ভারত

তালেবানি গুলিতে ঝাঁজরা দানেশ সিদ্দিকী লিখে গেছেন- মৃত্যুমিছিলেও খুঁজি মানুষের মুখ   

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা     

১৭ জুলাই ২০২১, শনিবার, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

২০১৮ সালে চিত্র সাংবাদিকতার জন্য পুলিৎজার পুরস্কার জয়ী রয়টার্সের ফটোগ্রাফার আহমেদ দানেশ সিদ্দিকী  লিখেছিলেন, মৃত্যুমিছিলের মধ্যেও আমি মানুষের মুখ খুঁজি। দানেশ তখন জানতেন না যে, তিন বছরের মধ্যেই তিনি নিজে নিস্পন্দ এক মুখে পরিণত হবেন। ৩৮ বছরের দানেশ শুক্রবার কান্দাহারের স্পিন বলহারে  আফগানিস্তান সেনার সঙ্গে যাওয়ার সময় তালেবানদের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে শহীদ হয়েছেন। দূতের মতো সাংবাদিকও  অবধ্য।  কিন্তু বর্বর তালেবান যোদ্ধাদের কে বোঝাবে এই কথা? তাই দিল্লির বাসিন্দা দানেশ সিদ্দিকীকে চিরঘুমের দেশে চলে যেতে হলো স্ত্রী  রিকে ও দুই সন্তানকে রেখে।  কয়েকমাস আগে দিল্লির দাঙ্গার সময় এক কিশোরের গুলি  ছোড়ার ছবি তুলতে গিয়ে জীবন বিপন্ন হয়েছিল দানেশের। কোনওরকম প্রাণে বেঁচেছিলেন তিনি।

এবার আর বেঁচে ফিরতে পারলেন না।  আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, জীবন বিপন্ন করে দানেশ সিদ্দিকী কর্তব্য পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। দুঃখ প্রকাশের ভাষা নেই। ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছেন, দানেশের মরদেহ ভারতে এনে পরিজনদের হাতে তুলে দেয়া হবে। হিন্দুস্থান টাইমস ও টিভি টুডে’তে পেশাদার জীবন কাটিয়ে দানেশ ২০১০ সালে যোগ দেন  রয়টার্স-এ। ভারতের প্যান্ডেমিক অবস্থায় অসহায় মানুষের আর্তি তার লেন্সে ধরা পড়েছে নিপুণভাবে।  বিদেশেও প্রচুর ছবি তুলেছেন দানেশ। তিনি ভাবতেও পারেননি একদিন তিনি নিজেই ছবির বিষয় হয়ে যাবেন। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা প্রত্যাহৃত হওয়ার  সঙ্গে সঙ্গে তালেবানি দাপট বেড়েছে। এইরকম একটি সংঘর্ষেই প্রাণ গেল আহমেদ দানেশ সিদ্দিকীর। মৃত্যুমিছিলে তিনি নিজেই হয়ে গেলেন একটি মুখ।          

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status