খেলা
এবার কিংসলে-নবাব-মাহাদির অপেক্ষা
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ জুন ২০২১, শনিবার, ৮:৪২ অপরাহ্ন
২০১৩ সালে লাল সবুজের জার্সিতে অভিষেক হয় ডেনমার্ক প্রবাসী ফুটবলার জামাল ভূঁইয়ার। এরইমধ্যে বাংলাদেশ দলে নিজের অপরিহার্যতা প্রমাণ করেছেন জামাল। বছর তিনেক ধরে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। জামালের অভিষেকের আট বছর পর অভিষেক হলো ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক কাজীর। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আফগানিস্তান ম্যাচে তাকে মাঠে নামান কোচ জেমি ডে। জামাল, তারিকের পর লাল-সবুজের জার্সিতে খেলার অপেক্ষায় আছেন আরও তিন ফুটবলার। এদের দু’জন প্রবাসী বাংলাদেশি ওবায়দুর রহমান নবাব ও মাহাদি ইউসুফ। অপরজন নাইজেরিয়ার নাগরিকত্ব ত্যাগ করে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নেয়া এলিটা কিংসলে। তিনজনই আছেন বসুন্ধরা কিংসে।
জেমি ডে দুই প্রবাসী ফুটবলারকে জাতীয় দলে ডাকবেন-এমন ঘোষণা দেননি। তবে তিনি যে দুইজনের পারফরম্যান্স নজরে রেখেছেন সেটা বলেছেন সবসময়। ডাকলেই যাতে তাদের খেলানো যায়, সে কারণে বাফুফে কিছু কাজ গুছিয়ে রাখছে। ওবায়দুর রহমান নবাবের ফিফা থেকে অনুমতি নিয়ে রেখেছে বাফুফে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার পর ফিফা জানিয়ে দিয়েছে, ওবায়দুর রহমান খেলতে পারবেন বাংলাদেশের হয়ে। ইংল্যান্ড প্রবাসী মাহাদি ইউসুফ খানকে জাতীয় দলে ডাকলে যাতে খেলতে পারেন, সেজন্য ইতিমধ্যে বাফুফে আবেদন করেছে ফিফার কাছে। তারিক কাজীর ঘটনার পর বাফুফে সব প্রক্রিয়াই আগেভাগে শুরু করতে যাচ্ছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, তারিক কাজী ফিনল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তিনটি ম্যাচে স্কোয়াডে ছিলেন। উয়েফা চ্যাম্পিয়নশিপের ওই তিন ম্যাচের একটিতেও সে খেলেনি। তারপরও স্কোয়াডে থাকায় ফিনল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশনের ছাড়পত্র পেতে আমাদের সময় লেগেছে। দেশটির ফুটবল ফেডারেশন এক্ষেত্রে একটু ঝামেলাও করেছে। উয়েফার মাধ্যমে আমরা ফিনল্যান্ড থেকে ছাড়পত্র এনেছি। এসব করতে গিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে খেলাই অনিশ্চিত হয়েছিল তারিকের। ম্যাচের ঠিক একদিন আগে আমরা তারিকের খেলার বিষয়ে ফিফার অনুমতি পেয়েছি। বাকিদের বেলায় যেন এই সমস্যায় পড়তে না হয় তাই আগে থেকে কাজ এগিয়ে রাখছি’।
এদিকে বৈবাহিকসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন নাইজেরিয়ান ফুটবলার এলিটা কিংসলে। বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্টও হাতে পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে এই ফরোয়ার্ডকে খেলানোর জন্য বসুন্ধরা কিংস ইতিমধ্যেই তার জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট বাফুফেতে জমা দিয়েছে। যেকোনো ম্যাচে বাংলাদেশি ফুটবলার হিসেবে অভিষেক ঘটতে পারে কিংসলের।
কিন্তু কিংসলে চাইলেই তো আর জাতীয় দলে খেলতে পারবেন না। এ জন্য অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে মনে করেন, ‘অনেক প্রসেসিং আছে ফিফার অনুমতি পাওয়ার জন্য। সবকিছুর আগে ঘরোয়া ফুটবল খেলে পারফরম্যান্স প্রমাণ করতে হবে।’ প্রথমত কিংসলে ঘরোয়া আসরে ভালো খেলে জেমির নজর কাড়তে হবে। তারপর ফিফা থেকে অনুমতি আনতে হবে তাকে জাতীয় দলে খেলাতে। তবে কোচ কিংসলেকে ডাকবেন কি ডাকবেন না সে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবে না বাফুফে। কিংসলেকে জাতীয় দলে ডাকা হলেই যাতে খেলতে পারেন সেই কাজগুলো সেরে রাখবে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। অন্য দুই প্রবাসী ফুটবলারের মতো কিংসলের প্রক্রিয়া নিয়ে সোহাগ বলেন, কিংসলেকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে হলে অবশ্যই ফিফার অনুমতি লাগবে। সে অনুমতি পাওয়ার যে প্রক্রিয়াগুলো আছে সেটা আমরা দ্রুতই শুরু করবো। এটা বেশ সময়সাপেক্ষ বিষয়। এমন যাতে না হয়, যে কোচ তাকে খেলাতে চাইলেন কিন্তু ফিফার অনুমতি নেই। তাই কাজগুলো যত দ্রুত সম্ভব করতে চাই’। কিংসলেকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার অনুমতি দিতে যে প্রমাণাদিগুলো চাইবে ফিফা। এক. বাংলাদেশের নাগরিকত্ব, দুই. নাইজেরিয়া ফুটবল ফেডারেশনের ছাড়পত্র, তিন. কিংসলের মুচলেকা। এসব প্রমাণাদি ফিফা প্রেরণ করবে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পেলে অনুমতি দেয় ফিফা। এসব কাগজপত্রও গুছিয়ে রেখেছে বাফুফে।
