দেশ বিদেশ

সংসদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দলীয় এমপিদের বাহাস

সংসদ রিপোর্টার

১৮ জুন ২০২১, শুক্রবার, ৮:৫২ অপরাহ্ন

দেশে লুটপাট ও হত্যার রাজনীতি জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন বলে দাবি করেছেন সরকারি দলের সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। গতকাল জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এই আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি’র সংসদীয় দলের নেতা মো. হারুনুর রশীদ অভিযোগ করেন, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভয়াবহ দুর্যোগকবলিত। ঘূর্ণিঝড় দুর্গত উপকূলের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিপর্যস্ত। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে এই আলোচনায় আরও অংশ নেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম, সলিমুদ্দিন তরফদার, নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন, আ ক ম সারোয়ার জাহান, আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন, মো. শফিউল ইসলাম, শফিকুল আলম খান, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, আনোয়ারুল আজিম আনার, শাহে আলম ও শামসুল আলম দুদু, ওয়ার্কার্স পার্টির বেগম লুৎফুন্নেসা খান, তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, বিকল্প ধারার আবদুল মান্নান, জাতীয় পার্টির বেগম রওশন আরা মান্নান ও নাসরিন জাহান রত্না। আলোচনায় হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে লুটপাটের রাজনীতি, ব্যাংক লুটপাটের হোতা কারা? তাদের নেতা জিয়াউর রহমান এটা শুরু করেছিলেন। খুন, গুমের শুরু করেছিলেন তিনি। সেনা সদস্যদের একসঙ্গে ৪ জন করে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেন জিয়াউর রহমান। জিয়া হ্যাঁ-না ভোট করেছিলেন। খালেদা জিয়া এক কোটি ৩০ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল। শেখ হাসিনার আন্দোলনের ফলেই ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা সংগঠন করেন না, টাকা নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন দেন। তাদের কর্মীরা নির্বাচনী এজেন্ট হতে আসেন না। আওয়ামী লীগ কি তাদের এজেন্ট দিয়ে দেবে? আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন বলেন, বিএনপি’র সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশিদ নিজেকে স্বঘোষিত বিরোধী দলের নেতা দাবি করেছেন, এটা এক্সপাঞ্জ করা হোক। তিনি (হারুনুর রশিদ) সংবিধানের কথা বলেন অথচ সংবিধান মানেন না। তিনি সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধিতা করছেন। অথচ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সংবিধানের বিরোধিতা করার সুযোগ নেই। বিনিয়োগ কর্মসংস্থানমুখী প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ আরও উন্নত-সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে বলে তিনি দাবি করেন। এর আগে বিএনপি’র মো. হারুনুর রশিদ বলেন, এবারের বাজেট অত্যন্ত বৈদেশিকনির্ভর। এবারের বাজেট ৫০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ঘাটতির বাজেট। এই বাজেট বাস্তবায়ন করোনাকালে মোটেই সম্ভব নয়। সেই দক্ষতাও নেই। এই মহাজোট সরকারের এটি ১৩তম বাজেট। এর আগে ১২টি বাজেট সংসদে উত্থাপিত হয়। কোনোটিই বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি বলেন, একটি রাষ্ট্রের আর্থিক কাঠামোতে দৃষ্টি দিতে গেলে সেখানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থার দিকে তাকাতে হবে। আমি নিঃসন্দেহে বলবো বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি আছে। সেখানে চোখ একটু খুলছে, আবার বন্ধ করছে। বিএনপি’র এই সংসদ সদস্য বলেন, ব্যাংকগুলো সাংঘাতিকভাবে আক্রান্ত। লাখ লাখ-কোটি কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে। কিন্তু ফেরত দিচ্ছে না। ঋণখেলাপি হচ্ছে না। তারা দেদারছে আনন্দ ফুর্তি করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যে কারণে ব্যাংকগুলো বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি। বঙ্গবন্ধু চিকিৎসক পরিষদের ডাক্তাররা এগুলোকে চিকিৎসা দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আজ আমরা অপহরণ-গুম-খুনের কথা বলছি। এই কিছুদিন আগেই একজন আলেম নিখোঁজ হয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন- খোঁজ নিচ্ছি। আজ যদি তাকে ফিরিয়ে দিতে না পারেন, এটা রাষ্ট্রের জন্য বড় ব্যর্থতা হবে। আদনানকে অবশ্যই ফিরিয়ে দিতে হবে। তার পরিবারের আহাজারি আপনাকে শুনতে হবে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন। সংসদে সরকারি দলের এমপিরা বাস্তব আলোচনা করেন না দাবি করে তিনি বলেন, এখন রাষ্ট্র পরিচালনার কোনো দলিল নেই। মাননীয় স্পিকার এক্সাম্পল দেখাতে পারবো। সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বলা হচ্ছে- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। আমরা কি আর সেই জায়গায় আছি? বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ মুসলমান, ৯০ ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। আমাদের ধর্ম কোরআন। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, কোরআনে ধর্মনিরপেক্ষতার কোনো স্থান নেই। সুতরাং আমি মনে করি সংবিধানে একটি বড় অসঙ্গতি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের যে অনুচ্ছেদগুলো রয়েছে- সেখানে সভা-সমাবেশের কথা বলা হয়েছে। সেগুলোর কি কোনো অস্তিত্ব আছে? আজকে ভিন্নমত প্রকাশের কোনো স্বাধীনতা আছে? ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারছে? আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ যেটি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে রাষ্ট্রকে সাংঘাতিকভাবে নাড়া দিয়েছে। আজকে রাষ্ট্রপতি নির্বাহী বিভাগের ৪৯/এ অনুচ্ছেদটি রয়েছে সেখানে যেকোনো দণ্ডিত আসামিকে রাষ্ট্রপতিকে মাফ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এই মহাজোট সরকার আমলে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন খুনি, দণ্ডিত আসামিকে মাফ করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত নাড়া দিয়েছে বিশ্বকে যে, কিছুদিন আগে আল জাজিরা অল প্রাইম মিনিস্টার মেন প্রতিবেদনটি। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এটিও সংবিধানের একটি অসঙ্গতি। আমি মনে করি- এই সংবিধানের ত্রুটিগুলো সংশোধন হওয়া দরকার। তিনি বলেন, আজকে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক কারণে মাত্র দুই বছর সাজা দিয়ে তাকে আপনি চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছেন না। বাংলাদেশে আজকে দণ্ডিত আসামিদের আপনারা মাফ করে দিচ্ছেন। এটি হতে পারে না। আজকে এখানে (সংসদ) প্রধানমন্ত্রী আছেন। আমি আশা করবো- অবশ্যই তিনি তাকে (খালেদা জিয়া) সুচিকিৎসার সুযোগ দেবেন। এ সময় তিনি বলেন, অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী ইতিহাস সৃষ্টি করছেন। পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে, মেট্রোরেল নির্মিত হচ্ছে, আকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ঘুরছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে, টানেল নির্মিত হচ্ছে, ফোরওয়ে, এইটওয়ে রাস্তা নির্মিত হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, কিন্তু দেশে কি গণতান্ত্রিক অবস্থা আছে? কোনো নির্বাচনী ব্যবস্থা আছে? জাতীয় সংসদের সরকারি ও বিরোধী দল একাকার হয়ে গেছে দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের বিরোধী দলনেতা বাইরে বলছেন, বিরোধী দলের কোনো মূল্য নাই। আর সরকারি দল তাদের কি কোনো মূল্য আছে? সরকারি দলের মন্ত্রীরা বরাবরই বলছেন- আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আমার কাছে কেউ অপরিহার্য নয়। এভাবে কি কোনো রাষ্ট্র চলতে পারে? সরকারি-বিরোধী দল সম্মিলিত মেধা শক্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ৫০ বছর বয়স হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের কোনো কাঠামো বা নীতিমালা তৈরি করতে পারেনি। নির্বাচন কমিশন। দরকার কি? এটাকে বিলুপ্ত করে দেন। ইতিমধ্যেই আমরা শুনছি, নির্বাচন কমিশনের এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেছে। দেশে সবার জন্য আইনের শাসন নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘৫০ বছর পর পাসপোর্ট থেকে আপনি ইসরাইল শব্দটি বাদ দিলেন। নিঃসন্দেহে এটি অগ্রহণযোগ্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার জন্য অনুরোধ করবো। