বাংলারজমিন

বেঁচে থাকাটাই যখন যন্ত্রণাময়

হাসান পিন্টু, লালমোহন (ভোলা) থেকে

১৯ জুন ২০২১, শনিবার, ৮:২৩ অপরাহ্ন

মো. বাচ্চু ওরফে বাদশা মিয়া। বয়স ৫৩। ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব রায়রাবাদ গ্রামের রাঢ়ি বাড়ি তার। এ বাচ্চু জন্ম থেকেই যন্ত্রণাময় দিন পার করছেন। শরীর গুটি গুটি ফোড়ায় ভরে গেছে। ডাক্তারের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘নিউরোফাইব্রোমাটোসিস’। যার অসহ্য ব্যথায় প্রতিনিয়ত কাতরাচ্ছেন তিনি। শরীরে যখন এর পরিমাণ কম ছিল তখন দিনমজুরির কাজ করতে পারলেও এখন শরীরে গুটির পরিমাণ বাড়ায় কাজ করতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়েই হাত পাতছেন মানুষের কাছে। মানুষ যা দেয় পুরও দিনে তার পরিমাণ দঁাঁড়ায় দেড় থেকে দুইশত টাকা। যা দিয়ে নিজের চিকিৎসা তো দূরের কথা তিন বেলা ঠিকমত খেতেও পারছেন না এই অসহায় বাচ্চু মিয়া। সরকারি একটু সহযোগিতা পেতে ঘুরেছেন জনপ্রতিনিধিদের কাছেও।
অসহায় বাচ্চু মিয়া আকুতি নিয়ে বলেন, বর্তমানে শরীরে গুটির পরিমাণ অনেক হারে বেড়েছে। এতে করে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। ব্যথা হলে প্রচণ্ড চিৎকার করি। মাঝে মাঝে ব্যথার তীব্রতায় মরে যেতে ইচ্ছে করে। ব্যথার ওষুধ খেলে আর ব্যথা হয় না, সামান্য টাকার ব্যথার ওষুধ, তাও টাকার অভাবে কিনতে পারছি না। যদি কেউ আমাকে ওষুধ কিনে দেয়ার ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে হয়তো আর ব্যথার জ্বালায় চিৎকার করতে হবে না। বাচ্চু মিয়ার রোগের ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শহিদুল ইসলাম জানান, যাদের জন্মগত এ ধরনের রোগ থাকে। তাদের জন্য মূলত স্থায়ী কোনো সমাধান নেই। তবে রোগটির কারণে রোগীর শরীরে যে উপসর্গ দেখা দেয় তার জন্য ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। তাহলে রোগীর থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status