এক্সক্লুসিভ
পাগলা মসজিদের সিন্দুকে এবার দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকা
আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ থেকে
২০ জুন ২০২১, রবিবার, ৭:৫৪ অপরাহ্ন
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক থেকে এবার দুই কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা পাওয়া গেছে। যা দান সিন্দুক থেকে পাওয়া দানের হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গতকাল সকাল ৯টায় দান সিন্দুক খোলার পর বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টাকা গণনা শেষে এই হিসাব পাওয়া যায়। মোট ২২২ জন মানুষ টানা সাড়ে ৭ সাত ঘণ্টা সময় ধরে এ টাকা গণনা করেন। বিপুল পরিমাণ দানের এই নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও দান হিসেবে বেশকিছু স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার অন্যবারের চেয়ে পরিমাণে বেশি পাওয়া গেছে। এর আগে সর্বশেষ গত ২৩শে জানুয়ারি দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দান সিন্দুক খোলার সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে। এবার ৪ মাস ২৬ দিন পর এসব দান সিন্দুক খোলা হয়েছে। করোনাকালে এর আগে গত বছরের ২২শে আগস্ট ৬ মাস ৭ দিন পর এবং গত ২৩শে জানুয়ারি ৫ মাস ৪ দিন পর দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। তবে এবার ৮টি দানসিন্দুকের মধ্যে ৫টি দানসিন্দুক খোলার অন্তত ৭ দিন আগেই পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় সেগুলোতে দান গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছিল। দান সিন্দুক থেকে টাকা খুলে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এবার ১২ বস্তা টাকা হয়েছে। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনা। টাকা গণনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদ-মাদ্রাসার ১২৭ জন ছাত্র-শিক্ষক, রূপালী ব্যাংকের ৫২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ১০ জন আনসার এবং ৩৩ জন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ২২২ জন মানুষ অংশ নেন।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ এবং কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিনের তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উবায়দুর রহমান সাহেল, মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ, মো. ইব্রাহীম ও মাহামুদুল হাসান, পাগলা মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যাংকের এজিএম মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন। এ সময় পাগলা মসজিদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আসাদ উল্লাহ ও সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু সহ সিন্দুক খোলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। তবে এবার ৮টি দানসিন্দুকের মধ্যে ৫টি দানসিন্দুক খোলার অন্তত ৭ দিন আগেই পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় সেগুলোতে দান গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছিল। দান সিন্দুক থেকে টাকা খুলে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এবার ১২ বস্তা টাকা হয়েছে। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনা। টাকা গণনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদ-মাদ্রাসার ১২৭ জন ছাত্র-শিক্ষক, রূপালী ব্যাংকের ৫২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ১০ জন আনসার এবং ৩৩ জন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ২২২ জন মানুষ অংশ নেন।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ এবং কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিনের তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উবায়দুর রহমান সাহেল, মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ, মো. ইব্রাহীম ও মাহামুদুল হাসান, পাগলা মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যাংকের এজিএম মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন। এ সময় পাগলা মসজিদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আসাদ উল্লাহ ও সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু সহ সিন্দুক খোলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।