শেষের পাতা
চট্টগ্রামে করোনার অ্যান্টিবডি ৫৫ শতাংশ
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৩ জুন ২০২১, বুধবার, ৯:২৫ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামের ৫৫ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। রাজধানী ঢাকায় এই হার ৭১ শতাংশ। চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বসবাসকারী ৩,২২০ জন মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে এই পরিসংখ্যান পেয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা সংস্থা (আইসিডিডিআর)। গতকাল বেলা ১১টায় বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ও আইসিডিডিআরবি এর এক যৌথ ভার্চ্যুয়াল ওয়েবিনারে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পরে এটি নিয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইসিডিডিআর’বি সম্প্রতি সার্স-কোভ-২ সংক্রমণের বিস্তার নির্ণয়ের জন্য একটি গবেষণা পরিচালনা করেছে। গবেষণাটি ঢাকা ও চট্টগ্রামের বস্তি এবং বস্তিসংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী সার্স-কোভ-২ এর উপসর্গযুক্ত এবং উপসর্গহীন ব্যক্তিদের ওপর করা হয়েছে। এই সমীক্ষার মাধ্যমে সেরোপজিটিভিটি (রক্তে সার্স-কোভ-২ এর উপস্থিতি) সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষণায় গৃহস্থালি পর্যায়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণ, রক্তচাপ ও শরীরের পুষ্টি পরিমাপ এবং রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩ হাজার ২২০ জনের মধ্যে পাঁচ মাসের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বয়স্ক ও তরুণদের সেরোপজিটিভিটির (অ্যান্টিবডি তৈরির পরিমাণ) হার প্রায় সমান। মহিলাদের মধ্যে সেরোপজিটিভিটির হার ৭০.৬ শতাংশ, যা পুরুষদের (৬৬ শতাংশ) তুলনায় বেশি। যেসব অংশগ্রহণকারীদের (মোট ২২০৯) মধ্যে সেরোপজিটিভিটি পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ৩৫.৫ শতাংশের ক্ষেত্রে মৃদু উপসর্গ এসেছে। অতিরিক্ত ওজন, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রয়েছে যাদের, তাদের মাঝে বেশি মাত্রায় সেরোপ্রিভেলেন্স (রক্তে কোভিড উপস্থিতির হার) দেখা গিয়েছে।
গবেষণায় ভিটামিন-ডি এর অপর্যাপ্ততার সঙ্গে সেরোপজিটিভিটির কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। বরং গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ভিটামিন-ডি এর উচ্চ মাত্রার ঘাটতি দেখা গেছে। আর বার বার হাত ধোয়ার প্রবণতা, নাক-মুখ কম স্পর্শ করা, বিসিজি টিকা গ্রহণ এবং মাঝারি ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করা ব্যক্তিদের মাঝে কম মাত্রার সেরোপ্রিভেলেন্স দেখা গেছে বলে জানানো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, বস্তির বাইরে, বস্তিসংলগ্ন এলাকার নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের তুলনায় করোনা অ্যান্টিবডি হার বস্তিতে বেশি। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মধ্যে ঘন ঘন হাত ধোয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রভাব ফেলেছে। স্বল্প শিক্ষিত, অধিক ওজন, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রয়েছে যাদের, তাদের মাঝে অধিক মাত্রায় সেরোপ্রিভেলেন্স (রক্তে কোভিড উপস্থিতির হার) দেখা গিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ফরেইন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও); এবং ইউনাইডেট নেশনস পপুলেশন ফান্ড (ইউএনএফপিএ)। আর বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ এই গবেষণায় অ্যাডভোকেসি পার্টনার হিসেবে কাজ করেছে।
গবেষণায় ভিটামিন-ডি এর অপর্যাপ্ততার সঙ্গে সেরোপজিটিভিটির কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। বরং গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ভিটামিন-ডি এর উচ্চ মাত্রার ঘাটতি দেখা গেছে। আর বার বার হাত ধোয়ার প্রবণতা, নাক-মুখ কম স্পর্শ করা, বিসিজি টিকা গ্রহণ এবং মাঝারি ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করা ব্যক্তিদের মাঝে কম মাত্রার সেরোপ্রিভেলেন্স দেখা গেছে বলে জানানো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, বস্তির বাইরে, বস্তিসংলগ্ন এলাকার নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের তুলনায় করোনা অ্যান্টিবডি হার বস্তিতে বেশি। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মধ্যে ঘন ঘন হাত ধোয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রভাব ফেলেছে। স্বল্প শিক্ষিত, অধিক ওজন, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রয়েছে যাদের, তাদের মাঝে অধিক মাত্রায় সেরোপ্রিভেলেন্স (রক্তে কোভিড উপস্থিতির হার) দেখা গিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ফরেইন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও); এবং ইউনাইডেট নেশনস পপুলেশন ফান্ড (ইউএনএফপিএ)। আর বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ এই গবেষণায় অ্যাডভোকেসি পার্টনার হিসেবে কাজ করেছে।