বাংলারজমিন

সীতাকুণ্ডে কদর বেড়েছে জাল তৈরির কারিগরদের

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

২০ জুন ২০২১, রবিবার, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে উপজেলার বেশি ভাগ বাসিন্দা কেউ জীবিকার তাগিদে, আবার কেউ শখের বশে নদীনালা ডোবাণ্ডপুকুর থেকে মাছ শিকার করেন। তবে বর্ষা মৌসুমে মাছ শিকারের চাহিদা বেড়ে যায়। গ্রামীণ জীবনের মাছ ধরতে ঝাঁকি, চাকা ও কোনো জালের ব্যবহার মিশে আছে সেই দূর অতীত থেকে। আগে প্রায় বাড়িতেই মাছ ধরার জাল বোনা হতো । কিন্তু কালের বিবর্তনে সময় ব্যয় করে এখন আর তেমন জাল বোনা হয় না। অধিকাংশ মানুষ তাই বাজারে থেকে জাল কিনে থাকেন। বর্ষা এলে জাল বিক্রির এমনই পসরা বসে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে। আর এসব ছোটখাট দোকানকে কেন্দ্র করে গ্রামের সাধারণ মানুষদের উপস্থিতি থাকে বেশ চোখে পড়ার মতো।
সরজমিন সীতাকুণ্ড বাজারে দেখা গেছে, মাছ ধরার নানা সাইজের ঝাঁকি, কোনো এবং চাক জালের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা সঙ্গে দাম হাঁকিয়ে বেচাবিক্রি করছেন ধুমছে। সাইজ অনুযায়ী জালের বিক্রিয়মূল্য একেক রকমের। বড় আকারের ঝাঁকি জাল সর্বনিম্ন ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এছাড়া ও মাঝারি আকারের ঝাঁকি জাল ১ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। কোন কোন জাল ৬৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা বিক্রি হয়। এছাড়া খুচরা ৫০ থেকে ১০০ টাকা দামে বিক্রয় করা হয়। উপজেলার মান্দরীটোলা গ্রামের মোঃ ইব্রাহিম বলেন, বর্ষা মৌসুমে ধান ক্ষেতে ও ছোট নালায় প্রচুর চিংড়ি মাছ পাওয়া যায়। বডিবিল্ডার্স চিংড়ি মাছ ধরার জন্য চাক জালের প্রচুর চাহিদা। তিনি গ্রামের বাড়ির পাশে নালায় চাক জাল দিয়ে চিংড়ি মাছ ধরার জন্য জাল কিনেছেন।একই গ্রামের হানিফ বলেন, এক সময়ে বাঁশের তৈরি চাঁইয়ের চাহিদা ছিল। বর্তমানে বাঁশের তৈরি চাঁইয়ের দাম বেশি হওয়ায় চাক জাল মানুষ বেশি কিনছে। জাল ব্যবসায়ী রাহুল ভট্টাচার্য জানান, বর্ষা সারা মাস বিভিন্ন হাটণ্ডবাজারে ঝাঁকি ও কোনো জাল বিক্রি হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে কারেন্ট জালের ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে এই জলের চাহিদা দিন দিন কমছে। কিন্তু পূর্বপুরুষের পেশা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য এখনো এই বিক্রয় করে যাচ্ছি। আরেক জাল ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বলেন, বর্ষার সময় চাহিদা বেশি থাকায় আমাদের বেচাবিক্রি ভালো হয়ে থাকে। প্রতিদিন গড়ে ৫ণ্ড৬ টা এবং তার বেশিও ছোট বড় ঝাঁকি জাল বিক্রি হয়। কিন্তু এই মৌসুম শেষ হলে অলস হয়ে পড়ে থাকতে হয়। তখন প্রতিদিন ২টা, সর্বোচ্চ হলে ৩টা বিক্রি হয়। তাও আবার সীমিত লাভে। এমনও সময় গেছে সপ্তাহে একটাও বিক্রয় করতে পারি নাই।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status