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন। কোনো খুন হওয়া ব্যক্তি ইমরান কারাগারে। আর তাকে যে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে তাকে ক্রসফায়ারে দেয়া হয়েছে। কয়দিন আগে পল্লবীতে দেখলাম একজন খুন হলো- তারপর খুনের আসামি ক্রসফায়ার হয়ে গেল। তাহলে বিচার কীভাবে হবে? মাননীয় স্পিকার আজকে আমরা মনে করেছিলাম- মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এটি বন্ধ হবে। সেদিন পুলিশপ্রধান, সেনাপ্রধান জাতির কাছে আশ্বস্ত করেছিল আর আমরা এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেখতে চাই না। কিন্তু বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। এখান থেকে আমরা কখন ফিরে আসবো?’ ‘বাইরে যখন চলাফেরা করি তখন খুব লজ্জা লাগে’ দাবি করে এমপি হারুন বলেন, আমাদের মুখে কাপড় দিতে হয়। অনেক ব্যক্তি আমাদেরকে উপহাস করে। তারা বলেন- আপনারা সরকারি দলের মন্ত্রীদের ভাড়া করেছেন না-কি, কিছু কিছু মন্ত্রী বিএনপিকে নিয়ে সকাল-বিকাল কথা বলছে। মনে হচ্ছে- তারা আমাদের স্ট্যান্ডিং কমিটির নেতা। তারা বিএনপি’র দায়িত্বশীল ব্যক্তি। এ সময় তিনি হেসে হেসে বলেন, আমাকে সময় দেবেন স্পিকার। কারণ বিরোধী দলনেতা তো আমি। এ সময় সংসদে উপস্থিত থাকা মশিউর রহমান রাঙ্গা এর তীব্র প্রতিবাদ করেন। মাইক ছাড়াই তিনি প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। তখন হারুনুর রশীদ বলেন, মাননীয় স্পিকার আমি আপনার প্রটেকশন চাই। স্পিকার রাঙ্গাকে আশ্বাস দেন- হারুনের এই কথাটি এক্সপাঞ্জ করা হবে। এরপর সংসদ শান্ত হলে আবার বক্তব্য শুরু করেন হারুন। বিকল্প ধারার সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫ লাখ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাপক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। কারণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এই বাড়তি কর শিক্ষার্থীদের থেকে আদায় করবে। এতে উচ্চ শিক্ষা ব্যয় বাড়বে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবকই এই বাড়তি ব্যয় নির্বাহে অক্ষম। তিনি আরও বলেন, করোনার প্রভাবে মধ্যবিত্তের আয় কমেছে বেকার হয়েছে অনেকে। কিন্তু সংসারের খরচ কমেনি। বরং করোনার মধ্যে সন্তানকে অনলাইনে ক্লাস করার জন্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট কিনতে বাড়তি খরচ করতে হয়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নিত্যপণ্যে পরিণত হয়েছে। সেই তুলনায় মধ্যবিত্তদের সুবিধা নিতে আয়কর সীমা বাড়ানো হয়নি। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করছি। স্বাস্থ্য খাতের সমালোচনা করে আব্দুল মান্নান বলেন, স্বাস্থ্য খাত মানুষের ন্যূনতম চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। করোনাকালে এ খাতের অনেক অনিয়ম ও অসঙ্গতি জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে। চলতি অর্থ বছরে এডিপির টাকা খরচের সবচেয়ে হতাশার চিত্র দেখা গেছে। এ রকম গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যয় সক্ষমতার অভাব কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, এডিপি বাস্তবায়নের চিত্র হতাশাব্যঞ্জক। গত ১১ মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৫৮ শতাংশ। বছরের শেষ দুই/তিন মাসে খরচের হিড়িক এখন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। যুব সমাজের অবক্ষয়ের কথা তুলে ধরেন জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু। তিনি টিকটক বন্ধে আইনের দাবি করে বলেন, যুব সমাজ এই টিকটক দিয়ে বেহায়াপনা করছে। আমরা ঢাকার বাইরে গেলেও দেখি। কিছু বলতে পারি না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। এটা আইন করে ব্যান করা উচিত। জাতীয় বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।

অধিবেশন ২৮শে জুন পর্যন্ত মুলতবি: জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন আগামী ২৮শে জুন পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ২রা জুন বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। ৩রা জুন ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গত ১৪ই জুন থেকে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। আগামী ২৯শে জুন অর্থবিল ও ৩০শে জুন মূল বাজেট ও নির্দিষ্টকরণ বিল পাস হবে। পহেলা জুলাই সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের ভাষণের মধ্য দিয়ে করোনাকালের দ্বিতীয় বাজেট অধিবেশন শেষ হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status