অনলাইন
কিমের দেশে করোনা নেই! কিভাবে সম্ভব?
তারিক চয়ন
২৩ জুন ২০২১, বুধবার, ৯:৩১ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন বলে মনে করা হয় এবং গোটা বিশ্বে প্রায় ৩৯ লাখ মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু চীনের নিকটতম প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়া বলছে সেখানে কেউই এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হন নি! উত্তর কোরিয়া নিজেই এই তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কে জানিয়ে বলেছে, ১০ জুন পর্যন্ত দেশটিতে ৩০ হাজারের বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হলেও তাদের মধ্যে একজনেরও রিপোর্ট পজেটিভ আসেনি!
বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়-বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার এক মনিটরিং রিপোর্টে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটিতে ৪ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ৭৩৩ জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে যাদের মধ্যে ১৪৯ জন ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুখ কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাস সম্পর্কিত গুরুতর রোগে আক্রান্ত।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য উত্তর কোরিয়ার ওই রিপোর্ট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে কিম জং উনের দেশে একদিকে যেমন স্বাস্থ্য কাঠামো খুবই খারাপ, তেমনই দেশটির সীমান্ত চীন ঘেষা। তাই ওই দেশে একজনেরও করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবর সামনে না আসাটা উদ্বেগজনক।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া করোনার সংক্রমণ রুখতে দেশটিতে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, কূটনীতিকদের দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে, সীমান্ত বন্ধ করে সমস্ত বাণিজ্য নিষিদ্ধ করেছে। লকডাউনের কারণে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির কারণে কয়েক দশকের অব্যবস্থাপনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞার ফলে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি এমনিতেই সংকটের মধ্যে ছিল।
প্রসঙ্গত, গত বছর এপ্রিলের শুরুতে বিশ্বের প্রায় সব দেশ যখন করোনার প্রাদুর্ভাবে জর্জরিত তখনো উত্তর কোরিয়া দাবি করেছিল সে দেশে কোন করোনা নেই। তখন বৃটিশ গবেষক আন্দ্রে আব্রাহামিয়ান বলেছিলেন, এটা ‘একেবারে অসম্ভব’ যে উত্তর কোরিয়ায় কোনো করোনা নেই৷
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়া বিষয়ে কাজ করা দৈনিক ‘এনকে’গত বছর ০৯ মার্চ এক প্রতিবেদনে বলেছিল, উত্তর কোরিয়ার ১৮০ জন সেনা এমন লক্ষণ নিয়ে মারা গেছেন যা করোনার কারণে হতে পারে৷
বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়-বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার এক মনিটরিং রিপোর্টে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটিতে ৪ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ৭৩৩ জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে যাদের মধ্যে ১৪৯ জন ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুখ কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাস সম্পর্কিত গুরুতর রোগে আক্রান্ত।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য উত্তর কোরিয়ার ওই রিপোর্ট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে কিম জং উনের দেশে একদিকে যেমন স্বাস্থ্য কাঠামো খুবই খারাপ, তেমনই দেশটির সীমান্ত চীন ঘেষা। তাই ওই দেশে একজনেরও করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবর সামনে না আসাটা উদ্বেগজনক।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া করোনার সংক্রমণ রুখতে দেশটিতে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, কূটনীতিকদের দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে, সীমান্ত বন্ধ করে সমস্ত বাণিজ্য নিষিদ্ধ করেছে। লকডাউনের কারণে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির কারণে কয়েক দশকের অব্যবস্থাপনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞার ফলে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি এমনিতেই সংকটের মধ্যে ছিল।
প্রসঙ্গত, গত বছর এপ্রিলের শুরুতে বিশ্বের প্রায় সব দেশ যখন করোনার প্রাদুর্ভাবে জর্জরিত তখনো উত্তর কোরিয়া দাবি করেছিল সে দেশে কোন করোনা নেই। তখন বৃটিশ গবেষক আন্দ্রে আব্রাহামিয়ান বলেছিলেন, এটা ‘একেবারে অসম্ভব’ যে উত্তর কোরিয়ায় কোনো করোনা নেই৷
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়া বিষয়ে কাজ করা দৈনিক ‘এনকে’গত বছর ০৯ মার্চ এক প্রতিবেদনে বলেছিল, উত্তর কোরিয়ার ১৮০ জন সেনা এমন লক্ষণ নিয়ে মারা গেছেন যা করোনার কারণে হতে পারে৷