জেমি ডে দুই প্রবাসী ফুটবলারকে জাতীয় দলে ডাকবেন-এমন ঘোষণা দেননি। তবে তিনি যে দুইজনের পারফরম্যান্স নজরে রেখেছেন সেটা বলেছেন সবসময়। ডাকলেই যাতে তাদের খেলানো যায়, সে কারণে বাফুফে কিছু কাজ গুছিয়ে রাখছে। ওবায়দুর রহমান নবাবের ফিফা থেকে অনুমতি নিয়ে রেখেছে বাফুফে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার পর ফিফা জানিয়ে দিয়েছে, ওবায়দুর রহমান খেলতে পারবেন বাংলাদেশের হয়ে। ইংল্যান্ড প্রবাসী মাহাদি ইউসুফ খানকে জাতীয় দলে ডাকলে যাতে খেলতে পারেন, সেজন্য ইতিমধ্যে বাফুফে আবেদন করেছে ফিফার কাছে। তারিক কাজীর ঘটনার পর বাফুফে সব প্রক্রিয়াই আগেভাগে শুরু করতে যাচ্ছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, তারিক কাজী ফিনল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তিনটি ম্যাচে স্কোয়াডে ছিলেন। উয়েফা চ্যাম্পিয়নশিপের ওই তিন ম্যাচের একটিতেও সে খেলেনি। তারপরও স্কোয়াডে থাকায় ফিনল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশনের ছাড়পত্র পেতে আমাদের সময় লেগেছে। দেশটির ফুটবল ফেডারেশন এক্ষেত্রে একটু ঝামেলাও করেছে। উয়েফার মাধ্যমে আমরা ফিনল্যান্ড থেকে ছাড়পত্র এনেছি। এসব করতে গিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে খেলাই অনিশ্চিত হয়েছিল তারিকের। ম্যাচের ঠিক একদিন আগে আমরা তারিকের খেলার বিষয়ে ফিফার অনুমতি পেয়েছি। বাকিদের বেলায় যেন এই সমস্যায় পড়তে না হয় তাই আগে থেকে কাজ এগিয়ে রাখছি’।
এদিকে বৈবাহিকসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন নাইজেরিয়ান ফুটবলার এলিটা কিংসলে। বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্টও হাতে পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে এই ফরোয়ার্ডকে খেলানোর জন্য বসুন্ধরা কিংস ইতিমধ্যেই তার জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট বাফুফেতে জমা দিয়েছে। যেকোনো ম্যাচে বাংলাদেশি ফুটবলার হিসেবে অভিষেক ঘটতে পারে কিংসলের।
কিন্তু কিংসলে চাইলেই তো আর জাতীয় দলে খেলতে পারবেন না। এ জন্য অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে মনে করেন, ‘অনেক প্রসেসিং আছে ফিফার অনুমতি পাওয়ার জন্য। সবকিছুর আগে ঘরোয়া ফুটবল খেলে পারফরম্যান্স প্রমাণ করতে হবে।’ প্রথমত কিংসলে ঘরোয়া আসরে ভালো খেলে জেমির নজর কাড়তে হবে। তারপর ফিফা থেকে অনুমতি আনতে হবে তাকে জাতীয় দলে খেলাতে। তবে কোচ কিংসলেকে ডাকবেন কি ডাকবেন না সে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবে না বাফুফে। কিংসলেকে জাতীয় দলে ডাকা হলেই যাতে খেলতে পারেন সেই কাজগুলো সেরে রাখবে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। অন্য দুই প্রবাসী ফুটবলারের মতো কিংসলের প্রক্রিয়া নিয়ে সোহাগ বলেন, কিংসলেকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে হলে অবশ্যই ফিফার অনুমতি লাগবে। সে অনুমতি পাওয়ার যে প্রক্রিয়াগুলো আছে সেটা আমরা দ্রুতই শুরু করবো। এটা বেশ সময়সাপেক্ষ বিষয়। এমন যাতে না হয়, যে কোচ তাকে খেলাতে চাইলেন কিন্তু ফিফার অনুমতি নেই। তাই কাজগুলো যত দ্রুত সম্ভব করতে চাই’। কিংসলেকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার অনুমতি দিতে যে প্রমাণাদিগুলো চাইবে ফিফা। এক. বাংলাদেশের নাগরিকত্ব, দুই. নাইজেরিয়া ফুটবল ফেডারেশনের ছাড়পত্র, তিন. কিংসলের মুচলেকা। এসব প্রমাণাদি ফিফা প্রেরণ করবে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পেলে অনুমতি দেয় ফিফা। এসব কাগজপত্রও গুছিয়ে রেখেছে বাফুফে।