প্রথম পাতা

ভারত আর বাংলাদেশের গেটকিপার নয়

এডাম পিটম্যান

২২ জুন ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:২৯ অপরাহ্ন

একটি নতুন প্রজন্ম এখন বাংলাদেশকে সংজ্ঞায়িত করছে। ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের সময়েই তারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়। এই প্রজন্মটি অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করেছে। এখন তারা নতুন করে তাদের মূল্য নির্ধারণ করছে। দেশের মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগই এই প্রজন্মের। কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রবেশ বাড়ছে এবং তারা এখন সমতা ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে কাজ করছে। গ্রাজুয়েটরা দাতব্য সংস্থা ও প্রযুক্তি কোমপানিগুলোতে চাকরি খুঁজছে। নতুনরা বাজারে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে। সব মিলিয়ে সমগ্র বিশ্ব থেকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য পরিচিত হয়ে উঠছে ঢাকা।

বাংলাদেশের কোনো সংবাদপত্র খুললে সেখানে ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো প্রতিবেদন থাকবে না- এমনটা হয় না। যদিও দেশের বাইরে এই গল্পগুলো খুব একটা পৌঁছায় না। যে দু’একটা পৌঁছায় তাতে দেখা যায় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বৈদেশিক নীতি নিয়ে এক ধরনের রহস্য সৃষ্টি করা হয়। প্রায়ই দেখা যায়- এসব আলোচনা হয় মূলত ভারতকেন্দ্রিক। যদিও বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে যে, দেশটি এখন ভারতের সপর্শের বাইরে। বাংলাদেশ এখন বিচ্যুতি বিন্দুতে (ইনফ্লেকশন পয়েন্ট) পৌঁছে গেছে।

আগে যেভাবে ভারত বাংলাদেশের বিষয়গুলোতে প্রভাব বিস্তার করতো, এখন আর সেদিন নেই। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সমপর্ককে ভারতের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ফলে আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশের এই উত্থানের বিষয়টি। ভারতীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এখন বাংলাদেশের নেয়া সিদ্ধান্ত ও আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। কিন্তু এমন অবস্থা বুঝিয়ে দিয়েছে যে, বাংলাদেশ আজ যে অবস্থায় পৌঁছেছে তা এই বিশ্লেষকরা অনুধাবন করতে পারছে না।

ইন্দো-চীন সম্পর্ক
এ সম্পর্কের বিষয়টি মাত্র এক বছর আগে মিডিয়ায় উঠে আসতে থাকে। ২০২০ সালের ১৭ই এপ্রিলে চীন থেকে বিনিয়োগের বিধিনিষেধ ঘোষণা করে ভারত। এর মাত্র দু’সপ্তাহের কিছু বেশি সময় পরে ৫ই মে ভারতীয় ও চীনের সেনাদের মধ্যে প্রথম সীমান্তে সংঘর্ষ হয়। চীনের বিদ্যমান হুমকি ভারতে অনেকের কাছেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এর জন্য প্রস্তুত ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। বিক্ষোভকারীরা কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন। চীনা পণ্য বর্জন করেছেন আবাসিক কল্যাণ বিষয়ক সংগঠনগুলো। দিল্লির ডিফেন্স কলোনি তো যুদ্ধই ঘোষণা করে বসে। করোনা মহামারির পরেও তারা চীন বিরোধিতা তীব্র করে তোলে। এর মাঝে খুব দ্রুতই বাংলাদেশকে টেনে নেয় ভারতের মিডিয়া।

চীনের সঙ্গে একটি বাণিজ্যিক সমঝোতাকে দেখা হয় এমন এক প্রতীক হিসেবে, যা থেকে মনে করা হয় ভারতের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এসব ইভেন্ট এমন কূটনৈতিক আতঙ্কের প্রতীক হয়ে ওঠে যে, ভারতকে ঘিরে ফেলছে চীন। বাংলাদেশে চীনের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও চুক্তির পুরনো রিপোর্টগুলো নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। একে দেখা হয় ভারতের প্রতি হুমকি হিসেবে। এর কোনো অনুমানই ধোপে টেকেনি। কিন্তু পানি ঘোলা হয়েছে যথেষ্ট।

