শেষের পাতা
হাইকোর্টের উষ্মা
১২ বছরের শিশুর ঘাড়ে ভাই হত্যার দায়
স্টাফ রিপোর্টার
২২ জুন ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:১২ অপরাহ্ন
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ১২ বছরের এক শিশুর ঘাড়ে তার ছোট ভাইকে হত্যার দায় চাপানোর ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার ওই মামলার নথি তলব চেয়ে আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। আদালত বলেন, ছোট ভাই হত্যায় ১২ বছরের শিশু বড় ভাইয়ের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায়ের ঘটনা যদি সত্য হয়, তাহলে সেটি দুঃখজনক। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে এবং এটি যদি সত্য হয়, তাহলে সেটি আমাদের দেশের জন্য দুঃখজনক। আমরা এখনও জানি না, কী ঘটেছে। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়ার জন্যও বলেন আদালত। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। পরে আদালত আগামী ২৯শে জুন পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার ড. মো. বশির উল্লাহ। পরে শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, একজন বাবা তার এক সন্তানকে হারালেন, ওই সন্তান হত্যার অভিযোগে বড় ছেলে যার বয়স ১২ বছর, সে হয় আসামি। উল্টো বাড়িঘরও ছাড়তে হয়েছে সন্তানের বাবা-মা’কে। এটি একটি অমানবিক ঘটনা। আইনজীবী বলেন, ১২ বছরের একটি শিশুকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে নেয়া হলো। শিশু আদালতের সামনে এলো অথচ আইন থাকার পরও কোনো পদক্ষেপ নেই।
এর কয়েকদিন আগে, পুলিশের ভুলে ১২ বছরের শিশুর ঘাড়ে ছোট ভাই হত্যার দায়’- শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ সংযুক্ত করে হাইকোর্টে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শিশির মনির। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে ছোট ভাইকে হত্যার দায় নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে ১২ বছর বয়সী বড় ভাইকে। সে বছর ২৫শে আগস্ট বগুড়ার কাটাখালী গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয় মহিদুল ইসলামের ছেলে সোহাগের মরদেহ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে পুলিশ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় বড় ভাইকে। জোর করে হত্যার স্বীকারোক্তিও নেয়া হয়। এ মামলায় এখন বাড়ি ছাড়া পুরো পরিবার। এদিকে সন্তান হত্যা এবং আরেক সন্তানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে কোথাও সহায়তা না পেয়ে দিশাহারা পরিবারটি।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার ড. মো. বশির উল্লাহ। পরে শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, একজন বাবা তার এক সন্তানকে হারালেন, ওই সন্তান হত্যার অভিযোগে বড় ছেলে যার বয়স ১২ বছর, সে হয় আসামি। উল্টো বাড়িঘরও ছাড়তে হয়েছে সন্তানের বাবা-মা’কে। এটি একটি অমানবিক ঘটনা। আইনজীবী বলেন, ১২ বছরের একটি শিশুকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে নেয়া হলো। শিশু আদালতের সামনে এলো অথচ আইন থাকার পরও কোনো পদক্ষেপ নেই।
এর কয়েকদিন আগে, পুলিশের ভুলে ১২ বছরের শিশুর ঘাড়ে ছোট ভাই হত্যার দায়’- শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ সংযুক্ত করে হাইকোর্টে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শিশির মনির। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে ছোট ভাইকে হত্যার দায় নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে ১২ বছর বয়সী বড় ভাইকে। সে বছর ২৫শে আগস্ট বগুড়ার কাটাখালী গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয় মহিদুল ইসলামের ছেলে সোহাগের মরদেহ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে পুলিশ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় বড় ভাইকে। জোর করে হত্যার স্বীকারোক্তিও নেয়া হয়। এ মামলায় এখন বাড়ি ছাড়া পুরো পরিবার। এদিকে সন্তান হত্যা এবং আরেক সন্তানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে কোথাও সহায়তা না পেয়ে দিশাহারা পরিবারটি।