বিশ্বজমিন
প্লেবয় ম্যানসনে নগ্ন পার্টি, পর্নো তারকার ছড়াছড়ি, টিভিতে রগরগে দৃশ্য
মানবজমিন ডেস্ক
১৯ জুন ২০২১, শনিবার, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
লস অ্যানজেলেসে ২৯টি বেডরুমের রমরমা প্লেবয় ম্যানসন। রাতে জিগজ্যাগ আলোতে অন্য এক জগত সেখানে। চলে ন্যুড পার্টি বা নগ্ন পার্টি। জমিয়ে আড্ডা দেন পর্নো তারকারা। প্রাইভেট রুমে চলে অন্য এক খেলা। টিভির পর্যায় রগরগে ছবি। এসব দেখে দেখে বড় হয়েছেন জেনিফার সাগিনোর (৫১)। মাত্র ৬ বছর বয়সে তিনি ওই ম্যানসনে যাওয়া শুরু করেন। কিন্তু ১২ বছর বয়সে ২৯টি বেডরুমের মধ্যে নিজেই একটি কক্ষ পেয়ে যান তিনি। এর কারণ আছে। প্লেবয় বস হিউ হেফনারের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন ড. মার্ক সাগিনোর। তিনি হিউ হেফনারকে নানা রকম চিকিৎসা দিতেন। এ জন্য তার কাছে চিকিৎসক মার্ক সাগিনোর হয়ে ওঠেন ‘ড. ফিলগুড’। এই চিকিৎসকের মেয়ে জেনিফার সাগিনোর। সেই সুবাদে তার যাওয়া আসা ওই প্লেবয় ম্যানসনে। ওই সময়ের অভিজ্ঞতা তিনি এক্সক্লুসিভ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন ডেইলি মেইলকে। প্লেবয় ম্যানসন নিয়ে তিনি বলেছেন, আমার মতে এটা সবচেয়ে ম্যাজিক্যাল একটি জায়গা। ডিজনিল্যান্ড জাতীয় পরিবেশ- যা শিশুরা পছন্দ করে। আমি সেখানে গেমরুমে ছুটে যেতাম। কতগুলো গামবল পকেটে ঢুকিয়ে নিতাম। গুহার মতো গ্রোটো’তে চলে যেতাম। সেখানে যেসব মানুষ থাকতেন তারা বুঝতেই পারতেন না সেখানে আমি গিয়েছি। ওই গ্রোটো থেকে টানেল দিয়ে সাঁতরে চলে গিয়েছি পুলে। এমনি অনেক এডভেঞ্চার করেছি আমি।
কিন্তু বয়স থেমে থাকে না। বড় হতে থাকেন জেনিফার সাগিনোর। তার শরীরে, বোধে পরিবর্তন আসে। তিনি বুঝতে পারেন, সেখানে যেসব প্রাপ্ত বয়স্করা যাচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগই সীমা লঙ্ঘন করছেন আচরণে। এ বিষয়টি তার নিজের মনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে অনেকদিন।
প্লেবয় ম্যানসনের সেই দিনগুলো নিয়ে স্মৃতিকথা ‘প্লেগ্রাউন্ড’ লিখেছেন জেনিফার সাগিনোর। এতে তিনি বলেছেন, প্লেবয় বস হিউ হেফনারকে তিনি ‘আঙ্কেল’ হিসেবে জানতেন। কিন্তু নিজের পিতা ড. মার্ক সাগিনোর জেনিফার সাগিনোর ও তার এক বোনকে নগ্নতায় উদ্বুদ্ধ করতেন। জেনিফার সাগিনোরের বয়স যখন ১৫ বছর তখন তাকে ক্লাবে নিয়ে যেতে শুরু করেন। ফলে বেশির ভাগ সময় তার কেটে যেতো প্লেবয় ম্যানসনে। এ সময় সেখানে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন স্বর্ণকেশী সুন্দরী থেকে দুষ্টুমিতে ভরা ভরাযৌবনাদের। দেখেছেন নগ্ন পার্টি। প্যারেড করে ছুটে যাচ্ছেন পর্নো তারাকারা। এমনই একজন হলেন রন জেরেমি। টিভির বিশাল পর্দায় দেখানো হচ্ছে রগরগে দৃশ্য।
