শিক্ষাঙ্গন

শিক্ষার্থী কথন (৫)

‘করোনায় ক্ষতি হলেও বড় উপকারও হয়েছে’

পিয়াস সরকার

২৭ জুন ২০২১, রবিবার, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন

করোনা আসার আগে ক্লাস, স্কুল নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত থাকতো যে  কোরআন শরীফ পড়াবো বা শেখাবো তার সুযোগই মিলছিলো না। করোনা আসায় অনেক ক্ষতি হলেও বড় উপকার হয়েছে ও খুব কম সময়ে আরবি পড়াটা আয়ত্ব করেছে। আল্লাহর রহমতে চার মাসে কোরআন খতমও দিয়েছে। এভাবেই উচ্ছ্বাসের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর নির্ঝর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী এস এম সামাওয়াত জামিলের মা জান্নাতুল লুৎফা সোমা। সামাওয়াত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

সামাওয়াতের সকাল ৮টা থেকে অনলাইন ক্লাস করতে হয়। যা চলে ১১টা ৪০ পর্যন্ত। অনলাইনে ক্লাস অন্যান্য কার্যক্রমও করান শিক্ষকরা। এমনকি ব্যায়ামও করানো হয় ওদের। সামাওয়াত বলে, আমার স্কুলে যেতে মন চায়। বন্ধুদের খুব মিস করি। অনলাইনে ক্লাস করতে কখনও ভালো লাগে, কখনও ভালো লাগে না। তবে ক্লাসে বই-খাতা ভুলে রেখে গেলে স্যারেরা বকা দিতেন। এখন আর বকা দেন না। কারণ সব বই-খাতা বাড়িতেই থাকে। কিন্তু সারাদিন বাড়িতে থাকতে ভালো লাগে না। স্কুল যেতে মন চায়।

সামাওয়াতের মা সোমা আরো বলেন, আসলে ওর খেলাধুলা সব বাড়ির মধ্যেই। আমি চাইলেও বাড়ির ছাদে নিয়ে যেতে পারি না। ওর ছোট বোনের সঙ্গেই খেলাধুলা করে। তবে মাঠে বা উন্মুক্ত স্থানে নিয়ে গেলে খুবই উপভোগ করে। আর ডিভাইস একেবারেই হাতে দেই না। যতটুকু লেখাপড়ার জন্য প্রয়োজন হয় ততটুকুই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবার পর শুরুতে অনলাইন ক্লাস হচ্ছিল না। কিন্তু অনলাইন ক্লাস শুরু হবার পর থেকে ওর মানসিক চাপ কমতে থাকে। তবে এই বয়সটায় স্কুলে যাবে, পড়বে, শিখবে, মজা করবে এটাই কাম্য। এভাবে সারাদিন চার দেয়ালের মাঝে বন্দি দেখে আমারো খুব খারাপ লাগে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status