বৈশ্বিক প্রকাশনাগুলোতে শিরোনাম হিসেবে উঠে এলো সোফোমোরিক (ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দুর্বল হচ্ছে এবং চীনের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী হচ্ছে) থেকে সন্দেহ (ভারতের দিক থেকে বাংলাদেশ মুখ ফিরিয়ে নিলে চীন ও পাকিস্তান লাভবান হবে কিনা?) থেকে জটিলতা (চীনের অর্থনৈতিক তৎপরতা বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে শীতলতা আনবে কিনা?) পর্যন্ত।
কিছু সাংবাদিক সার্কুলার বা বিজ্ঞাপন জাতীয় রিপোর্টিংয়ে যুক্ত হয়ে পড়লেন। কোনো যাচাই বাছাই ছাড়া অন্যরা যেটা করেছে, সেটা দেখে তারাও পুনরায় একই বিষয়ে রিপোর্ট করতে থাকেন। অন্যরা বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। এসব বিশ্লেষক মিডিয়াকে ইকো চেম্বার বা ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এতে সত্যিকার অবস্থার সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততার বিষয়টি জটিল করে তোলে।

ভাষ্যকারদের জন্য কথা বলার একটা সময় ছিল।
বেইজিংয়ের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক নয়াদিল্লির জন্য কী অর্থ বহন করে তা অনেক বছর ধরেই একটি উন্মুক্ত প্রশ্ন হয়ে ছিল। কিন্তু লাদাখে সামরিক সংকটের প্রেক্ষিতে এই প্রশ্নটি নতুন করে জরুরি প্রয়োজনীয়তায় চলে আসে। কৌশলগত অবস্থান অর্জনের জন্য ঢাকাকে প্রভাবিত করতে বেইজিং কি বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে ব্যবহার করবে কিনা- তা হয়ে ওঠে একটি মুখ্য বিষয়।

ঋণ ফাঁদের কূটনীতি
কীভাবে এই নীতি অর্জিত হবে তা খুব কম লোকই বিশ্লেষণ করেছেন। যারা এটা বিশ্লেষণ করেছেন তারা এক্ষেত্রে ঋণের ফাঁদ হিসেবে কূটনৈতিক তত্ত্ব, বিশদভাবে রেফারেন্সে তুলে ধরেছেন। এসব তত্ত্ব অনেক বছর বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবনার আকাশে মেঘ জমিয়েছে।

এই তত্ত্ব অনুযায়ী, বাংলাদেশ শোধ করতে সক্ষম নয়, এমন ঋণ দিতে ঢাকাকে আয়ত্তে এনেছে বেইজিং। এই ঋণ ব্যবহার করে ঢাকার সিদ্ধান্ত নেয়া অথবা অবকাঠামোর আকৃতি কি হবে সে বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করবে বেইজিং।

সহজ ইংরেজিতে এটাকে সুদূরপ্রসারী হিসেবে দেখা হয়। তবু এটাই হলো ঋণ ফাঁদের কূটনীতির অর্থ। বিশেষজ্ঞ অথবা যেসব কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাংবাদিকরা তারা এটাকে ব্যবহার করেছেন খুব বেশি ব্যবহৃত ‘ডগ হুইসেল’ হিসেবে। যদিও এটা প্রমাণ করা শক্ত। তত্ত্বে বর্ণিত যুক্তিকে বিশ্বাস করাতে গিয়ে সাংবাদিকরা প্রক্ষেপিত বিনিয়োগের আকার এবং উচ্চ পর্যায়ের অবকাঠামো প্রকল্পের বর্ণনা করেছেন।

এতে ভাবনা-চিন্তা এবং গবেষণার মধ্যে একটি মিথ্যা ভারসাম্য তৈরি করে, যা এই তত্ত্বকে মিথ্যা করে দেয়। চীনের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার জন্য অনেক ভালো কারণ থাকতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে ঋণ ফাঁদের কূটনীতি তা নয়। বাংলাদেশের জন্য তো নয়ই। যেখানে বোধগম্যভাবে শোধ দেয়ার ক্ষমতা নেই এমন পরিমাণ অর্থ ঢাকা ধার করেনি।

