বাংলারজমিন
সীতাকুণ্ডে অসহায় পরিবারের পাশে আওয়ামী লীগ নেতা
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
১৬ জুন ২০২১, বুধবার, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
সীতাকুণ্ড উপজেলার ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে করোনা মহামারীতে রাতের আঁধারে গোপনে অসহায় বিভিন্ন পরিবারের কাছে নিজস্ব অর্থায়নে মানবিক সহায়তা নিয়ে ছুটে যান সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল বারী পিন্টু । তিনি ব্যতিক্রমী কিছু সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মুরাদপুর এলাকায় ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন। মুরাদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সারাদিন কর্মব্যস্ততার ফাঁকে দিনে কিংবা সন্ধ্যায় অথবা গভীর রাতে অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে মানবিক সাহায্য প্রদানে অব্যাহত রেখেছেন তিনি। করোনায় লকডাউনের কারণে কর্মহীন প্রকৃত হতদরিদ্র অসহায় পরিবারগুলোকে খুঁজে খুঁজে তাদের বাড়িতে চাল, তেল, ডাল, চিনি, পিয়াজ, লবণ সশরীরে পৌঁছে দেন তিনি। এছাড়া তিনি সীতাকুণ্ডের ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নে ৫ জন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে আর্থিক অনুদান ও ছয়জন প্রতিবন্ধীকে এক সপ্তাহের জন্য খাবার প্রদান ও প্রান্তিক কৃষকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি তাদের ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহযোগিতা করেন। নজমুল বারী পিন্টু মানবজমিনকে বলেন, আমার পক্ষ থেকে এই মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে। আর তার পাশাপাশি দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি মুরাদপুরের বিত্তবানদের প্রতিও আহবান জানান। তিনি বলেন, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা প্রকৃত অর্থেই খুব কষ্টে আছেন। আমার থেকে সামান্য সাহায্য পেয়েও তারা খুশি হয়েছেন। সুশীল সমাজের অনেকেই এ ব্যাপারে বলেছেন, এটা সমাজ সেবক নজমুল বারী পিন্টুর অসহায়দের প্রতি নিখাদ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। তাই কেউ কেউ আওয়ামী লীগের এই নেতাকে গরিব অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের বন্ধু বলেও আখ্যায়িত করেছেন। তারমধ্যে অসম্ভব মানবিক ও সামাজিকতা দেখে আসন্ন মুরাদপুর ইউপি নির্বাচনে তাকে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য মুরাদপুর ইউনিয়নের অনেকে অনুরোধ জানাচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি মুরাদপুর এফতাদিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাথে জড়িত আছেন। এছাড়া মুরাদপুর ইউনিয়নে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা পার্বণে ও সরকারিভাবে মন্দির নির্মাণে নিজ থেকে সাধ্য মতে সহযোগিতা করেছেন এবং ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এলাকার গরিব দুঃখী পরিবারের ছেলে মেয়েদের বিয়েতে ও গরিব দুঃখী পরিবারের যারা লেখাপড়ার খরচ চালাতে অক্ষম এমন মেধাবী সন্তানদের আর্থিক অনুদান দিয়েছেন, ভবিষ্যতেও দেবেন বলে জানান।