দেশ বিদেশ
সংসদে চিত্রনায়িকা পরীমনি ইস্যু
সংসদ রিপোর্টার
১৬ জুন ২০২১, বুধবার, ৯:১৫ অপরাহ্ন
ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনির করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদের পক্ষে জাতীয় সংসদে সাফাই গেয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। অবশ্য এই ইস্যুতে পরীমনির পক্ষ নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি’র সংসদ সদস্যরা। গতকাল জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে পরীমনি ইস্যুতে কথা বলেন সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী চুন্নু। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিরকে ‘ভালো লোক’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংসদে একজন মাননীয় সদস্য নায়িকা পরীমনির জন্য বিচার চেয়েছেন। এই মামলায় একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আমি তাকে চিনি। তিনি উত্তরা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ছিল। সেই লোকটি জাতীয় পার্টি করে। প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি ভালো লোক। অনেক সময় মিডিয়ার কারণে ভালো লোক খারাপ হয়ে যায়। আমি মিডিয়াকে অনুরোধ করবো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের। আলোচনার এই পর্যায়ে মুজিবুল হক চুন্নুর জন্য নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ায় তার মাইক বন্ধ হয়ে যায়। এরআগে গত সোমবার সংসদে বিএনপি’র সংসদীয় দলের নেতা মো. হারুনুর রশীদ পরীমনির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেয়ার দাবি তোলেন। আর গতকাল হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিলের ওপর আনীত সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে এ বিষয়ে কথা বলেন সংরক্ষিত নারী আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। এ সময় পরীমনিকে ভাগ্যবতী উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তিনি ভাগ্যবতী। কারণ তার মামলা নেয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সম্পদের হিসাব নেয়ার অনুরোধ
এদিকে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব নেয়ার ব্যবস্থা করতে স্পিকারকে অনুরোধ করেন কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। হিসাব জমা দেয়ার জন্য দু’তিন মাস সময় দিয়ে আদেশও চান তিনি। মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, অর্থমন্ত্রী টাকা পাচারকারীদের তালিকা চান আমাদের কাছে। আমরা কোথা থেকে তালিকা দেবো। তালিকা তো দেবেন আপনি (অর্থমন্ত্রী)। এজন্য প্রত্যেকের সম্পদের হিসাব আপ টু ডেট (হালনাগাদ) জমা দেয়া হোক। অর্থমন্ত্রী দেখবেন বাজেটে আপনার টাকার অভাব হবে না। এত ফিরিস্তি দিলেন। আপনার গোয়েন্দা আছে আরও কত সংস্থা আছে। আপনি বের করুন। মিডিয়ায় দেখেছি, এই সংসদের একজন এমপি’র স্ত্রী কানাডায় বাড়িতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, আজ গাজীপুরে যান দেখবেন কী সুন্দর সুন্দর বাগানবাড়ি। বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় রিসোর্ট। এত দামি দামি রিসোর্ট। সেই রিসোর্টের টাকা কই থেকে আসে। সেই রিসোর্টে সবাই গিয়ে বেড়ায়। পয়সা কোথায় পায়। আমার মনে হয় আমরা যারা দায়িত্বে আছি আমাদের মধ্যেই গলদ। আমাদের মন্ত্রী, এমপি, সরকারি আমলা, ব্যবসায়ী, কারা কত ট্যাক্স দেয়, কার কত সম্পদ সমস্ত হিসাব-কিতাব দেয়া হোক। তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আদেশ দেয়া হোক। যারা আমরা প্রশাসনে জড়িত আছি আমাদের কী আছে সেই হিসাব দেয়া হোক। আমি জোর গলায় বলতে পারি, আমার সম্পদের হিসাব চাইলে আমি এক সপ্তাহের মধ্যে হিসাব দেবো। আমার সম্পদের হিসাবের বাইরে এক পয়সা যদি থাকে সরকার সেই সম্পদ নিয়ে যাবে আমার কোনো আপত্তি নেই। সংসদে এর আগে মুজিবুল হক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘খাপছাড়া’ কবিতা আবৃত্তি করে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা অনেক বড়। বাসায় বসে পড়েছি।
সম্পদের হিসাব নেয়ার অনুরোধ
এদিকে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব নেয়ার ব্যবস্থা করতে স্পিকারকে অনুরোধ করেন কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। হিসাব জমা দেয়ার জন্য দু’তিন মাস সময় দিয়ে আদেশও চান তিনি। মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, অর্থমন্ত্রী টাকা পাচারকারীদের তালিকা চান আমাদের কাছে। আমরা কোথা থেকে তালিকা দেবো। তালিকা তো দেবেন আপনি (অর্থমন্ত্রী)। এজন্য প্রত্যেকের সম্পদের হিসাব আপ টু ডেট (হালনাগাদ) জমা দেয়া হোক। অর্থমন্ত্রী দেখবেন বাজেটে আপনার টাকার অভাব হবে না। এত ফিরিস্তি দিলেন। আপনার গোয়েন্দা আছে আরও কত সংস্থা আছে। আপনি বের করুন। মিডিয়ায় দেখেছি, এই সংসদের একজন এমপি’র স্ত্রী কানাডায় বাড়িতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, আজ গাজীপুরে যান দেখবেন কী সুন্দর সুন্দর বাগানবাড়ি। বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় রিসোর্ট। এত দামি দামি রিসোর্ট। সেই রিসোর্টের টাকা কই থেকে আসে। সেই রিসোর্টে সবাই গিয়ে বেড়ায়। পয়সা কোথায় পায়। আমার মনে হয় আমরা যারা দায়িত্বে আছি আমাদের মধ্যেই গলদ। আমাদের মন্ত্রী, এমপি, সরকারি আমলা, ব্যবসায়ী, কারা কত ট্যাক্স দেয়, কার কত সম্পদ সমস্ত হিসাব-কিতাব দেয়া হোক। তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আদেশ দেয়া হোক। যারা আমরা প্রশাসনে জড়িত আছি আমাদের কী আছে সেই হিসাব দেয়া হোক। আমি জোর গলায় বলতে পারি, আমার সম্পদের হিসাব চাইলে আমি এক সপ্তাহের মধ্যে হিসাব দেবো। আমার সম্পদের হিসাবের বাইরে এক পয়সা যদি থাকে সরকার সেই সম্পদ নিয়ে যাবে আমার কোনো আপত্তি নেই। সংসদে এর আগে মুজিবুল হক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘খাপছাড়া’ কবিতা আবৃত্তি করে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা অনেক বড়। বাসায় বসে পড়েছি।