কেন এই মিথ্যা বর্ণনা এত বেশি সামনে আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়।
নয়াদিল্লি কি মার্কিন বিশেষজ্ঞ স্টিভ বেননের ধারণা নিচ্ছে এবং এই অঞ্চলকে জঞ্জাল দিয়ে ভরে ফেলতে চাইছে? যারা মনে করেন ঢাকার কাছ থেকে কৌশলগত সুবিধা নিচ্ছে বেইজিং।
একটি সাধারণ ব্যাখ্যা হলো যে, অংশীদাররা মুহূর্তের মধ্যে দুর্বল অভিজ্ঞতা অনুভব করছেন। লাদাখে হেরে যাওয়ায় যখন ঝাঁকুনি খাচ্ছিল ভারত, তখন বাংলাদেশে তাদের মুখরক্ষা করার বিষয়টি কল্পনা করা সহজ।

ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট অ্যান্ড অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি অস্পষ্ট। কিন্তু অস্পষ্ট নয় চীনের বেল্ট অ্যাল্ড রোড ইনিশিয়েটিভ। বাংলাদেশে চীনের প্রভাবের কারণে ভারতের নতুন বোধোদয় হয়েছে। ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড এনালাইসিসের রিসার্স ফেলো শ্রুতি এস পট্টনায়েকের মতে, এর ফলে বকবকানি করে এমন শ্রেণির মধ্যে কাল্পনিক প্রতিযোগিতা আবর্তিত হয়েছে।
এসবই ছিল কল্পিত।

এক্ষেত্রে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে চীন ও ভারত। তারা এটা স্বীকার করতে ব্যর্থ হয়েছে যে, বাংলাদেশের অনেক অর্থনৈতিক অংশীদার রয়েছে। এতে তাদের চিন্তাভাবনায় যে ‘জিরো-সাম’ আছে তা সীমিত হয়েছে।

চীন এবং ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পণ্য রপ্তানি করে। বাংলাদেশে বড় একটি বিনিয়োগকারী হলো চীন। কিন্তু তারা ২০২০ সালে বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের শতকরা মাত্র ৫.৫ ভাগের অংশীদার। যা অন্য দেশগুলোর তুলনায় একটি লজ্জার। কারণ, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী হলো যুক্তরাষ্ট্র। এখানে তাদের আছে শতকরা ২০.৯ ভাগ শেয়ার।
এক্ষেত্রে এর ধারেকাছেও নেই বেইজিং ও নয়াদিল্লি। কিন্তু মিথ্যাচার চিন্তাভাবনাকে অন্যভাবে বিকৃত করে।

বাংলাদেশে চীনের অর্জনকে যখন দেখা হয় ভারতের জন্য লোকসান হিসেবে, তখন নয়াদিল্লিতে নীতি প্রণেতারা বেইজিংয়ের স্বার্থের সঙ্গে তাদের নিজেদের স্বার্থকে গুলিয়ে ফেলেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বেশকিছু অবকাঠামোতে চীনা কোম্পানির কাজ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলো হলো এক্ষেত্রে উদাহরণ।

বাংলাদেশের উত্থান ঘটছে যেসব প্রকল্পের মধ্য দিয়ে তার সঙ্গে ভারতের কোম্পানিগুলোর অধিক মাত্রায় যুক্ত থাকা উচিত বলে মনে করেন অনেকে। এই স্বার্থটি অবশ্য বেসরকারি খাত পূরণ করতে পারে না। চীনা কোম্পানি বা উন্নত দেশগুলো, যারা বাংলাদেশে দরপত্রে অংশগ্রহণ করে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার মতো ভালো অবস্থানে নেই ভারতের কোম্পানিগুলো।
ভারত যে ভূমিকা রাখতে চায় এবং অন্য অনেকে যে ভূমিকা রাখতে চায়, তার মধ্যে একটি বিচ্ছিন্নতার প্রতিফলন হলো এটা।

