক্রমিত হচ্ছে। হাসপাতালে আসার পর কোনো কোনো শিশুর শরীরে ভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে। সারা দেশে সংক্রমণ বাড়ায় এখন শিশুদের আক্রান্তের হার আরও বেড়ে যেতে পারে।
সমপ্রতি একজন সংবাদকর্মীর ৫ বছরের সন্তান করোনা আক্রান্ত হলে তাকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত শিশুটির মা জানান, সংবাদ সংগ্রহের কাজে তার স্বামীকে বাসার বাইরে যেতে হয়। তার মাধ্যমেই হয়তো শিশুটি সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারে।
লিজা নামের ১০ বছরের একটি শিশু ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। নিয়মিত চেকআপের সঙ্গে কোভিড টেস্ট করালে লিজার করোনা পজিটিভ আসে। পরে তাকে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র বলছে, শিশু করোনা ইউনিটে ৩১টি শয্যা আছে। এসব শয্যাতে প্রতিদিন গড়ে ১৮ থেকে ২০ জন রোগী ভর্তি থাকে। যেখানে বছরের শুরুতে ৫ থেকে ৬ জন রোগী ভর্তি থাকতো। অথচ এখন মাঝে-মধ্যে পুরো ইউনিটের সবক’টি শয্যাতে রোগী ভর্তি থাকে। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসা এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩২৬ শিশুর শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ১১০ জন। এদের প্রায় সবারই অন্য রোগ ছিল।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শফি আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, আমাদের করোনা ইউনিটের ২০টি শয্যার একটিও গত ১৪দিন ধরে খালি থাকছে না। শিশুরা মৃদু উপসর্গ জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে ভর্তি হয়। তবে জটিল রোগ যেমন কিডনি, লাং, হার্ট, ক্যান্সার বা সার্জারির শিশু রোগীদের পরীক্ষা করলে করোনা ধরা পড়ে। এসব রোগের সঙ্গে যদি করোনা থাকে তবে তাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তিনি বলেন, সরাসরি করোনা নিয়ে শিশুরা ভর্তি হয় কম। বড়দের যেমন শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় এমন ঘটনা কম। আমরা পাঁচ শতাধিকের ওপরে শিশু করোনা রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছি এরমধ্যে মাত্র তিনটা রোগী নিউমোনিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এছাড়া নবজাতকদের ২ শতাংশ করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। তাই ঘরে শিশু থাকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাইরে থেকে আসলে শিশুদের কাছে যাওয়া যাবে না। শিশুরা আক্রান্ত হলেও তাদের মধ্যে উপসর্গ কম থাকে। শিশুরা আক্রান্ত হলে তাদের মাধ্যমে বয়স্ক ব্যক্তিদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ঢাকা শিশু হাসপাতাল সূত্র বলছে, অন্য রোগের চিকিৎসা নিতে আসা কিছু শিশুরও করোনা ধরা পড়েছে। ওই হাসপাতালটিতে করোনা আক্রান্ত শিশুদের জন্য ২০টি আসন রয়েছে। গত ১৪ দিন ধরে একটি আসনও খালি থাকছে না। ওই হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৩২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্তের পাশাপাশি তাদের অন্য আরও রোগ ছিল।
শুধু শিশু হাসপাতাল নয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু করোনা ওয়ার্ডে প্রতিদিনই শিশু করোনা রোগী ভর্তি হচ্ছে। এর বাইরে অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে আসা রোগীর মধ্যে করোনা শনাক্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, সরাসরি নিউমোনিয়া বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে কম। যারা ভর্তি হচ্ছে তাদের অনেকেই আগে থেকে জটিল রোগে আক্রান্ত। এখানে আসার পর পরীক্ষা করায় তাদের করোনা ধরা পড়ছে। তবে এ ধরনের শিশু রোগীদের অবস্থা দ্রুত খারাপ হতে থাকে। কারণ তাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং সহজেই তারা করোনায় আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত হওয়ার পর করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করার অবস্থা থাকে না। করোনা আক্রান্ত হয়ে যেসব শিশু মারা যাচ্ছে তাদের প্রায় সবারই আগে থেকে জটিল রোগ ছিল। ঢাকা শিশু হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৫২৩ জন শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে।
