প্রথম পাতা
ডিএসই’র বাজার মূলধনে রেকর্ড
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২২ জুন ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:১৮ অপরাহ্ন
সূচকের ধারাবাহিক ঊর্ধ্বগতি বজায় থাকায় সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন গতকাল বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে (৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৭ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা ডিএসই’র ইতিহাসে সর্বোচ্চ)। এদিন সূচকও সাড়ে ৪০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে।
জানা গেছে, গত বছর দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। শেয়ারবাজারের পতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯শে মার্চ সেই সময়ের কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়। তবে প্রায় এক বছর ধরে শেয়ারবাজার ভালো অবস্থানে থাকায় গত বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সেই সঙ্গে সার্কিট ব্রেকারের নতুন নিয়ম আরোপ করা হয়।
শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নতুন সার্কিট ব্রেকারের (দাম কমা বা বাড়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা) নিয়ম চালু করায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দিলেও, তা কাটতে খুব বেশি সময় লাগেনি। লেনদেনের গতি বাড়ার পাশাপাশি সার্বিক বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
ডিএসই পরিচালক মো. রকিবুর রহমান বলেন, ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দিয়ে বিএসইসি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মাধ্যমে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের চয়েজ বাড়বে। এর ফলে লেনদেনের গতি যেমন বাড়বে, তেমনি বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের থেকে ৫৬ পয়েন্ট বা ০.৯২ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ১২৫.৪১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এই সূচক গত সাড়ে ৪০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে এর চেয়ে সূচক বেশি ছিল ২০১৮ সালের ৩০শে জানুয়ারিতে। ওইদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ১২৭.৮০ পয়েন্টে। এ নিয়ে ডিএসই সূচক টানা পাঁচ দিন বাড়লো। এতে ডিএসইএক্সে যোগ হয়েছে মোট ১১১.৭৯ পয়েন্ট। এর আগের দুদিন অবশ্য মাঝারি পতনে সূচক কমেছিল ৫৩ পয়েন্ট।
পাশাপাশি বাজার চাঙ্গা থাকায় গতকাল বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়ে ৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৭ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা ডিএসই’র ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
গতকাল দেশের প্রধান এই পুঁজিবাজারে লেনদেনও বেড়ে দুই হাজার টাকায় পৌঁছেছে। আগের দিনের তুলনায় ১১.৩৫ শতাংশ বা ২০৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৪৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। আগের কর্মদিবসে যা ছিল ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে ৬০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এই বাজারে লেনদেন হয়েছে ৩৭২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এরমধ্যে দর বেড়েছে ২২৪টির এবং কমেছে ১১৯টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির দর।
ডিএসই’র অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৮.৯৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩০৫.৫৭ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১৩.৫৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ২২০.৮৯ পয়েন্টে।
গতকাল খাতওয়ারী লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং বীমা খাত ছাড়া বাকি সব খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে। এদিন ব্যাংক খাতের ৮১ শতাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে। শেয়ার কেনাবেচাও বেড়েছে গত কয়েকদিনের চেয়ে বেশি। এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ।
ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতেও ছিল ঊর্ধ্বগতি। এই খাতে ৭৪ শতাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ৪.০৮ শতাংশ। এদিন বস্ত্র খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও বেড়েছে। এই খাতে তালিকাভুক্ত ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৫৫টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, শতকরা হারে যা ৯৫ শতাংশ। লেনদেনও বেড়ে মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৩৭ শতাংশে পৌঁছেছে। গত কয়েক দিন থেকে গড়ে বস্ত্র খাতের লেনদেন মোট লেনদেনের ৮ শতাংশের মতো ছিল। গতকাল প্রকৌশল খাতেও লেনদেন বেড়ে মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ হয়েছে। দাম বেড়েছে এ খাতের ৫০ শতাংশ শেয়ারের। ওষুধ খাতেও ৭৭ শতাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ৬.৯৯ শতাংশ।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৬৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। বীমা খাতে ৮২ শতাংশ শেয়ারের দাম কমেছে। এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ নিয়ে টানা কয়েকদিন ধরে কমছে বীমা খাতের শেয়ার। লেনদেনও আগের তুলনায় কমেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এ খাতে ২০ শতাংশের উপরে লেনদেন হতো।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও (সিএসই) এদিন বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় সূচকও বেড়েছে। এই বাজারের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৭৮.৭১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৭৭৬.২৫ পয়েন্টে। এই বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৪৮.৪০ শতাংশ বা ৭৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা কমেছে। মোট ৭৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ১৫৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা। সিএসইতে ৩০৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এরমধ্যে দর বেড়েছে ১৯৫টির, কমেছে ৯৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির দর।
