শরীর ও মন
করোনার পর ভয় ধরাচ্ছে জিকা ভাইরাস
নিজস্ব সংবাদদাতা
৯ জুলাই ২০২১, শুক্রবার, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
কোভিডের তৃতীয় ঢেউ এখনও আছড়ে পড়েনি দেশে। কিন্তু জিকা ভাইরাস নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করছে মানুষের মনে। কী এই জিকা ভাইরাস? মশার থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের মধ্যে। এডিস প্রজাতির মশা থেকে ছড়ায় এই ভাইরাল সংক্রমণ। অতিরিক্তভাবে, যৌন সম্পর্কের সময় ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। উগান্ডায় বানরদের মধ্যে প্রথম চিহ্নিত হয়। পাঁচ বছর পরে জিকা মানুষের মধ্যে সনাক্ত করা হয়। ১৯৬০ এর দশক থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৭ সালে মারাত্মক আকার নেয়। ২০১৫ সালে, ব্রাজিলে বিরাটাকারে প্রকোপ ফেলে। গর্ভবতীরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সন্তান অনুন্নত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে। মূলত গর্ভবতী মহিলাদের জন্য মারাত্মক আকার নিয়ে ফেলে এই জিকা ভাইরাস। ২০১৮ সালে ভারতে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় ৮০ জন। এবার তিরুবন্তপুরম-এর এক গর্ভবতী মহিলার শরীর থেকে পাওয়া গেছে এই জিকা ভাইরাস। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। ২৮ শে জুন গায়ে অনেক জ্বর ও মাথাব্যথা, গায়ে লাল দাগ নিয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই মহিলা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত। বর্তমানে ওই মহিলার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং ৭ জুলাই সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। জানা গেছে, দেশের বাইরে অন্য কোথাও বেড়াতে যাননি ওই মহিলা। সপ্তাহ খানেক আগে তার মায়ের শরীরেও একই উপসর্গ দেখা দেয়। ইতিমধ্যে সর্তকতা জারি করা হয়েছে ওই জেলায়। কেরলে আরও ১৩ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে পুনের National institute of virology তে। পরীক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসক এবং গবেষকরা। জিকায় আক্রান্ত হলে ঘুসঘুসে জ্বর হয়। সঙ্গে গায়ে সামান্য র্যাশ বেরোতে পারে। কিন্তু এই লক্ষণগুলি এতই মৃদু যে রোগী জিকা আক্রান্ত না সাধারণ জ্বরে আক্রান্ত, তা বোঝা খুব কঠিন। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কাছেও রোগটি অচেনা। ফলে জিকাকে চিনে নেওয়ার উপায় এখনও খুঁজে বের করা যায় নি। এই রোগের জন্য নির্দিষ্ট কোনও ওষুধও বাজারে নেই। জিকাকে চিনে নেয়ার উপায় এবং তার নিরাময়ের ওষুধ খুঁজতে মার্কিন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জোরকদমে কাজ শুরু করেছেন। তবে এখনও কোনও সুখবর মেলেনি।