বর্তমানে নেটফ্লিক্সে একটি ডকুমেন্টারি তৈরি হচ্ছে। তাতে দেখা যাবে জেনিফার সাগিনোরকে। সেপ্টেম্বরে প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে তা। এতে তিনি প্লেবয় ম্যানসনের ভিতরে বাইরে যেসব অস্বাভাবিকতা প্রত্যক্ষ করেছেন তা তুলে ধরবেন। এই ডকুমেন্টারিতে জেনিফার সাগিনোরের পাশাপাশি থাকবেন জ্যাকি হ্যাটেন (৪৮)। ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকে জ্যাকি হ্যাটেন নিয়মিত প্লেবয় ম্যানসনে যাওয়া শুরু করেন। অবশ্য, এর জন্য বড় অবদান তার বেস্ট ফ্রেন্ড আনা নিকোলে স্মিথের। তিনিও বলেছেন, ২০১০ সালে শেষবার তিনি গিয়েছিলেন ওই ম্যানসনে। এরপরই তিনি রিহ্যাবে যান। তিনি প্লেবয় ম্যানসনে দেখেছেন রূপের ছটা। দেখেছেন রগরগে পার্টি। যুবতীদের শরীর দেখিয়ে অন্যকে আকৃষ্ট করার এক প্রতিযোগিতা। হিউ হেফনারের গার্লফ্রেন্ড অনেক। তাদের একজন জেনিফার সাগিনোরকে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি বলেছেন, সব সময় ওই ম্যানসনের মধ্যে এক প্রতিযোগিতা হয়।
দুষ্টু মেয়েদের প্রতিযোগিতা। ওই সময় হলি ম্যাডিসন, কেন্দ্র উইলকিনসন এবং ব্রিজিত মারকুয়ার্ডটের সঙ্গে ডেটিং করছিলেন হিউ হেফনার। ওই ম্যানসনের ভিতরে যা খুশি তাই করার অনুমতি ছিল জেনিফার সাগিনোরের। সেখানে যেসব প্লেমেট যাবেন তাদের জন্য কিছু নিয়ম ছিল। তাতে সব প্লেমেটের স্বাক্ষর থাকতো। এর মধ্যে সবচেয়ে কড়া একটি নিয়ম ছিল। তা হলো, একটি বিশেষ জারে রাখা কুকিজ খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। এই জারটি শুধু স্পর্শ করতে পারতেন হিউ হেফনার। এরপর প্লেবয় সুপ্রিমো ও তার বন্ধুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে রাজি থাকতে হতো। বিনিময়ে ওইসব যুবতীকে সপ্তাহে দেয়া হতো এক হাজার ডলার। জেনিফার সাগিনোর এবং হ্যাটেন বলেছেন, হিউ হেফনারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করতেন যুবতীরা। একজন গার্লফেন্ডকে নিয়ে নিজের বেডরুমে হারিয়ে যেতেন হিউ হেফনার।
কিন্তু বয়স থেমে থাকে না। বড় হতে থাকেন জেনিফার সাগিনোর। তার শরীরে, বোধে পরিবর্তন আসে। তিনি বুঝতে পারেন, সেখানে যেসব প্রাপ্ত বয়স্করা যাচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগই সীমা লঙ্ঘন করছেন আচরণে। এ বিষয়টি তার নিজের মনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে অনেকদিন।
