দেশ বিদেশ
দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক বাছিরের ফের জামিন আবেদন
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:১১ অপরাহ্ন
ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে সাময়িক বরখাস্তকৃত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির তৃতীয়বারের মতো হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এ আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। এনামুল বাছিরের আইনজীবী জাহেদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন গ্রাউন্ডে জামিন চেয়ে আবেদন করেছি। গতকাল মামলাটি শুনানির জন্য তালিকায় ছিল কিন্তু শুনানি হয়নি। আমরা সময় নিয়েছি। বৃহস্পতিবার শুনানি হতে পারে। এর আগেও দু’বার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। সূত্র জানায়, গত ২৯শে এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম তার জামিন আবেদন নাকচ করেন। এই আদেশের পর ১৬ই জুন হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন খন্দকার এনামুল বাছির। এর আগে ২০২০ সালের ১১ই মার্চ একই বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১৬ই জুলাই ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় এনামুল বাছিরসহ পুলিশের বরখাস্তকৃত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ফরেনসিক পরীক্ষায় ঘুষ লেনদেন নিয়ে তাদের কথোপকথনের অডিওর সত্যতা পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়, দুদকের বরখাস্ত পরিচালক বাছির নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন। মিজান দুর্নীতির অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য বাছিরকে ঘুষ দিয়েছেন।
এতে দু’জনই দণ্ডবিধির ১৬২/১৬৫ (ক)/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, নথিপত্র পর্যালোচনা, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) ফরেনসিক প্রতিবেদন ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের বক্তব্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, মিজানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদকে অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হয়। অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গত বছরের ২৫শে নভেম্বর বাছিরকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি কাজ শুরু করেন গত বছরের ২৯শে নভেম্বর।
এতে দু’জনই দণ্ডবিধির ১৬২/১৬৫ (ক)/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, নথিপত্র পর্যালোচনা, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) ফরেনসিক প্রতিবেদন ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের বক্তব্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, মিজানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদকে অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হয়। অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গত বছরের ২৫শে নভেম্বর বাছিরকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি কাজ শুরু করেন গত বছরের ২৯শে নভেম্বর।