শেষের পাতা
কড়া নজরদারি পুলিশের
ঢাকায় পশুর হাট নিয়ে শঙ্কা
আল-আমিন
১৭ জুলাই ২০২১, শনিবার, ৯:০৩ অপরাহ্ন
মহামারি করোনায় পশুর হাট নিয়ে শঙ্কায় পুলিশ প্রশাসন। কারণ দিন দিন ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার। এ অবস্থায় আসন্ন ঈদে পশুর হাটে কতোখানি স্বাস্থ্যবিধি মানুষকে মানানো যাবে তা নিয়ে চিন্তিত তারা। বিষয়টি মাথায় রেখে পশুরহাটে করোনার সংক্রামণ ঠেকাতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ইতিমধ্যে ডিএমপি কমিশনার বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একাধিকবার বৈঠক করেছেন। পশুর হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মানাতে একাধিক উদ্যোগ নেয়া ছাড়াও এগুলো বাস্তবায়নে জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা হচ্ছে- হাটে আসা সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরে ঢোকা, একস্থান থেকে ঢুকে আরেকস্থান দিয়ে বের হওয়া, বাঁশ দিয়ে হাটের চারপাশ ঘিরে রাখা। যাতে কেউ অযথা যাতায়াত করতে না পারে, প্রবেশের আগে স্যানিটাইজিং করা, কোনো স্থানে জটলা না করা, বার বার পশুর শরীরে হাত না দেয়া, টাকা লেনদেন করার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বেচ্ছাসেবকদের দিয়ে হ্যান্ড মাইকিং করে লোকজনকে করোনার বিষয়ে বেশি করে সতর্ক থাকতে বলা এবং হাটে কোনোভাবে ভ্রাম্যমাণ হকার যাতে ঢুকতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি করা। এছাড়াও প্রত্যেক হাটে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে যে অস্থায়ী ক্যাম্প খোলা হবে সেই ক্যাম্পে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশের সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ করবে। স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি’র) সদর দপ্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশন) মো. ফারুক হোসেন মানবজমিনকে জানান, ‘সাম্প্রতিক সময়ের করোনার বিষয়টি মাথায় রেখে এবারের পশুর হাটের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ করবে পুলিশ। হাটে মাস্ক পরে ঢুকতে হবে। কোনো ধরনের জটলা করা যাবে না। এছাড়াও করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখা হবে।’
ডিএমপি সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে প্রায় ২৩টি পশুর হাট বসবে। যেখানে হাট বসবে সেখানে মানুষের জটলা কমাতে হাটের পরিধি বাড়ানো হবে। যাতে মানুষের জটলা কম হয়। নির্দিষ্টস্থানে হাটের বাইরে পাশের সড়ক বা সেখানে কোনো খোলা জায়গা থাকলে সেখানেও পশু বিক্রয় করতে দেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ইতিমধ্যে পশুর হাটের ইজারাদারদের সঙ্গে কথা বলেছে। ইজারাদারেরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, যারা পশু কিনবেন বা বিক্রয় করবেন তাদের কাছ থেকে খাজনা বা হাসিল থেকে তারা বঞ্চিত হতে পারেন। পুলিশ তাদের বলেছে যে, প্রত্যেক সড়কে পুলিশ প্রহরা থাকবে। কেউ যাতে হাসিলের রশিদ ছাড়া এলাকা ত্যাগ করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজরদারি করবে। পুলিশের পাশাপাশি হাটের স্বেচ্ছাসেবকরাও বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন।
সূত্র জানায়, পশুর হাট সম্প্রসারণ করার কারণে হাটের কিছু সড়কে যানজট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশ বিকল্প সড়ক ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। যাতে ওই এলাকায় কোনো ধরনের যানজট না হয়।
ডিএমপি’র একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, প্রত্যেক পশুর হাটে পুলিশ ও হাট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ঢোকার স্থানে হ্যান্ড স্যানিটাইজিংয়ের ব্যবস্থা এবং সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে। হাটে আসা ক্রেতা এবং বিক্রেতারা অবশ্যই হ্যান্ড সানিটাইজিং এবং সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে প্রবেশ করতে হবে। নইলে কাউকে ঢুকতে দেয়া হবে না।
সূত্র জানায়, এবারের হাটে অবশ্যই ভ্রাম্যমাণ হকার ঢুকতে দেয়া হবে না। কারণ তারা একস্থানে কখনই থাকে না। হাটের বিভিন্নস্থানে ঘুরে বেড়ায় এবং তাদের পণ্য বিক্রয় করে। তাদের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর বড় আশঙ্কা আছে। ওই ভ্রাম্যমাণ হকারদের হাটে কোনোভাবে ঢুকতে দেয়া হবে না। যেসব ভ্রাম্যমাণ হকার হাটে প্রবেশ করবে তাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের বলা হয়েছে।
ডিএমপি সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেক হাটে পুলিশের পক্ষ থেকে হ্যান্ড মাইকিংয়ের মাধ্যমে করোনার বিষয়ে অবগতি করানোর জন্য সতর্ক করা হবে। যাতে ক্রেতারা পশু কিনতে এসে করোনার কথা ভুলে না যান। এছাড়াও অনলাইনেও যে পশু কেনার ব্যবস্থা আছে তা অবগতি করানো হবে। সূত্র জানায়, করোনায় পশুর হাট পর্যবেক্ষণের জন্য ইতিমধ্যে পুলিশের ৮ টি ক্রাইম জোনে বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। ওই টিমে থানা পুলিশ ছাড়াও ফাঁড়ি পুলিশের সদস্য এবং পিওএম (পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট) এর পুলিশ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যাতে সদস্য সংখ্যা বেশি হয়। ক্রাইম জোনের ডিসি পশুর হাটের ব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদারকি করবেন।
