খেলা

ডেনিশদের ইতিহাস গড়ার অনুপ্রেরণা এরিকসেন

স্পোর্টস ডেস্ক

২২ জুন ২০২১, মঙ্গলবার, ১:৫৮ অপরাহ্ন

কোপেনহেগেনের পার্কেন স্টেডিয়ামে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। দুঃসহ সেই স্মৃতি নিয়েই ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলেছিল ডেনিশরা। সঙ্গে জুটেছিল হারের যন্ত্রণা। পরের ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে দারুণ ফুটবল খেলেও দেখা মেলেনি পয়েন্টের। গ্রুপের শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল রাশিয়া। পরের রাউন্ডে উঠতে যাদের প্রয়োজন ছিল ড্র। গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা রাশিয়াকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে ডেনমার্ক। ডেনিশরা জিতেছে ৪-১ গোলে। প্রথম দুই ম্যাচ হেরেও ইউরোর নকআউট রাউন্ডে নাম লেখানো প্রথম দল ডেনমার্ক। খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ ডেনিশরা পেয়েছিল এরিকসেনের কাছ থেকে।  পার্কেন স্টেডিয়ামে এরিকসেনের মাটিতে লুটিয়ে পড়ার ঘটনায় কেঁদেছিল স্টেডিয়ামের দর্শকরা। সেখানেই ডেনিশরা লিখেছে রূপকথা।

মেজর টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ ও ইউরোয়) ডেনমার্ক শেষবার ৪ গোল করেছিল ১৯৯৮ বিশ্বকাপে। শেষ ষোলোর আশা বাঁচিয়ে রাখতে বড় জয়ই প্রয়োজন ছিল তাদের। এরিকসেনকে প্রতি ম্যাচেই স্মরণ করেছেন পার্কেন স্টেডিয়ামের দর্শকরা। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে এরিকসেন ছুটেছিলেন জাতীয় দলের অনুশীলনে। দলের অন্যতম সেরা তারকার জন্য ‘বাড়তি’ কিছুর তাড়না ছিল ডেনিশ ফুটবলারদের। ডেনমার্ক কোচ ক্যাস্পার জুমল্যান্ড বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ আমাদের কিভাবে কেটেছে সেটা বর্ণনা করা কঠিন। আমরা যেখানেই গিয়েছি, যা করেছি সব সময়ই শুধু এরিকসেনের কথা মনে হয়েছে। দলের সবার মধ্যে দারুণ বোঝাপড়াও সাফল্য পেতে সহায়তা করেছে। তিনটি ম্যাচেই আমরা ভালো ফুটবল খেলেছি। ছেলেরা তার ফল পেয়েছে। আমি মনে করি পুরো দল দেশকে ভালো কিছু দিতে চেয়েছে। গ্যালারিতে, পুরো ডেনমার্ক জুড়ে আমরা নিরঙ্কুশ সমর্থন পেয়েছি। এই অনুভূতি অবর্ণনীয়।’ শেষ ষোলোয় ডেনমার্কের প্রতিপক্ষ গত আসরের সেমিফাইনালিস্ট ওয়েলস।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status