শেষের পাতা

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের অভিযোগ মানছে না ঢাকা

কূটনৈতিক রিপোর্টার

১৬ জুন ২০২১, বুধবার, ৯:৫২ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গাদের না জানিয়ে মিয়ানমারকে ডাটা শেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের বিরুদ্ধে উত্থাপিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ঢাকা। কর্মকর্তারা এটাকে আমলে নিতেই নারাজ। এ নিয়ে অনানুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একটা নন-ইস্যুকে ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে। তাছাড়া ওই ডাটাবেজের দায়িত্বে থাকা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর তো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তারা অভিযোগ খণ্ডন করে দিয়েছে। মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনের পূর্ব শর্ত হিসেবে ভেরিফাইয়ের জন্য ওই ডাটা শেয়ার করা হয়েছে দাবি করে সরকারি এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, ডাটা শেয়ার না করলে তারা ভেরিফাই করবে কীভাবে? হিউম্যান রাইট ওয়াচ অভিযোগ করেছে, রোহিঙ্গারা জানতেন তাদের বিষয়ে যে ডাটা নেয়া হচ্ছে তা বাংলাদেশ সরকারের জন্য। কিন্তু পূর্ব সম্মতি না নিয়ে তাদের সব তথ্য মিয়ানমারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে, যা উদ্বেগজনক। প্রথমে বাংলাদেশকে ওই ডাটা শেয়ার করেছে জাতিসংঘ। আর মিয়ানমারকে এটি শেয়ার করেছে বাংলাদেশ। বিষয়টির তদন্ত দাবি করে আন্তর্জাতিক ওই মানবাধিকার সংগঠনের ক্রাইসিস এবং কনফ্লিক্ট ডিরেক্টর লামা ফাকিহ বলেন, রোহিঙ্গাদের ডাটা সংগ্রহের চর্চা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক এজেন্সির নিজস্ব নীতিবিরুদ্ধ কাজ। এর ফলে শরণার্থীদের আরও ঝুঁকিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। তবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র আঁন্দ্রেজ মাহেসিক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বিশ্বে শরণার্থীদের ডাটা সংগ্রহ, রেজিস্ট্রেশন এবং এটি সুরক্ষিত রাখার নীতি অনুসরণ করে জাতিসংঘ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বরাতে অনলাইন আল জাজিরার রিপোর্টে বলা হয়েছে- তিন বছরেরও বেশি সময় বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক এজেন্সি, যাতে তাদেরকে একটি করে পরিচয়পত্র দিতে পারে ঢাকা। এই কার্ড থাকলে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় সহায়তা এবং সেবা পাবেন। কিন্তু হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারকে দেয়া জাতিসংঘের এই ডাটা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ তুলে দেবে এ বিষয়ে জানানো হয়নি শরণার্থীদের। তারা জানতেন এই ডাটা বাংলাদেশ সরকারের জন্য প্রয়োজন হবে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, শরণার্থীরা জানে না তাদের ছবি, আঙ্গুলের ছাপ ও বায়োগ্রাফিক যেসব ডাটা সংগ্রহ করা হচ্ছে তা মিয়ানমারের সঙ্গে শেয়ার করা হবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ বিষয়টি উদ্বেগজনক প্রায় ৮ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য। তারা ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংস নির্যাতন থেকে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। জাতিসংঘের তদন্তকারীরা একে জাতি নিধনের জন্য গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status