দেশ বিদেশ
খুলনায় একদিনে সর্বোচ্চ ২২ জনের মৃত্যু, লকডাউন বাড়লো আরও এক সপ্তাহ
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২০ জুন ২০২১, রবিবার, ৯:২২ অপরাহ্ন
খুলনা বিভাগে করোনায় মৃত্যু এবং আক্রান্তের হার বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত একদিনে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর মধ্যে কুষ্টিয়ায় সর্বোচ্চ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে বিভাগে ৬২৫ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯২ জন। এদিকে খুলনায় আরও এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী সাতদিন জেলা ও মহানগরীতে এ কঠোর লকডাউন পালন করা হবে। গতকাল দুপুরে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কাঁচামাল ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন ব্যতীত কোনো গণপরিবহন খুলনায় প্রবেশ করতে বা বের হতে পারবে না।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ার সাতজন, খুলনার তিনজন, সাতক্ষীরার চারজন, যশোরে তিনজন, চুয়াডাঙ্গার দুই, মেহেরপুরে দুজন ও ঝিনাইদহে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। তবে শুক্রবার বিভাগে আটজনের মৃত্যু হয়।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পারসন ও খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং ৩ জন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া আইসিইউতে রয়েছেন ১৯ জন। এছাড়া হাসপাতালে সকাল ৮ টা পর্যন্ত ১৫৫ জন রোগী ভর্তি ছিল। যার মধ্যে রেডজোনে ৯৫ জন, ইয়ালোজোনে ২১ জন, এইচডিইউতে ২০ জন এবং আইসিইউতে ১৯ জন চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৪ জন।
খুলনা করোনা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটজনের মৃত্যু হয়। এরা হলেন, খুলনার রূপসার আবুল হোসেন (৬০), নগরীর লবণচরা এলাকার শাহজাহান (৪৯), যশোর কেশবপুরের মিজানুর রহমান (৫৮), কেশবপুরের আলেয়া (৬০), সাতক্ষীরার কলারোয়ার সাবদুল (৫১), কলারোয়ার আব্বাস গাজী (৬২), কালিগঞ্জের শেখ আইয়ুব আলী (৫৮) ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মিনারা বেগম (৫৫)।
এদিকে খুলনায় এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী সাতদিন জেলা ও মহানগরে এ কঠোর লকডাউন পালন করা হবে। গতকাল দুপুরে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কাঁচামাল ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন ব্যতীত কোনো গণপরিবহন খুলনায় প্রবেশ করতে বা বের হতে পারবে না। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার পূর্বনির্ধারিত কঠোর বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকবে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা ও মহানগর কমিটির সভায় সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এসব সিদ্ধান্ত জানান। খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে গতকাল দুপুরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক আরও জানান, খুলনা জেনারেল হাসপাতালকে ৭০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। এটি আজ রোববার থেকে চালু হবে। করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে নগরীতে জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটির মাধ্যমে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে। কঠোর লকডাউন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সবাইকে অবহিত করা হবে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ার সাতজন, খুলনার তিনজন, সাতক্ষীরার চারজন, যশোরে তিনজন, চুয়াডাঙ্গার দুই, মেহেরপুরে দুজন ও ঝিনাইদহে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। তবে শুক্রবার বিভাগে আটজনের মৃত্যু হয়।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পারসন ও খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং ৩ জন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া আইসিইউতে রয়েছেন ১৯ জন। এছাড়া হাসপাতালে সকাল ৮ টা পর্যন্ত ১৫৫ জন রোগী ভর্তি ছিল। যার মধ্যে রেডজোনে ৯৫ জন, ইয়ালোজোনে ২১ জন, এইচডিইউতে ২০ জন এবং আইসিইউতে ১৯ জন চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৪ জন।
খুলনা করোনা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটজনের মৃত্যু হয়। এরা হলেন, খুলনার রূপসার আবুল হোসেন (৬০), নগরীর লবণচরা এলাকার শাহজাহান (৪৯), যশোর কেশবপুরের মিজানুর রহমান (৫৮), কেশবপুরের আলেয়া (৬০), সাতক্ষীরার কলারোয়ার সাবদুল (৫১), কলারোয়ার আব্বাস গাজী (৬২), কালিগঞ্জের শেখ আইয়ুব আলী (৫৮) ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মিনারা বেগম (৫৫)।
এদিকে খুলনায় এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী সাতদিন জেলা ও মহানগরে এ কঠোর লকডাউন পালন করা হবে। গতকাল দুপুরে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কাঁচামাল ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন ব্যতীত কোনো গণপরিবহন খুলনায় প্রবেশ করতে বা বের হতে পারবে না। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার পূর্বনির্ধারিত কঠোর বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকবে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা ও মহানগর কমিটির সভায় সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এসব সিদ্ধান্ত জানান। খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে গতকাল দুপুরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক আরও জানান, খুলনা জেনারেল হাসপাতালকে ৭০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। এটি আজ রোববার থেকে চালু হবে। করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে নগরীতে জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটির মাধ্যমে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে। কঠোর লকডাউন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সবাইকে অবহিত করা হবে।