বাংলারজমিন

ঠাকুরগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলন

ধর্ষণ মামলার আসামিকে পুলিশের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, ঠাকুরগাঁও থেকে

১৬ জুন ২০২১, বুধবার, ১২:১২ অপরাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষণ মামলা আসামিকে পুলিশের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে নির্যাতিত এক নারী। গতকাল দুপুরে জেলা শহরের একটি রেস্তুরাঁয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে  নির্যাতিত ওই নারী। তিনি বলেন, আমি ঠাকুরগাঁও জেলার একজন নিরীহ নির্যাতিতা নারী। নার্সিংয়ে ডিপ্লোমা শেষ করে প্রায় তিন বছর আগে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারি উপজেলার নিউ পপুলার এন্ড  ডায়াগনন্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে নার্সের চাকরিতে যোগদান করি। চাকরি শুরু করতে না করতেই ঐ ক্লিনিকের মালিক সাইফুল ইসলাম আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে আমি তা বারবার প্রত্যাখ্যান করি। এক পর্যায়ে কৌশলে ক্লিনিকের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে আমাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষক করে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দু বছর যাবৎ আমাকে স্ত্রীর মতো ব্যবহার করে। পরবর্তীতে সে আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে আমি আইনগত ব্যবস্থার জন্য আমার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের পরামর্শ নেই। আমার পরামর্শের কথা লম্পট সাইফুল জানতে পারলে তার স্ত্রী সহ আমাকে শারীরিক ও পাশবিক নির্যাতন করে ক্লিনিকের বাইরে ফেলে দেয়। ঘটনার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করে আটোয়ারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরবর্তীতে সুস্থ্য হয়ে মামলার সিদ্ধান্ত নিলে সাইফুল আবারো কৌশল খাটিয়ে গত ৩১শে মে বিবাহের আলোচনার কথা বলে ঠাকুরগাঁও শহরের টিকাপাড়াস্থ তার ভায়রা আলমগীরকে দিয়ে সন্ধ্যায় আমাকে ডেকে নেয়। সেখানেও সাইফুল একটি কক্ষে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এবং দুই লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে। আমি রাজি না হওয়ায় সাইফুল তার ভায়রা আলমগীরসহ পরিবারের লোকজন আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও  আধুনিক সদর  হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা করতে গেলে এসআই আব্দুস সামাদ শুরুতে আমাকে মামলা না করতে ভয়ভীতি দেখায়। পরে আমার পরিবার ও স্বজনরা উপস্থিত হলে আমার করা এজাহার ফেলে রাখে। এসময় আমাকে অভয় দিয়ে তিনি নতুন করে এজাহার লিখবেন বলে চারটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে পাঠিয়ে দেয়।  পরবর্তীতে একটি  মামলা করা হলেও সেখানে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করেননি। পরে আমি জানতে পারি, এসআই সামাদ আসামিদের নিকটতম আত্মীয়। এসআই সামাদ তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে আসামিদের গ্রেপ্তার না করে জামিনের সহযোগিতা করেন। আমি ওই মামলায় সন্তুষ্ট হতে না পেরে গত ৭ই জুন আদালতের দ্বারস্থ হয়ে সাইফুল, বিউটি আক্তার, আলমগীর ও বিলকিস এর নাম উল্লেখ করে আরেকটি মামলা করি। কিন্তু আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। নরপশু সাইফুলসহ সকল আসামিদের যাতে গ্রেপ্তার করে আমাকে সুবিচার পাইয়ে দেয় সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। সেই সাথে একজন পুলিশ কর্মকর্তা কেন এই অন্যায় কাজটি করেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। ন্যায় বিচারের স্বার্থে তদন্তের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিয়ে মামলা পরিচালনা করার জন্য জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়কে অনুরোধ করছি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status