অনলাইন

বৈঠকে বক্তারা

জনসচেতনতা ও যথাযথ প্রস্তুতিই পারে ভূমিকম্পের ক্ষতি কমাতে

স্টাফ রিপোর্টার

১৬ জুন ২০২১, বুধবার, ৬:০৩ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ বড় ধরণের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকলেও এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। যেহেতু ভূমিকম্পের কোন আগাম সতর্কবার্তা বা প্রতিরোধ ব্যবস্থা নাই, তাই জনসচেতনতা ও যথাযথ র্পূব-প্রস্তুতিই পারে ভূমিকম্প পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে। তবে এক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে যেটি সবচেয়ে বেশি জরুরি-তাহলো ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে বিল্ডিং কোড অণুসরণ করা। এতে একদিকে ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা কমবে, অন্যদিকে অনেক মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হবে। আজ বুধবার কালের কণ্ঠ-এর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তাদের আলোচনা থেকে এই অভিমত উঠে আসে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক ও জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, এম পি ও সচিব মো. মোহসীন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের  প্রো-ভিসি ড. এ এস. এম মাকসুদ কামাল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দনি আহমেদ, ব্র্যাক হিউম্যানিট্যারিয়ান কর্মসূচির পরিচালক সাজেদুল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে  বিশেষজ্ঞগণ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে বড় মাত্রার ভূমিকম্প মোকাবিলা ও প্রস্তুতিতে সরকার কাজ করছে।  এ ব্যাপারে জাইকার  সঙ্গে শিগগিরই চুক্তি করতে যাচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণসহ অন্যান্য ইস্যুতে কাজ করবে সরকার। তিনি বলেন, সরকার ভূমিকম্প প্রস্তুতিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী এই খাতে ২৩০০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে।

ব্র্যাক হিউম্যানিট্যারিয়ান কর্মসূচির পরিচালক সাজেদুল হাসান বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচির আওতায় যেসব স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেন তাদের উপযুক্ত ও ধারাবাহিক প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এতে তারা ( স্বেচ্ছাসেবকরা) মূল উদ্বারকর্মীদের সহায়ক হিসেবে বড় ভূমিকা রাখতে পারবেন।
ড. এ এস. এম মাকসুদ কামাল দেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল সবচেয়ে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি সুপারিশ উঠে আসে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসকল ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আছে সেগুলো দ্রুত চিহ্নিত করা ও সেগুলো বিল্ডিং কোড মেনে মেরামতের ব্যবস্থা করা, ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কাজ সহজ করতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করা, ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড মেনে চলা, ভূমিকম্পের পরবর্তী  উদ্ধার তৎপরতা দ্রুত করতে সরকারের দুর্যোগ কর্মসূচির আওতায় যেসব স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেন তাদের উপযুক্ত ও ধারাবাহিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, যারা বেঁচে থাকবে তাদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ইত্যাদি।
প্রসঙ্গত. ব্র্যাক দেশে যে কোন দুর্যোগের পাশাপাশি ভূমিকম্পের ঝুঁকি ও প্রস্তুতি বিষয়ে জনসচেতনতাসহ জরুরি সাড়াদানে নানা ধরণের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে আসছে।  
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status