যখন সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা ঔদ্ধত্য দেখিয়ে এসব ফারাক পূরণ করার চেষ্টা করেন, তখন তা হারিয়ে যেতে পারে। প্রায় ১০ বছর আগে এ ঘটনাই ঘটেছিল আফ্রিকায়। সেখানে চীনের ক্রমবর্ধমান মার্কেট, ভারত সরকার এবং বেসরকারি খাতগুলোকে একটি ‘জুডাড’ খুঁজে পেতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। কিন্তু এর শেষ হয়েছে দুর্নীতি, প্রতারণা ও ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে।

তা সত্ত্বেও বাংলাদেশি ও ভারতীয়দের জন্য ভালো খবর আছে।
অনুমাননির্ভর ভাষ্য ভারত ও বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একীভূত করার প্রচেষ্টায় আপোষ করেনি। চীন ও ভারতের যেকোনো প্রতিযোগিতার চেয়ে এই প্রচেষ্টায় দেয়া হয়েছে অধিক প্রতিশ্রুতি।
যদি মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়িত হয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর হয় তাহলে বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে শতকরা কমপক্ষে ১৭২ ভাগ। আর ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে শতকরা ২৯৭ ভাগ।

এই বাণিজ্য থেকে আয়ের স্তরে উন্নতি ঘটবে। ভারত ও বাংলাদেশিদের জন্য নিত্যপণ্যের মূল কমে যাবে। সম্প্রতি রেল এবং নৌ-সীমানা বিষয়ক চুক্তি একই রকম উৎসাহমূলক প্রভাব ফেলতে পারে।
এতে নাক সিঁটকানোর কিছু নেই। এসব প্রচেষ্টায় আরও লোভনীয় বাণিজ্য চুক্তির ভিত্তি রচনা করে। বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের সদস্য ভারত ও বাংলাদেশ। সাত দেশের এই গ্রুপটি চায় একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তি। এই মুক্তবাণিজ্য চুক্তি হলে তাতে বিমসটেকভুক্ত সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে শতকরা ৫০০ ভাগ।

এসব সম্ভাবনা নিয়ে ‘ব্যাকগ্রাউন্ডে’ হইচই করা ছাড়া কিছু দেয়নি চীন। কিন্তু বিশেষ স্বার্থের ওপরে রাজনীতিবিদদের জাতীয় স্বার্থ অগ্রাধিকার দেয়ার মতো মেরুদণ্ড থাকা উচিত। নয়াদিল্লিতে মুক্ত বাণিজ্য নিষিদ্ধ হয়ে উঠছে। ‘ডাভোসের লোকেরা’ কখনো ভারতের কাছে ভারতের গল্প বলতে আসবে না। রাজনীতিকরা এখন আত্মনির্ভর ভারত অর্জনের জন্য সুরক্ষার বাণী দেন। বিশেষ স্বার্থবাদী গ্রুপ কখনো অভ্যন্তরণী বাজার ছোট- এ বিষয়ে পরোয়া করে না। তারা বরং অভ্যন্তরীণ ছোট বাজারকে তাদের নিজেদের জন্যই শক্তিশালী বাজারে পরিণত করেন।

রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধিকে আলিঙ্গন করেছে ঢাকা। কিন্তু রপ্তানির বৃহত্তর মার্কেটগুলোর সঙ্গে চুক্তির প্রয়োজনে যে সংস্কার প্রয়োজন তাতে ঘাটতি দেখিয়েছে ঢাকা। এটা একটি লজ্জার বিষয়। এই সংস্কার করা হলে তা হতে পারে বহুজাতির উদ্বেগের সমাধান।

যদিও এই রাজনৈতিক উদ্বেগগুলো দীর্ঘমেয়াদি হয় না।
এক্ষেত্রে কানেক্টিভিটি এবং বাণিজ্যে যেসব প্রতিশ্রুতি তা থেকে যাবে অপরিহার্য্য। এটি এমন একটি সুযোগ যা উদ্যোক্তারা হাতছাড়া হতে দিতে চাইবেন না। সামনের সারিতে আসার চেয়ে রাজনীতিকরা অনেক খারাপ কিছুই করতে পারেন।

(লেখক দক্ষিণ এশিয়াভিত্তিক একজন বিশ্লেষক ও সম্পাদক। তার এই লেখাটি স্ক্রল ডট ইন থেকে অনুবাদ)
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status