ডিএমপির পক্ষ থেকে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা হচ্ছে- হাটে আসা সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরে ঢোকা, একস্থান থেকে ঢুকে আরেকস্থান দিয়ে বের হওয়া, বাঁশ দিয়ে হাটের চারপাশ ঘিরে রাখা। যাতে কেউ অযথা যাতায়াত করতে না পারে, প্রবেশের আগে স্যানিটাইজিং করা, কোনো স্থানে জটলা না করা, বার বার পশুর শরীরে হাত না দেয়া, টাকা লেনদেন করার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বেচ্ছাসেবকদের দিয়ে হ্যান্ড মাইকিং করে লোকজনকে করোনার বিষয়ে বেশি করে সতর্ক থাকতে বলা এবং হাটে কোনোভাবে ভ্রাম্যমাণ হকার যাতে ঢুকতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি করা। এছাড়াও প্রত্যেক হাটে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে যে অস্থায়ী ক্যাম্প খোলা হবে সেই ক্যাম্পে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশের সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ করবে। স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি’র) সদর দপ্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশন) মো. ফারুক হোসেন মানবজমিনকে জানান, ‘সাম্প্রতিক সময়ের করোনার বিষয়টি মাথায় রেখে এবারের পশুর হাটের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ করবে পুলিশ। হাটে মাস্ক পরে ঢুকতে হবে। কোনো ধরনের জটলা করা যাবে না। এছাড়াও করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখা হবে।’
ডিএমপি সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে প্রায় ২৩টি পশুর হাট বসবে। যেখানে হাট বসবে সেখানে মানুষের জটলা কমাতে হাটের পরিধি বাড়ানো হবে। যাতে মানুষের জটলা কম হয়। নির্দিষ্টস্থানে হাটের বাইরে পাশের সড়ক বা সেখানে কোনো খোলা জায়গা থাকলে সেখানেও পশু বিক্রয় করতে দেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ইতিমধ্যে পশুর হাটের ইজারাদারদের সঙ্গে কথা বলেছে। ইজারাদারেরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, যারা পশু কিনবেন বা বিক্রয় করবেন তাদের কাছ থেকে খাজনা বা হাসিল থেকে তারা বঞ্চিত হতে পারেন। পুলিশ তাদের বলেছে যে, প্রত্যেক সড়কে পুলিশ প্রহরা থাকবে। কেউ যাতে হাসিলের রশিদ ছাড়া এলাকা ত্যাগ করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজরদারি করবে। পুলিশের পাশাপাশি হাটের স্বেচ্ছাসেবকরাও বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন।
সূত্র জানায়, পশুর হাট সম্প্রসারণ করার কারণে হাটের কিছু সড়কে যানজট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশ বিকল্প সড়ক ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। যাতে ওই এলাকায় কোনো ধরনের যানজট না হয়।
ডিএমপি’র একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, প্রত্যেক পশুর হাটে পুলিশ ও হাট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ঢোকার স্থানে হ্যান্ড স্যানিটাইজিংয়ের ব্যবস্থা এবং সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে। হাটে আসা ক্রেতা এবং বিক্রেতারা অবশ্যই হ্যান্ড সানিটাইজিং এবং সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে প্রবেশ করতে হবে। নইলে কাউকে ঢুকতে দেয়া হবে না।
সূত্র জানায়, এবারের হাটে অবশ্যই ভ্রাম্যমাণ হকার ঢুকতে দেয়া হবে না। কারণ তারা একস্থানে কখনই থাকে না। হাটের বিভিন্নস্থানে ঘুরে বেড়ায় এবং তাদের পণ্য বিক্রয় করে। তাদের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর বড় আশঙ্কা আছে। ওই ভ্রাম্যমাণ হকারদের হাটে কোনোভাবে ঢুকতে দেয়া হবে না। যেসব ভ্রাম্যমাণ হকার হাটে প্রবেশ করবে তাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের বলা হয়েছে।
ডিএমপি সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেক হাটে পুলিশের পক্ষ থেকে হ্যান্ড মাইকিংয়ের মাধ্যমে করোনার বিষয়ে অবগতি করানোর জন্য সতর্ক করা হবে। যাতে ক্রেতারা পশু কিনতে এসে করোনার কথা ভুলে না যান। এছাড়াও অনলাইনেও যে পশু কেনার ব্যবস্থা আছে তা অবগতি করানো হবে। সূত্র জানায়, করোনায় পশুর হাট পর্যবেক্ষণের জন্য ইতিমধ্যে পুলিশের ৮ টি ক্রাইম জোনে বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। ওই টিমে থানা পুলিশ ছাড়াও ফাঁড়ি পুলিশের সদস্য এবং পিওএম (পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট) এর পুলিশ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যাতে সদস্য সংখ্যা বেশি হয়। ক্রাইম জোনের ডিসি পশুর হাটের ব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদারকি করবেন।