বিশ্বজমিন

যেমন করে গড়ে উঠল ৬০০ বেডের করোনা হাসপাতাল

মানবজমিন ডেস্ক

২৪ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১:৩৩ অপরাহ্ন

কেরালায় যে জমিতে কোমল পানীয় কোকাকোলার কারখানা নিয়ে আন্দোলন হয়েছিল, সেখানেই আগামীকাল শুক্রবার উদ্বোধন হচ্ছে করোনা চিকিৎসার নতুন ৬০০ বেডের হাসপাতাল। ২০ বছর পরে কেরালার পালাক্কাড়ে অবস্থিত সেই ৩৪ একর জমি আবার এ জন্য নতুন করে আলোচনায় এসেছে। দুই দশক আগে এই জমি নিয়ে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিল। সেখানে কোমল পানীয়ের কারখানা স্থাপন করা হলে মারাত্মক রকমের দূষণ এবং ভূগর্ভস্থ পানিরও দূষণ ছড়িয়ে পড়বে এমন অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তুলেছিলেন। শুধু তাই নয়। তারা গণআন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। তা সত্ত্বেও সেখানে ওই কোমল পানীয়ের কারখানা বসেছিল। কিন্তু ২০০৪ সালে চূড়ান্ত দফায় কারখানাটি বন্ধ করে দেয় কোকাকোলা কোম্পানি। এরপর থেকে প্লাছিমাড়ার কাছে অবস্থিত ওই স্থাপনা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। আবার ২০ বছর পরে সেখানেই জ্বলবে আলো। তবে এবার আলো জ্বলবে করোনা আক্রান্ত মানুষকে বাঁচানোর জন্য। সেখানে যে রাজ্য সরকার ৬০০ বেডের হাসপাতাল স্থাপন করেছে তা উদ্বোধন হবে শুক্রবার। এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

এই হাসপাতাল নির্মাণে সময় লেগেছে এক মাস বলে জানিয়েছেন কেরালার বিদ্যুতমন্ত্রী কে কৃষ্ণানকুট্টি। তার নির্বাচনী এলাকা ছিত্তুরের অন্তর্ভুক্ত ওই প্লাছিমাড়া। তিনি বলেছেন, এক মাস আগে কেরালায় করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তখনই আমরা রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য অবকাঠামো বাড়ানোর পরিকল্পনা করি। কোকাকোলায় কাজ করতেন এমন সাবেক কিছু কর্মী পরামর্শ দিলেন যে, আমি যেন তাদের স্থাপনাটি একটি হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহারের বিষয় কোকাকোলার কাছে তুলি। এমন আহ্বান জানানো হলে, কোকাকোলা শুধু আমাদেরকে তাদের ভবনই ব্যবহার করতে দিয়েছে এমন নয়, একই সঙ্গে তারা এর পুনঃমেরামতের কাজও করে দিয়েছে। ওই স্থাপনাটিকে একটি হাসপাতালে পরিণত করার জন্য প্রকৃতপক্ষে সময় লেগেছে দু’সপ্তাহ।

কর্মকর্তারা বলেছেন, এই স্থাপনাটিকে হাসপাতালে রূপান্তর করতে খরচ হয়েছে ৭৫ লাখ রুপি। এতে আছে ১০০টি অক্সিজেন বেড, ৪০টি আইসিইউ বেড এবং ১০টি ভেন্টিলেটর। শিশুরোগ বিষয়ে রাখা হয়েছে ১০টি বেড। আশঙ্কা করা হচ্ছে, করোনার তৃতীয় ঢেউ এলে তাতে শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে। এ হাসপাতালে আছে একটি এক কিলোলিটার অক্সিজেন ধারণক্ষমতার ট্যাংক। স্বাস্থ্য বিভাগ এরই মধ্যে সেখানে ডজনখানেক চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে। স্থানীয় পরিষদের সমর্থনে অন্য মেডিকেল স্টাফদের সঙ্গে চুক্তি করা হবে।

মন্ত্রী কৃষ্ণাণকুট্টির মতে, হাসপাতালটির অবকাঠামো ও মেডিকেল সরঞ্জাম সরবরাহ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে সমর্থন করেছে জনগণ এবং ওই অঞ্চলের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত। তার মতে, এই উদ্যোগে কৃষক সহ স্থানীয় অধিবাসীরা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। প্রায় ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক এক সপ্তাহ ধরে রাতদিন কাজ করেছেন এই হাসপাতালটিকে বাস্তবে রূপ দিতে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status