ভারত
রুপোর চৌকিতে সোনার থালায় খাবার, কোভিড কালে চেন্নাইয়ের স্বপ্নের বিয়ের প্রাক অনুষ্ঠানে বৈভবের প্রদর্শনী
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
১ জুলাই ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
এই দুর্দান্ত কোভিড কালে ভারতের সম্পদ সংকোচনের পরিমান ৪৪০ কোটি টাকা। কিন্তু, পাশাপাশি এটাও সত্যি যে করোনায় যখন ভারত জুড়ে হাহাকার, মৃত্যু মিছিল তখন ব্লুমবার্গ এর হিসেব অনুযায়ী এই ভারতেরই ৪ হাজার ৩২০টি পরিবারের সম্পদ ৭০ কোটি ছাড়িয়েছে। ধনী থেকে অতিধনীর তকমা পেয়েছেন এঁরা। সম্প্রতি চেন্নাই এ একটি বিয়ের এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠানে কুৎসিত বৈভব প্রদর্শনের আয়োজন দেখা গেল। চেন্নাইয়ের বিখ্যাত ললিতস জুয়েলারি সংস্থার মালিকের ছেলের সঙ্গে আর এক বিখ্যাত জুয়েলারি সংস্থা জি আর টির মালিকের মেয়ের বিয়ের এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠান ছিল।
চেন্নাই শহরে কন্যাকুমারী মন্দিরের ধাঁচে তৈরি মণ্ডপটি দেখে চোখ কপালে ওঠে অভ্যাগতদের। সোনার পাতে মোড়া মণ্ডপ। অঙ্গসজ্জা রুপোর পাতে। খেতে বসে আর এক দফা বিস্ময়। রুপোর চৌকিতে সোনার থালায় পরিবেশিত হয়েছে আহার্য। সোনার বাটিতে রসমা-সম্বরম। সঙ্গে রয়েছে সোনার চামচ। সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মানো পাত্র পাত্রীর সর্বাঙ্গ মুড়ে দেওয়া হয়েছে জড়োয়া গহনা আর মুকুটে। কে বলবে, চেন্নাই হাসপাতালে করোনার বিরুদ্ধে বাঁচার যুদ্ধ করছেন ২০৭ জন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথি ৫০ জনে সীমাবদ্ধ রাখার অনুশাসনই বা কোথায় গেল? আসলে আইনের রক্ষকরাই তো তখন সোনার বাটি থেকে সোনার চামচে করে সুস্বাদু রসমের স্বাদ নিতে ব্যস্ত। এখানেই বৈভব প্রদর্শনের শেষ নয়। অভ্যাগতদের প্রত্যেকের জন্য বিদাই ছিল এক ছড়া করে মুক্তোর মালা। সোনার থালায় ভুরিভোজ খেয়ে মুক্তোর মালা গলায় দিয়ে হাসতে হাসতে অতিথিরা যখন গাড়িতে উঠছিলেন, তখন কি করোনায় স্বজন হারানো কারও বিলাপ শুনেছিলেন? নাকি সোনা-রুপোর বদ্ধ প্রকারে সেই আর্তনাদ মাথা কুটে মরেছিল!
চেন্নাই শহরে কন্যাকুমারী মন্দিরের ধাঁচে তৈরি মণ্ডপটি দেখে চোখ কপালে ওঠে অভ্যাগতদের। সোনার পাতে মোড়া মণ্ডপ। অঙ্গসজ্জা রুপোর পাতে। খেতে বসে আর এক দফা বিস্ময়। রুপোর চৌকিতে সোনার থালায় পরিবেশিত হয়েছে আহার্য। সোনার বাটিতে রসমা-সম্বরম। সঙ্গে রয়েছে সোনার চামচ। সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মানো পাত্র পাত্রীর সর্বাঙ্গ মুড়ে দেওয়া হয়েছে জড়োয়া গহনা আর মুকুটে। কে বলবে, চেন্নাই হাসপাতালে করোনার বিরুদ্ধে বাঁচার যুদ্ধ করছেন ২০৭ জন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথি ৫০ জনে সীমাবদ্ধ রাখার অনুশাসনই বা কোথায় গেল? আসলে আইনের রক্ষকরাই তো তখন সোনার বাটি থেকে সোনার চামচে করে সুস্বাদু রসমের স্বাদ নিতে ব্যস্ত। এখানেই বৈভব প্রদর্শনের শেষ নয়। অভ্যাগতদের প্রত্যেকের জন্য বিদাই ছিল এক ছড়া করে মুক্তোর মালা। সোনার থালায় ভুরিভোজ খেয়ে মুক্তোর মালা গলায় দিয়ে হাসতে হাসতে অতিথিরা যখন গাড়িতে উঠছিলেন, তখন কি করোনায় স্বজন হারানো কারও বিলাপ শুনেছিলেন? নাকি সোনা-রুপোর বদ্ধ প্রকারে সেই আর্তনাদ মাথা কুটে মরেছিল!