মোহামেডানেও জায়গা হলো না রবিউলের

শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে প্রথম লেগে রবিউলকে একটি ম্যাচেও মাঠে নামায়নি বসুন্ধরা কিংস। মধ্যবর্তী দল বদলে তাকে ছেড়েও দেয় ক্লাবটি। শেষ পর্যন্ত মোহামেডান স্পোর্টিং লিমিটেডেও জায়গা হলো না রবিউল হাসানের। গতকালই রবিউল ক্লাব ছেড়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মোহামেডানের কর্তারা। ২০১৮ সালে আরামবাগের স্বাধীনতা কাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন রবিউল। পরের বছরই আরামবাগের অধিনায়কত্ব পান। ২০১৮-১৯ মৌসুমে হন প্রিমিয়ার লীগের সেরা উদীয়মান ফুটবলার। তার গায়ে তুলে দেয়া হয় জাতীয় দলের ১০ নম্বর জার্সি। ২০১৯ সালে তার একমাত্র গোলে লাওসকে হারিয়ে বিশ্বকাপের মূল বাছাইপর্বে নাম লেখায় বাংলাদেশ। একই বছর নমপেনে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচেও রবিউলের একমাত্র গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ দল। এই পারফরমেন্সে ২০১৯ সালে ৫০ লাখ টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে রবিউলকে দলে নিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। চলতি মৌসুমের ফেডারেশন কাপসহ প্রিমিয়ার লীগের প্রথম পর্বের একটি ম্যাচেও মাঠে নামতে পারেননি তিনি। শৃঙ্খলার অভাব প্রভাব ফেলেছিল মাঠের পারফরম্যান্সে। অনুশীলনেও ছিলেন অনিয়মিত। মধ্যবর্তী দলবদলে বসুন্ধরা থেকে ধারে রবিউলকে দলে ভেড়ায় মোহামেডান। কিন্তু সেখানেও সেই অনিয়ন্ত্রিত জীবন। শেষ পর্যন্ত তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে মোহামেডান। ক্লাবটির পরিচালক ও ফুটবল সম্পাদক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স বলেন, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করেও রবিউলকে সঠিক রাস্তায় আনতে পারিনি। কোচ ওর ওপর খুবই বিরক্ত। শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে এর আগে দুবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তবু সে শোধরায়নি। গত ১৪ই জুন আবারও সে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। পরবর্তী সময়ে আমরা তাকে বলি, তোমাকে আর আমাদের প্রয়োজন নেই। আজ (গতকাল) সে ক্লাব ছেড়েছে।’