বাংলারজমিন
উল্লাপাড়ায় নদী ভাঙনে বিলীন বসতবাড়ি ফসলি জমি
রাজু আহমেদ সাহান, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) থেকে
১৬ জুন ২০২১, বুধবার, ৮:১৫ অপরাহ্ন
উল্লাপাড়ায় ফুলজোড় নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আবারো শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। গত দুই সপ্তাহে উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেতবাড়ী ও বন্যাকান্দি গ্রামের পাশের ফসলি মাঠের অন্তত ৪০ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একই সঙ্গে উপজেলার বড়হর ইউনিয়নে তিয়রহাটি গ্রামে গত তিন সপ্তাহে ৫টি বাড়ি ভেঙে গেছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে গ্রামের প্রায় ৫০ বিঘা ফসলি জমি। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক স্রোতে ভাঙনের মাত্রাও দিন দিন বাড়ছে। ফলে এসব এলাকার বাসিন্দাদের চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে। গেল বছর পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেতবাড়ী ও পূর্ব-সাতবাড়ীয়া খেয়াঘাটের পাশে নদীতে ব্যাপক ভাঙন সৃষ্টি হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ব্যক্তিগতভাবে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা নেন। এতে ভাঙন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু এ বছর জিও ব্যাগ ফেলার স্থানের উজানে আবারো ফুলজোড় নতুন করে ভাঙতে শুরু করেছে। প্রতিদিনই ভাঙছে ফসলি জমি। তিয়রহাটি গ্রামের নদীভাঙনের শিকার সামান আলী, রাসেল হোসেন, কামরুল হাসান সুর্য ও কাইয়ুম হোসেন জানান, এ বছর মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ফুলজোড় নদীতে পানি বৃদ্ধি শুরু হলেই তাদের গ্রামের ৫টি বসত বাড়ি নদীগর্ভে চলে যায়। একই সঙ্গে গ্রামের পাশের প্রায় ৩০ বিঘা ফসলি জমি নদীতে ভেঙে গেছে। নদীর ভাঙন প্রতিরোধ করতে না পারলে এ বছর পুরো বন্যা মৌসুমের আগেই অনেক বড় রকমের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা। উল্লাপাড়ার বেতবাড়ী গ্রামের শফিকুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম ও বন্যাকান্দি গ্রামের মতিয়ার রহমান
চৌধুরী জানান, গেল বছর তাদের গ্রামের পাশে ফুলজোড় নদীতে ব্যাপাক ভাঙন শুরু হলে অনেকগুলো বাড়ি ও ফসলি জমি নদীতে ভেঙে যায়। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিরাজগঞ্জ অফিস থেকে ভাঙন রোধে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলা হয়। কিন্তু এ বছর জিও ব্যাগ ফেলার স্থানের পর থেকে উজানে আবার নতুন করে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ভেঙে গেছে প্রায় ২০ বিঘা জমি। অবিলম্বে ভাঙন প্রতিরোধ করার জন্য তারা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি অবহিত হয়েছেন। দ্রুত উভয় ভাঙনস্থল পরিদর্শন করে ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
চৌধুরী জানান, গেল বছর তাদের গ্রামের পাশে ফুলজোড় নদীতে ব্যাপাক ভাঙন শুরু হলে অনেকগুলো বাড়ি ও ফসলি জমি নদীতে ভেঙে যায়। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিরাজগঞ্জ অফিস থেকে ভাঙন রোধে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলা হয়। কিন্তু এ বছর জিও ব্যাগ ফেলার স্থানের পর থেকে উজানে আবার নতুন করে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ভেঙে গেছে প্রায় ২০ বিঘা জমি। অবিলম্বে ভাঙন প্রতিরোধ করার জন্য তারা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি অবহিত হয়েছেন। দ্রুত উভয় ভাঙনস্থল পরিদর্শন করে ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।