প্লেবয় ম্যানসনের সেই দিনগুলো নিয়ে স্মৃতিকথা ‘প্লেগ্রাউন্ড’ লিখেছেন জেনিফার সাগিনোর। এতে তিনি বলেছেন, প্লেবয় বস হিউ হেফনারকে তিনি ‘আঙ্কেল’ হিসেবে জানতেন। কিন্তু নিজের পিতা ড. মার্ক সাগিনোর জেনিফার সাগিনোর ও তার এক বোনকে নগ্নতায় উদ্বুদ্ধ করতেন। জেনিফার সাগিনোরের বয়স যখন ১৫ বছর তখন তাকে ক্লাবে নিয়ে যেতে শুরু করেন। ফলে বেশির ভাগ সময় তার কেটে যেতো প্লেবয় ম্যানসনে। এ সময় সেখানে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন স্বর্ণকেশী সুন্দরী থেকে দুষ্টুমিতে ভরা ভরাযৌবনাদের। দেখেছেন নগ্ন পার্টি। প্যারেড করে ছুটে যাচ্ছেন পর্নো তারাকারা। এমনই একজন হলেন রন জেরেমি। টিভির বিশাল পর্দায় দেখানো হচ্ছে রগরগে দৃশ্য।
বর্তমানে নেটফ্লিক্সে একটি ডকুমেন্টারি তৈরি হচ্ছে। তাতে দেখা যাবে জেনিফার সাগিনোরকে। সেপ্টেম্বরে প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে তা। এতে তিনি প্লেবয় ম্যানসনের ভিতরে বাইরে যেসব অস্বাভাবিকতা প্রত্যক্ষ করেছেন তা তুলে ধরবেন। এই ডকুমেন্টারিতে জেনিফার সাগিনোরের পাশাপাশি থাকবেন জ্যাকি হ্যাটেন (৪৮)। ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকে জ্যাকি হ্যাটেন নিয়মিত প্লেবয় ম্যানসনে যাওয়া শুরু করেন। অবশ্য, এর জন্য বড় অবদান তার বেস্ট ফ্রেন্ড আনা নিকোলে স্মিথের। তিনিও বলেছেন, ২০১০ সালে শেষবার তিনি গিয়েছিলেন ওই ম্যানসনে। এরপরই তিনি রিহ্যাবে যান। তিনি প্লেবয় ম্যানসনে দেখেছেন রূপের ছটা। দেখেছেন রগরগে পার্টি। যুবতীদের শরীর দেখিয়ে অন্যকে আকৃষ্ট করার এক প্রতিযোগিতা। হিউ হেফনারের গার্লফ্রেন্ড অনেক। তাদের একজন জেনিফার সাগিনোরকে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি বলেছেন, সব সময় ওই ম্যানসনের মধ্যে এক প্রতিযোগিতা হয়।
দুষ্টু মেয়েদের প্রতিযোগিতা। ওই সময় হলি ম্যাডিসন, কেন্দ্র উইলকিনসন এবং ব্রিজিত মারকুয়ার্ডটের সঙ্গে ডেটিং করছিলেন হিউ হেফনার। ওই ম্যানসনের ভিতরে যা খুশি তাই করার অনুমতি ছিল জেনিফার সাগিনোরের। সেখানে যেসব প্লেমেট যাবেন তাদের জন্য কিছু নিয়ম ছিল। তাতে সব প্লেমেটের স্বাক্ষর থাকতো। এর মধ্যে সবচেয়ে কড়া একটি নিয়ম ছিল। তা হলো, একটি বিশেষ জারে রাখা কুকিজ খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। এই জারটি শুধু স্পর্শ করতে পারতেন হিউ হেফনার। এরপর প্লেবয় সুপ্রিমো ও তার বন্ধুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে রাজি থাকতে হতো। বিনিময়ে ওইসব যুবতীকে সপ্তাহে দেয়া হতো এক হাজার ডলার। জেনিফার সাগিনোর এবং হ্যাটেন বলেছেন, হিউ হেফনারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করতেন যুবতীরা। একজন গার্লফেন্ডকে নিয়ে নিজের বেডরুমে হারিয়ে যেতেন হিউ হেফনার।