বাংলারজমিন

চিলমারীতে সংযোগ সড়ক নির্মাণে বাধা

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

২১ জুন ২০২১, সোমবার, ৯:০৯ অপরাহ্ন

দূরত্ব কমানোসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে হাতে নেয়া হয় চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতু ও সংযোগ সড়ক প্রকল্প। প্রকল্পের অনুমতি হলেও কর্তৃপক্ষের গাফলতি আর অনিয়মের কারণে দেখা দিয়েছে জটিলতা। বারবার নকশার পরিবর্তনে হতাশা দিনপাত করছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার মানুষের বসবাস খুব কাছে হলেও একমাত্র তিস্তা নদীর খেয়া নৌকাই যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। ফলে এ দুই জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি তিস্তার উপর একটি সেতু নির্মাণের। চিলমারী-হরিপুর  সেতুর প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে ২০১৪ সালের ২৫শে জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৪৯০ মিটার চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। এরপর পুরোদমে সেতুসহ সংযোগ সড়কে কাজ দ্রুত গতিতে চলতে শুরু করলেও ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ মাঝ পথে থেমে যায়। সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হলেও ভূমি অধিগ্রহণ সার্ভেয়ারের এলোমেলো সীমানা খুঁটি স্থাপন করায় তা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও সংযোগ সড়কের জন্য ৫ থেকে ৮ ফুট জায়গা বিনামূল্যে নেয়া ও জমির মূল্য সঠিকভাবে না পাওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সরজমিন দেখা গেছে, শরিফেরহাট এলাকায় মাঝ পথে সংযোগ সড়কে কাজ বন্ধ রয়েছে। সরকার পাড়া কুষ্টারী এলাকায় ব্রিজ (কালভার্ট) এর সামনে ঘর নির্মাণ করে সড়ক নির্মাণে বাধাগ্রস্ত করেছেন জমি অধিগ্রহণ থেকে বঞ্চিত ও টাকা না পাওয়া জমির মালিকগণ।
উপজেলার শরিফেরহাট এলাকার সাজু গং জানান, সড়ক নির্মাণে তাদের প্রায় ১৩ শতাংশ জমি পড়লে অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৫ শতাংশ। তাই তিনি সঠিকভাবে অধিগ্রহণসহ সঠিক মূল্যের দাবি জানান। একই অভিযোগ ছোট কুষ্টারী এলাকার আজেমার। তিনি বলেন, তার জমি পড়লেও তা অধিগ্রহণ না করেই সড়ক নির্মাণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এই জটিলতার জন্য বারবার ডিসি (জেলা প্রশাসক) কার্যালয়ে ঘুরেও কোনো ফল পাননি তিনি। এলাকার আব্দুর রহিম দুলাল জানান, সড়ক সংযোগের জন্য তার ১৩ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের কথা ছিল। বর্তমানে অধিগ্রহণ দেখানো হচ্ছে মাত্র ৫ শতাংশ। সংযোগ সড়ক নির্মাণে তার ৮ ফুট জমি বিনা মূল্যে দখল করা হচ্ছে। আজাদ মিয়া জানান, আমার ১৭ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হবে জানিয়ে ব্রিজ (বক্স কালভার্ট) নির্মাণ করা হয়। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ সার্ভে অনুযায়ী আমার সাড়ে ১০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিলুফা সুলতানা জানান, সরজমিন বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status