জানা গেছে, গত বছর দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। শেয়ারবাজারের পতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯শে মার্চ সেই সময়ের কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়। তবে প্রায় এক বছর ধরে শেয়ারবাজার ভালো অবস্থানে থাকায় গত বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সেই সঙ্গে সার্কিট ব্রেকারের নতুন নিয়ম আরোপ করা হয়।
শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নতুন সার্কিট ব্রেকারের (দাম কমা বা বাড়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা) নিয়ম চালু করায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দিলেও, তা কাটতে খুব বেশি সময় লাগেনি। লেনদেনের গতি বাড়ার পাশাপাশি সার্বিক বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
ডিএসই পরিচালক মো. রকিবুর রহমান বলেন, ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দিয়ে বিএসইসি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মাধ্যমে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের চয়েজ বাড়বে। এর ফলে লেনদেনের গতি যেমন বাড়বে, তেমনি বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের থেকে ৫৬ পয়েন্ট বা ০.৯২ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ১২৫.৪১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এই সূচক গত সাড়ে ৪০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে এর চেয়ে সূচক বেশি ছিল ২০১৮ সালের ৩০শে জানুয়ারিতে। ওইদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ১২৭.৮০ পয়েন্টে। এ নিয়ে ডিএসই সূচক টানা পাঁচ দিন বাড়লো। এতে ডিএসইএক্সে যোগ হয়েছে মোট ১১১.৭৯ পয়েন্ট। এর আগের দুদিন অবশ্য মাঝারি পতনে সূচক কমেছিল ৫৩ পয়েন্ট।
পাশাপাশি বাজার চাঙ্গা থাকায় গতকাল বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়ে ৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৭ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা ডিএসই’র ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
গতকাল দেশের প্রধান এই পুঁজিবাজারে লেনদেনও বেড়ে দুই হাজার টাকায় পৌঁছেছে। আগের দিনের তুলনায় ১১.৩৫ শতাংশ বা ২০৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৪৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। আগের কর্মদিবসে যা ছিল ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে ৬০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এই বাজারে লেনদেন হয়েছে ৩৭২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এরমধ্যে দর বেড়েছে ২২৪টির এবং কমেছে ১১৯টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির দর।
ডিএসই’র অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৮.৯৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩০৫.৫৭ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১৩.৫৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ২২০.৮৯ পয়েন্টে।
গতকাল খাতওয়ারী লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং বীমা খাত ছাড়া বাকি সব খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে। এদিন ব্যাংক খাতের ৮১ শতাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে। শেয়ার কেনাবেচাও বেড়েছে গত কয়েকদিনের চেয়ে বেশি। এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ।
ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতেও ছিল ঊর্ধ্বগতি। এই খাতে ৭৪ শতাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ৪.০৮ শতাংশ। এদিন বস্ত্র খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও বেড়েছে। এই খাতে তালিকাভুক্ত ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৫৫টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, শতকরা হারে যা ৯৫ শতাংশ। লেনদেনও বেড়ে মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৩৭ শতাংশে পৌঁছেছে। গত কয়েক দিন থেকে গড়ে বস্ত্র খাতের লেনদেন মোট লেনদেনের ৮ শতাংশের মতো ছিল। গতকাল প্রকৌশল খাতেও লেনদেন বেড়ে মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ হয়েছে। দাম বেড়েছে এ খাতের ৫০ শতাংশ শেয়ারের। ওষুধ খাতেও ৭৭ শতাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ৬.৯৯ শতাংশ।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৬৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। বীমা খাতে ৮২ শতাংশ শেয়ারের দাম কমেছে। এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ নিয়ে টানা কয়েকদিন ধরে কমছে বীমা খাতের শেয়ার। লেনদেনও আগের তুলনায় কমেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এ খাতে ২০ শতাংশের উপরে লেনদেন হতো।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও (সিএসই) এদিন বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় সূচকও বেড়েছে। এই বাজারের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৭৮.৭১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৭৭৬.২৫ পয়েন্টে। এই বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৪৮.৪০ শতাংশ বা ৭৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা কমেছে। মোট ৭৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ১৫৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা। সিএসইতে ৩০৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এরমধ্যে দর বেড়েছে ১৯৫টির, কমেছে ৯৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির দর।