সেরা চিঠি
সেদিনই তুই পর হয়ে গেছিস
১৪ জুলাই ২০২১, বুধবার, ৭:৪৮ অপরাহ্ন
আপারে...
কতোদিন দেখি না তোকে। একদিন, দুদিন করে মাস, এরপর বছর যায়। অপেক্ষার প্রহর আর শেষ হয় না। কিন্তু তুই? অধরা হয়ে গেলি। সকল আদর, সোহাগ, মায়া, মমতাকে তুচ্ছ করে দিলি এক নিমিষেই। অথচ একদিন সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে সপ্তাহে দুই/তিনদিন ফোন করতি। যখন মোবাইল ফোন ছিল না তখন টিঅ্যান্ডটি ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতি। কিন্তু কোথা থেকে কি হয়ে গেল? নিমিষে তুই সব ভুলে আপন করে নিলি ওদের। যারা একদিন তোকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছিল। কিন্তু আমি কিংবা আমরা কি তোকে ভুলতে পারি? পারি নারে আপা, পারি না। মাঝে মধ্যেই মনের অজান্তে তুই এসে সামনে দাঁড়াস। মনে পড়ে যায় ছোটবেলার কথা। হাজারও স্মৃতি চোখের সামনে এসে জড়ো হয়। এক সঙ্গে স্কুলে যাওয়া, এক সঙ্গে খেলতে যাওয়া- সবই আজ স্মৃতিরে আপা। সবই আজ স্মৃতি। কতো স্মৃতির কথা আজ মনে করাবো তোকে। তুই তো আজ আমার সেই আপা নেই। সেদিনই তুই পর হয়ে গেছিস, যেদিন লন্ডন থেকে আমাদের না জানিয়ে এসে তোর মেয়ের বিয়ে ঠিক করে নিলি। যেদিন বিয়ে সেদিন সকালে তুই ফোন করলি। বললি, আমি বাংলাদেশে। তোর ভাগনির বিয়ে ঠিক করে ফেলেছি। আজই সন্ধ্যায় বিয়ে। তুই চলে আয়। জানোস্ আপা- ফোনটা রেখে ডুকরে কেঁদেছি। বুঝতে পেরেছি, আপা আর আপা নেই। পর হয়ে গেছে। কাকে দোষ দেবো? তুই-ই বল? ওরা তোকে এমনভাবে গ্রাস করে নিয়েছিল আমরা টেরই পাইনি। তোর মেয়েকে ওরা ছেলের বউ বানালো। আচ্ছা আমরা জানলে কি না করতাম? নারে আপা আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হতাম। এত অপমানের পরও আমি ঢাকা থেকে ছুটে গিয়েছিলাম শত মাইল দূরে। তোর মেয়ের বিয়েতে হাজির হয়েছিলাম। কেন জানিস্? আমার ইজ্জত রক্ষা করতে। কারণ ওইদিন হাজির না হলে স্বজনদের কাছে আমি ছোট হয়ে যেতাম। তোর কিছুই হতো না। কারণ তুই তো তুই-ই। কতো বছর হয়ে গেল তোকে দেখি না। ফোনেও তোর কণ্ঠ শুনি না। তারপরও তুই ভালো থাকিস্। আব্বার কথা দিয়ে শেষ করতে চাই। মৃত্যুর আগে আব্বা বলে গেছে, তুই যদি না আসিস যেন জোর করে না আনি। আর আসলে যেন কখনো না ফেলি।
ইতি
আমি
কতোদিন দেখি না তোকে। একদিন, দুদিন করে মাস, এরপর বছর যায়। অপেক্ষার প্রহর আর শেষ হয় না। কিন্তু তুই? অধরা হয়ে গেলি। সকল আদর, সোহাগ, মায়া, মমতাকে তুচ্ছ করে দিলি এক নিমিষেই। অথচ একদিন সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে সপ্তাহে দুই/তিনদিন ফোন করতি। যখন মোবাইল ফোন ছিল না তখন টিঅ্যান্ডটি ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতি। কিন্তু কোথা থেকে কি হয়ে গেল? নিমিষে তুই সব ভুলে আপন করে নিলি ওদের। যারা একদিন তোকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছিল। কিন্তু আমি কিংবা আমরা কি তোকে ভুলতে পারি? পারি নারে আপা, পারি না। মাঝে মধ্যেই মনের অজান্তে তুই এসে সামনে দাঁড়াস। মনে পড়ে যায় ছোটবেলার কথা। হাজারও স্মৃতি চোখের সামনে এসে জড়ো হয়। এক সঙ্গে স্কুলে যাওয়া, এক সঙ্গে খেলতে যাওয়া- সবই আজ স্মৃতিরে আপা। সবই আজ স্মৃতি। কতো স্মৃতির কথা আজ মনে করাবো তোকে। তুই তো আজ আমার সেই আপা নেই। সেদিনই তুই পর হয়ে গেছিস, যেদিন লন্ডন থেকে আমাদের না জানিয়ে এসে তোর মেয়ের বিয়ে ঠিক করে নিলি। যেদিন বিয়ে সেদিন সকালে তুই ফোন করলি। বললি, আমি বাংলাদেশে। তোর ভাগনির বিয়ে ঠিক করে ফেলেছি। আজই সন্ধ্যায় বিয়ে। তুই চলে আয়। জানোস্ আপা- ফোনটা রেখে ডুকরে কেঁদেছি। বুঝতে পেরেছি, আপা আর আপা নেই। পর হয়ে গেছে। কাকে দোষ দেবো? তুই-ই বল? ওরা তোকে এমনভাবে গ্রাস করে নিয়েছিল আমরা টেরই পাইনি। তোর মেয়েকে ওরা ছেলের বউ বানালো। আচ্ছা আমরা জানলে কি না করতাম? নারে আপা আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হতাম। এত অপমানের পরও আমি ঢাকা থেকে ছুটে গিয়েছিলাম শত মাইল দূরে। তোর মেয়ের বিয়েতে হাজির হয়েছিলাম। কেন জানিস্? আমার ইজ্জত রক্ষা করতে। কারণ ওইদিন হাজির না হলে স্বজনদের কাছে আমি ছোট হয়ে যেতাম। তোর কিছুই হতো না। কারণ তুই তো তুই-ই। কতো বছর হয়ে গেল তোকে দেখি না। ফোনেও তোর কণ্ঠ শুনি না। তারপরও তুই ভালো থাকিস্। আব্বার কথা দিয়ে শেষ করতে চাই। মৃত্যুর আগে আব্বা বলে গেছে, তুই যদি না আসিস যেন জোর করে না আনি। আর আসলে যেন কখনো না ফেলি।
ইতি
আমি