কলকাতা কথকতা
কলকাতা কথকতা
জেনেটিক্স এএমএসসি, কয়েক লাখ টাকা মাইনে দিতো কর্মীদের, ভ্যাকসিন জালিয়াতের সঙ্গিনীকেও জেরা করবে পুলিশ
জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
২৫ জুন ২০২১, শুক্রবার, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
দক্ষিণ কলকাতার উপকণ্ঠে আনন্দপুর-মাদুরদহের হোসেনপুরের দুশো আঠারো নম্বর বাড়িটি এখন তালাবদ্ধ। দরজার গায়ে নেমপ্লেট জ্বলজ্বল করছে- দেবাঞ্জন দেব, আইএএস। এই বাড়িতেই থাকতো কীর্তিমান ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারির খলনায়ক ভুয়া আইএএস দেবাঞ্জন দেব। যে কলকাতায় জাল ভ্যাকসিন শিবির বসিয়ে ভুয়া ভ্যাকসিন দিয়ে লাখ লাখ টাকা কমিয়েছে। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে মারাত্মক তথ্য, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন এর বদলে দেয়া হতো অমিলকাসিন-৫০০ ইনজেকশন। পুলিশ দেবাঞ্জনের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে পেয়েছে নকল কোভিশিল্ড এর কয়েক হাজার ভায়াল। ফ্রিজারে রাখা ছিল এগুলি। লেবেলে টান মারতেই বেরিয়ে এসেছে আমাল কাসিনের আসল চেহারা। দেবাঞ্জনের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর মাস্ক ও স্যানিটাইজার। পুরসভার বিশেষ কমিশনার তাপস চৌধুরীর সই জাল করে প্রচুর নথিপত্র তৈরি করেছিল দেবাঞ্জন। দুটি ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছিল। তার কাগজপত্রও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
দেবাঞ্জনের বাবা মনোরজন দেব আবগারি বিভাগের ডেপুটি কমিশনার ছিলেন। দেবাঞ্জনের বোন অত্যন্ত মেধাবী। দেবাঞ্জন নিজে কলকাতার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেনেটিক্স এএমএসসি করেছে। কিন্তু, একবছর বাইরে থেকেই সে ‘আইএএস’ হয়ে ফিরে আসে। মনোরঞ্জন বাবুও বলতেন, হবে না, ছোটবেলায় তো ইংরেজি লেখার জন্য রাষ্ট্রপতির পদক পেয়েছিল। এই রাষ্ট্রপতির পদক পাওয়া দেবাঞ্জনের লাইফ স্টাইল ছিল আইএএস অফিসারদের মতোই। আঠাশ বছরের দেবাঞ্জনের ছিল সুবেশা সেক্রেটারি। ব্যক্তিগত দেহরক্ষী, অফিস স্টাফ, নিল বাতি লাগানো গাড়ি, ঝকঝকে অফিস, কর্মীদের দেবাঞ্জন মাইনে দিতো পঁচিশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা মাসে। কোনও মাসে মাইনে বাকি পড়তো না। সেই কারণেই পুলিশের সন্দেহ দেবাঞ্জনের মাথায় বড় কোনও কারও হাত ছিল। দেবাঞ্জনের এক সঙ্গিনীও এই জালিয়াতি কাণ্ডে জড়িত ছিল। অনুমান করা হচ্ছে এই তরুণী তার প্রেমিকা। আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজের ভুয়া ভ্যাকসিন শিবিরে এই তরুণী সক্রিয় অংশ নেয়। পুলিশ তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ২০০৭ সালে আনন্দপুরের মাদুরদহে এই বাড়িতে আসে দেবাঞ্জনরা। এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, দেবাঞ্জনের বাবা মনোরঞ্জন বাবু ছেলের সম্পর্কে বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলতেন। কখনও তাঁদের মনেও সন্দেহের উদ্রেক হয়নি এমনটি নয়। কিন্তু, ওই নিল বাতির গাড়ি, সাফারি স্যুট পরা বাউন্সার, সুন্দরী কেতাদুরস্ত সঙ্গিনী, অফিস মেইনটেইন করার সাবলীলতা তাঁদের সন্দেহে জল ঢেলে দেয়। এখন বুঝছেন, কত বড় জালিয়াতের সঙ্গে তাঁদের ওঠা বসা ছিল।
দেবাঞ্জনের বাবা মনোরজন দেব আবগারি বিভাগের ডেপুটি কমিশনার ছিলেন। দেবাঞ্জনের বোন অত্যন্ত মেধাবী। দেবাঞ্জন নিজে কলকাতার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেনেটিক্স এএমএসসি করেছে। কিন্তু, একবছর বাইরে থেকেই সে ‘আইএএস’ হয়ে ফিরে আসে। মনোরঞ্জন বাবুও বলতেন, হবে না, ছোটবেলায় তো ইংরেজি লেখার জন্য রাষ্ট্রপতির পদক পেয়েছিল। এই রাষ্ট্রপতির পদক পাওয়া দেবাঞ্জনের লাইফ স্টাইল ছিল আইএএস অফিসারদের মতোই। আঠাশ বছরের দেবাঞ্জনের ছিল সুবেশা সেক্রেটারি। ব্যক্তিগত দেহরক্ষী, অফিস স্টাফ, নিল বাতি লাগানো গাড়ি, ঝকঝকে অফিস, কর্মীদের দেবাঞ্জন মাইনে দিতো পঁচিশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা মাসে। কোনও মাসে মাইনে বাকি পড়তো না। সেই কারণেই পুলিশের সন্দেহ দেবাঞ্জনের মাথায় বড় কোনও কারও হাত ছিল। দেবাঞ্জনের এক সঙ্গিনীও এই জালিয়াতি কাণ্ডে জড়িত ছিল। অনুমান করা হচ্ছে এই তরুণী তার প্রেমিকা। আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজের ভুয়া ভ্যাকসিন শিবিরে এই তরুণী সক্রিয় অংশ নেয়। পুলিশ তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ২০০৭ সালে আনন্দপুরের মাদুরদহে এই বাড়িতে আসে দেবাঞ্জনরা। এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, দেবাঞ্জনের বাবা মনোরঞ্জন বাবু ছেলের সম্পর্কে বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলতেন। কখনও তাঁদের মনেও সন্দেহের উদ্রেক হয়নি এমনটি নয়। কিন্তু, ওই নিল বাতির গাড়ি, সাফারি স্যুট পরা বাউন্সার, সুন্দরী কেতাদুরস্ত সঙ্গিনী, অফিস মেইনটেইন করার সাবলীলতা তাঁদের সন্দেহে জল ঢেলে দেয়। এখন বুঝছেন, কত বড় জালিয়াতের সঙ্গে তাঁদের ওঠা বসা ছিল।