বিশ্বজমিন
সব সম্পদ জব্দ, যেকোনো দিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে অ্যাপল ডেইলি
মানবজমিন ডেস্ক
২১ জুন ২০২১, সোমবার, ১:০৬ অপরাহ্ন
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি জনপ্রিয় পত্রিকা অ্যাপল ডেইলির প্রধান সম্পাদক রায়ান ল, চারজন পরিচালককে গ্রেপ্তার করার পর এর ২৩ লাখ ডলারের সম্পদ জব্দ করেছে কর্তৃপক্ষ। চীনের আরোপ করা জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে এসব করা হচ্ছে। ফলে জেলে থাকা পত্রিকাটির মালিক, মিডিয়া টাইকুন হিসেবে পরিচিত জিমি লাই’য়ের একজন উপদেষ্টা মার্ক সিমন বলেছেন, পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যাওয়া এখন কয়েকদিনের ব্যাপার মাত্র। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা ও বিবিসি।
মার্ক সিমন বলেছেন, পত্রিকাটির কোনো একটি ব্যাংক একাউন্টও সচল নেই। ফলে এখন আর তাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই। উল্লেখ্য, হংকং এবং চীনের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সমালোচনাকারী হিসেবে এই পত্রিকাটির সুনাম আছে। এ জন্য পাঠকপ্রিয়তাও অর্জন করেছে। মার্ক সিমন বলেছেন, আপনার হাতে যখন অর্থ থাকবে না, তখন আপনি তো ব্যবসা করতে পারবেন না। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আপনি মানুষের কাছে কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন না, যখন এসব কাজে প্রয়োজনীয় অর্থের সুযোগ আপনার না থাকে। অর্থ ছাড়া এমন কাজ করা হংকংয়ে অবৈধ। সোমবারও এ পত্রিকাটি খবরের কাগজ বিতরণকারী বা হকারদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে। তবে যদি জব্দ করা ব্যাংক একাউন্টগুলো খুলে দেয়া না হয়, তাহলে দু’এক দিনের মধ্যেই এটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এরই মধ্যে আজ সোমবার পত্রিকাটির প্রকাশক নেক্সট ডিজিটাল নামের কোম্পানি পত্রিকাটির ভবিষ্যত কি হবে তা নিয়ে পরিচালনা পরিষদের একটি বৈঠক আহ্বান করেছে। রোববার অ্যাপল ডেইলি বলেছে, তাদের কাছে যে অর্থ আছে তা দিয়ে মাত্র কয়েক সপ্তাহ স্বাভাবিক কার্যক্রম চালানো সম্ভব। গত বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০০ পুলিশ কর্মকর্তা হংকংয়ে অ্যাপল ডেইলির অফিসে তল্লাশি করে। তাদের অভিযোগ, পত্রিকাটি জাতীয় নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন হয় এমন কিছু রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ওই অভিযানে পুলিশ পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক, চারজন নির্বাহীকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। জব্দ করে অ্যাপল ডেইলি লিমিটেড, অ্যাপল ডেইলি প্রিন্টিং লিমিটেড এবং এডি ইন্টারনেট লিমিটেডের মালিকানাধীন পত্রিকাটির ২৩ লাখ ডলারের সম্পদ।
অনলাইনে যেসব ছবি প্রকাশ করেছে অ্যাপল ডেইলি তাতে দেখা যায়, পত্রিকাটিতে কর্মরত সাংবাদিকদের কম্পিউটারে হাতাহাতি করছে পুলিশ। জবাবে পুলিশ বলেছে, সাংবাদিকদের বিষয়ে তল্লাশি এবং সম্পদ জব্দ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তাদেরকে। ওইদিন দিনের শেষে সংবাদ সম্মেলন করেছে পুলিশ। তাতে তারা বলেছে, ২০১৯ সাল থেকে হংকং এবং চীনের বিরুদ্ধে অবরোধ দেয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কমপক্ষে ৩০টি আর্টিক্যাল প্রকাশ করেছে অ্যাপল ডেইলি।
