প্রথম পাতা

নারী পাচারে উত্থান অমি’র

মরিয়ম চম্পা

১৮ জুন ২০২১, শুক্রবার, ৯:২৪ অপরাহ্ন

সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার এর আড়ালেই চলতো তুহিন সিদ্দিকী অমির নারী পাচারের ব্যবসা। আর এ নারী পাচার দিয়েই অমির উত্থান বলে গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই ট্রেনিং সেন্টারে আসা বিভিন্ন নারীদের বিশেষ করে যারা দেখতে সুশ্রী তাদের নির্বাচিত করে প্রতিষ্ঠিত বড় বড় ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেয়াই ছিল অমির কাজ। অমির নারী পাচারের হাতেখড়ি তার বাবা তোফাজ্জল হোসেন ওরফে আদম তোফাজ্জলকে দিয়ে। তার বাবার বিরুদ্ধে মানবপাচারের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। বাবার ব্যবসার হাল ধরতে গিয়েই মূলত তিনি নারী পাচার চক্রে জড়িয়ে পড়েন। চাকরির কথা বলে এখন পর্যন্ত মধ্যেপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য নারীকে পাচার করেছে অমি। সিঙ্গাপুর, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে তার নিজস্ব ফ্ল্যাট এবং ব্যবসা রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন অমি।
রাজধানীর গুলশান, উত্তরাসহ অভিজাত শ্রেণির একাধিক ক্লাবে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে সদস্য হন আলোচিত এবং বিতর্কিত অমি। সূত্র জানায়, ক্লাবগুলোতে সদস্য হওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য বিত্তশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলা। পরবর্তীতে এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি করে অমি। এ সময় অমি উঠতি মডেল, শিক্ষার্থী, অভিনেত্রীসহ বিভিন্ন নারীদেরকে সরবরাহ করতেন। সূত্র আরও জানায়, অমির উত্তরার ভাড়া বাসায় প্রতিরাতেই নারী এবং মদের আড্ডা বসতো। যেখানে ঠাঁই পেতো অমির টার্গেটকৃত নারী এবং ব্যবাসায়ীরা। দীর্ঘদিন ধরেই চলছে অমির এই রঙমহল।     
সূত্র আরো জানায়, পরীকাণ্ডের এই ঘটনার অন্যতম সূত্র হচ্ছে এই অমি। সিনেমা ব্যবসায়ের কথা বলে পরীকে অনেক দিন ধরে বসে আনার চেষ্টা করেন অমি। ঘটনার দিন রাতে পরীমনির বাসায় যান অমি। ওই রাতে পরী মূলত অমির গাড়িতে চড়ে বোট ক্লাবে যান। এদিকে বোট ক্লাবে যখন উত্তেজিত হয়ে আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ এবং অমি পরীর গায়ে হাত তোলেন এ সময় সেখানে আরো দুই ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। প্রয়োজনে ওই দুই ব্যক্তিকেও জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হতে পারে বলে জানায় সূত্র। তবে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সাতদিনের রিমান্ডের তৃতীয় দিন চলছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ- কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টারের আড়ালে অমির নারী পাচারের বিষয়টি আরও বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status