ঢাকা শিশু হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ১ হাজার ৪০০ নবজাতকের ওপর তারা একটি গবেষণা করে সম্প্রতি এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে নবজাতকদের ২ শতাংশের শরীরে করোনা সংক্রমণ ছিল। যাদের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে তার ৩২ জনই আক্রান্ত ছিল। এসব নবজাতকের মধ্যে ১দিন বয়সী নবজাতকও ছিল। ৭ জন নবজাতক করোনা উপস্থিতি নিয়ে মারা গেছে। যারা অন্যরোগেও আক্রান্ত ছিল। গত বৃহস্পতিবার ১০ দিন বয়সী এক নবজাতক মারা যায়, যার রক্তে সংক্রমণ ও নিউমোনিয়া ছিল। পরে নবজাতকটির করোনা ধরা পড়ে। এছাড়া যে ৩২ নবজাতক করোনা আক্রান্ত ছিল এদের মধ্য থেকে ২৬ জনের মায়ের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এতে তিনজন মায়ের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, আক্রান্ত হওয়া শিশুরা বড়দের মাধ্যমে সংক্রমিত হচ্ছে। হাসপাতালে আসার পর কোনো কোনো শিশুর শরীরে ভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে। সারা দেশে সংক্রমণ বাড়ায় এখন শিশুদের আক্রান্তের হার আরও বেড়ে যেতে পারে।
সমপ্রতি একজন সংবাদকর্মীর ৫ বছরের সন্তান করোনা আক্রান্ত হলে তাকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত শিশুটির মা জানান, সংবাদ সংগ্রহের কাজে তার স্বামীকে বাসার বাইরে যেতে হয়। তার মাধ্যমেই হয়তো শিশুটি সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারে।
লিজা নামের ১০ বছরের একটি শিশু ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। নিয়মিত চেকআপের সঙ্গে কোভিড টেস্ট করালে লিজার করোনা পজিটিভ আসে। পরে তাকে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র বলছে, শিশু করোনা ইউনিটে ৩১টি শয্যা আছে। এসব শয্যাতে প্রতিদিন গড়ে ১৮ থেকে ২০ জন রোগী ভর্তি থাকে। যেখানে বছরের শুরুতে ৫ থেকে ৬ জন রোগী ভর্তি থাকতো। অথচ এখন মাঝে-মধ্যে পুরো ইউনিটের সবক’টি শয্যাতে রোগী ভর্তি থাকে। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসা এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩২৬ শিশুর শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ১১০ জন। এদের প্রায় সবারই অন্য রোগ ছিল।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শফি আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, আমাদের করোনা ইউনিটের ২০টি শয্যার একটিও গত ১৪দিন ধরে খালি থাকছে না। শিশুরা মৃদু উপসর্গ জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে ভর্তি হয়। তবে জটিল রোগ যেমন কিডনি, লাং, হার্ট, ক্যান্সার বা সার্জারির শিশু রোগীদের পরীক্ষা করলে করোনা ধরা পড়ে। এসব রোগের সঙ্গে যদি করোনা থাকে তবে তাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তিনি বলেন, সরাসরি করোনা নিয়ে শিশুরা ভর্তি হয় কম। বড়দের যেমন শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় এমন ঘটনা কম। আমরা পাঁচ শতাধিকের ওপরে শিশু করোনা রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছি এরমধ্যে মাত্র তিনটা রোগী নিউমোনিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এছাড়া নবজাতকদের ২ শতাংশ করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। তাই ঘরে শিশু থাকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাইরে থেকে আসলে শিশুদের কাছে যাওয়া যাবে না। শিশুরা আক্রান্ত হলেও তাদের মধ্যে উপসর্গ কম থাকে। শিশুরা আক্রান্ত হলে তাদের মাধ্যমে বয়স্ক ব্যক্তিদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।