দেশ বিদেশ
রোহিঙ্গাদের এনআইডি
পুলিশ, ইসি কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের নামে দুদকের মামলা
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৮ জুন ২০২১, শুক্রবার, ৯:২৮ অপরাহ্ন
রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ায় তিন পুলিশ সদস্য, একজন নির্বাচন কর্মকর্তা ও ১৩ রোহিঙ্গাসহ ১৭ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করেন সংস্থার উপসহকারী পরিচালক শরিফ উদ্দিন।
সংস্থাটির অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, কক্সবাজারের সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নে ২শ’র বেশি ব্যক্তি রয়েছেন যারা জন্মসূত্রে মিয়ানমারের নাগরিক। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের ভোটার তালিকায়ও নাম লিখিয়েছেন। পরে তা ব্যবহার করে পাসপোর্ট বানিয়ে বিদেশে চম্পট দিয়েছেন অনেকেই। ২০০৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এ দুর্নীতি হয়েছে। স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ এবং রোহিঙ্গাদের একটি চক্র এসব জালিয়াতিতে জড়িত।
দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, নির্বাচন কমিশনের ৭টি ল্যাপটপ যা দিয়ে এনআইডি কার্ড তৈরি হয় তা মিসিং ছিল। এই ল্যাপটপগুলো দিয়েই তারা এই কাজ করতো। তিনি জানান, মামলায় আসামি করা হয়েছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত রুহুল আমিনকে। যিনি ওই সময় কক্সবাজার পুলিশের বিশেষ শাখায় দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া ওই সময় দায়িত্বরত পুলিশের দুই পরিদর্শক মিজানুর রহমান ও প্রভাষ চন্দ্র ধরকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। জালিয়াতিতে জড়িত থাকায় কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে। যিনি ওই সময় কক্সবাজারের অতিরিক্ত আঞ্চলিক কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনাকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকি মনে করছে দুদক। দুদক সচিব বলেন, সরকার যাদেরকে আমাদের দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি তারা যদি এনআইডি কার্ড পেয়ে যায়, দেশে-বিদেশে গিয়ে কোনো অপকর্ম করে তাহলে তার দায় কিন্তু আমাদেরই নিতে হবে। তদন্তের প্রয়োজনে আসামিদের গ্রেপ্তারও করা হতে পারে বলে জানান এই দুদক সচিব।
সংস্থাটির অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, কক্সবাজারের সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নে ২শ’র বেশি ব্যক্তি রয়েছেন যারা জন্মসূত্রে মিয়ানমারের নাগরিক। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের ভোটার তালিকায়ও নাম লিখিয়েছেন। পরে তা ব্যবহার করে পাসপোর্ট বানিয়ে বিদেশে চম্পট দিয়েছেন অনেকেই। ২০০৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এ দুর্নীতি হয়েছে। স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ এবং রোহিঙ্গাদের একটি চক্র এসব জালিয়াতিতে জড়িত।
দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, নির্বাচন কমিশনের ৭টি ল্যাপটপ যা দিয়ে এনআইডি কার্ড তৈরি হয় তা মিসিং ছিল। এই ল্যাপটপগুলো দিয়েই তারা এই কাজ করতো। তিনি জানান, মামলায় আসামি করা হয়েছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত রুহুল আমিনকে। যিনি ওই সময় কক্সবাজার পুলিশের বিশেষ শাখায় দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া ওই সময় দায়িত্বরত পুলিশের দুই পরিদর্শক মিজানুর রহমান ও প্রভাষ চন্দ্র ধরকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। জালিয়াতিতে জড়িত থাকায় কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে। যিনি ওই সময় কক্সবাজারের অতিরিক্ত আঞ্চলিক কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনাকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকি মনে করছে দুদক। দুদক সচিব বলেন, সরকার যাদেরকে আমাদের দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি তারা যদি এনআইডি কার্ড পেয়ে যায়, দেশে-বিদেশে গিয়ে কোনো অপকর্ম করে তাহলে তার দায় কিন্তু আমাদেরই নিতে হবে। তদন্তের প্রয়োজনে আসামিদের গ্রেপ্তারও করা হতে পারে বলে জানান এই দুদক সচিব।