ওদিকে ২০১৯ সালে কর্তৃপক্ষের অনুমতির বাইরে গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ ও সমর্থনের জন্য একগাদা অভিযোগ আনা হয়েছে পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা জিমি লাইয়ের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। তিনি পোশাক শিল্প থেকে প্রাথমিকভাবে আয় করেছেন কমপক্ষে ১০০ কোটি ডলারের সম্পদ। পরে তিনি মিডিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং প্রতিষ্ঠা করেন নেক্সট মিডিয়া। মে মাসে জিমি লাইয়ের সম্পদ জব্দ করে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে তার ব্যাংক একাউন্ট এবং নেক্সট ডিজিটাল-এ তার যে শতকরা ৭১.২৬ ভাগ শেয়ারও। এই শেয়ারের মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
জিমি লাইয়ের একাউন্টে কোনো লেনদেন হলে সাত বছর পর্যন্ত জেল হবে- এমন হুমকি দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে এইচএসবিসি এবং সিটিব্যাংককে। এই চিঠি দিয়েছে হংকংয়ের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান। জেলে নেয়ার আগে জিমি লাই বিবিসিকে শেষ সাক্ষাৎকার দেন। তাতে তিনি বলেছেন, কোনো ভয়ভীতির কাছে মাথানত করবেন না তিনি। তার ভাষায়, যদি তারা আপনার ভিতরে ভয় ঢুকিয়ে দিতে পারে, তাহলে তা হবে আপনাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে সস্তা উপায় এবং সবচেয়ে কার্যকর পন্থা। এ বিষয়টি তারা ভালভাবে জানে। তাই ভীতি প্রদর্শনকে পরাজিত করতে হলে ভয়হীন অবস্থায় তা মোকাবিলা করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে হংকংয়ের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয় জাতীয় নিরাপত্তা আইন। এর উদ্দেশ্য ছিল সেখানে গণতন্ত্রপন্থিদের ব্যাপক আন্দোলন। তাদেরকে দমিয়ে দেয়ার জন্য প্রণয়ন করা হয় ওই আইন। আইনটি করার ফলে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের অবক্ষয় হয়েছে। সেখানে যেকোনো বিক্ষোভকারীকে শাস্তি দেয়া সহজ হয়েছে। স্বাধীনতাকামী, রাষ্ট্রদ্রোহী এবং বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজসকারীকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন শাস্তি দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। জুনে আইনটি কার্যকর করার পর জিমি লাই সহ কমপক্ষে ১০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মার্ক সিমন বলেছেন, পত্রিকাটির কোনো একটি ব্যাংক একাউন্টও সচল নেই। ফলে এখন আর তাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই। উল্লেখ্য, হংকং এবং চীনের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সমালোচনাকারী হিসেবে এই পত্রিকাটির সুনাম আছে। এ জন্য পাঠকপ্রিয়তাও অর্জন করেছে। মার্ক সিমন বলেছেন, আপনার হাতে যখন অর্থ থাকবে না, তখন আপনি তো ব্যবসা করতে পারবেন না। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আপনি মানুষের কাছে কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন না, যখন এসব কাজে প্রয়োজনীয় অর্থের সুযোগ আপনার না থাকে। অর্থ ছাড়া এমন কাজ করা হংকংয়ে অবৈধ। সোমবারও এ পত্রিকাটি খবরের কাগজ বিতরণকারী বা হকারদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে। তবে যদি জব্দ করা ব্যাংক একাউন্টগুলো খুলে দেয়া না হয়, তাহলে দু’এক দিনের মধ্যেই এটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এরই মধ্যে আজ সোমবার পত্রিকাটির প্রকাশক নেক্সট ডিজিটাল নামের কোম্পানি পত্রিকাটির ভবিষ্যত কি হবে তা নিয়ে পরিচালনা পরিষদের একটি বৈঠক আহ্বান করেছে। রোববার অ্যাপল ডেইলি বলেছে, তাদের কাছে যে অর্থ আছে তা দিয়ে মাত্র কয়েক সপ্তাহ স্বাভাবিক কার্যক্রম চালানো সম্ভব। গত বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০০ পুলিশ কর্মকর্তা হংকংয়ে অ্যাপল ডেইলির অফিসে তল্লাশি করে। তাদের অভিযোগ, পত্রিকাটি জাতীয় নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন হয় এমন কিছু রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ওই অভিযানে পুলিশ পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক, চারজন নির্বাহীকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। জব্দ করে অ্যাপল ডেইলি লিমিটেড, অ্যাপল ডেইলি প্রিন্টিং লিমিটেড এবং এডি ইন্টারনেট লিমিটেডের মালিকানাধীন পত্রিকাটির ২৩ লাখ ডলারের সম্পদ।
অনলাইনে যেসব ছবি প্রকাশ করেছে অ্যাপল ডেইলি তাতে দেখা যায়, পত্রিকাটিতে কর্মরত সাংবাদিকদের কম্পিউটারে হাতাহাতি করছে পুলিশ। জবাবে পুলিশ বলেছে, সাংবাদিকদের বিষয়ে তল্লাশি এবং সম্পদ জব্দ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তাদেরকে। ওইদিন দিনের শেষে সংবাদ সম্মেলন করেছে পুলিশ। তাতে তারা বলেছে, ২০১৯ সাল থেকে হংকং এবং চীনের বিরুদ্ধে অবরোধ দেয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কমপক্ষে ৩০টি আর্টিক্যাল প্রকাশ করেছে অ্যাপল ডেইলি।
ওদিকে ২০১৯ সালে কর্তৃপক্ষের অনুমতির বাইরে গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ ও সমর্থনের জন্য একগাদা অভিযোগ আনা হয়েছে পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা জিমি লাইয়ের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। তিনি পোশাক শিল্প থেকে প্রাথমিকভাবে আয় করেছেন কমপক্ষে ১০০ কোটি ডলারের সম্পদ। পরে তিনি মিডিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং প্রতিষ্ঠা করেন নেক্সট মিডিয়া। মে মাসে জিমি লাইয়ের সম্পদ জব্দ করে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে তার ব্যাংক একাউন্ট এবং নেক্সট ডিজিটাল-এ তার যে শতকরা ৭১.২৬ ভাগ শেয়ারও। এই শেয়ারের মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
জিমি লাইয়ের একাউন্টে কোনো লেনদেন হলে সাত বছর পর্যন্ত জেল হবে- এমন হুমকি দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে এইচএসবিসি এবং সিটিব্যাংককে। এই চিঠি দিয়েছে হংকংয়ের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান। জেলে নেয়ার আগে জিমি লাই বিবিসিকে শেষ সাক্ষাৎকার দেন। তাতে তিনি বলেছেন, কোনো ভয়ভীতির কাছে মাথানত করবেন না তিনি। তার ভাষায়, যদি তারা আপনার ভিতরে ভয় ঢুকিয়ে দিতে পারে, তাহলে তা হবে আপনাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে সস্তা উপায় এবং সবচেয়ে কার্যকর পন্থা। এ বিষয়টি তারা ভালভাবে জানে। তাই ভীতি প্রদর্শনকে পরাজিত করতে হলে ভয়হীন অবস্থায় তা মোকাবিলা করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে হংকংয়ের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয় জাতীয় নিরাপত্তা আইন। এর উদ্দেশ্য ছিল সেখানে গণতন্ত্রপন্থিদের ব্যাপক আন্দোলন। তাদেরকে দমিয়ে দেয়ার জন্য প্রণয়ন করা হয় ওই আইন। আইনটি করার ফলে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের অবক্ষয় হয়েছে। সেখানে যেকোনো বিক্ষোভকারীকে শাস্তি দেয়া সহজ হয়েছে। স্বাধীনতাকামী, রাষ্ট্রদ্রোহী এবং বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজসকারীকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন শাস্তি দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। জুনে আইনটি কার্যকর করার পর জিমি লাই সহ কমপক্ষে ১০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।