বাংলারজমিন
দিরাইয়ের চামটি খাল যেন বর্জ্যের ভাগাড়
দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৬ জুন ২০২১, বুধবার, ৮:১৪ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরের বুক চিরে বয়ে চলা জলধারাকে ‘চামটি খাল’ নামেই চেনে স্থানীয়রা। কালনী নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি শহরের আনোয়ারপুর, মূল বাজার, হারানপুর, রাধানগর, মজলিশপুর, শুকুরনগর হয়ে ঘাগটিয়া গ্রামের পাশ দিয়ে হাওরে মিলেছে। দিরাই উপজেলার পশ্চিমের আংশিক এলাকাসহ জেলার শাল্লা উপজেলা সদরে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম এ খাল। সরজমিন দেখা গেছে, পৌর শহরের মূল বাজার এলাকায় থাকা ব্রিজ খালের দুই পাড়কে একত্রিত করেছে। ব্যস্ততম ওই ব্রিজের নিচে এখন ময়লার ভাগাড়। ময়লার স্তূপ রীতিমতো বাঁধে রূপ নিয়েছে। এসবের বেশির ভাগই পলিথিনসহ প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য। স্থানীয়রা জানান, দিরাই পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বর্জ্য এনে এই স্থানে ফেলেন। এ ছাড়া আশপাশের কিছু ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা এই স্থানে বর্জ্য ফেলায় জলধারাটি এখন যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খালপাড়ের বাসিন্দারা জানায়, বর্ষাকালে খালে যাত্রী ও পণ্যবাহী শত শত নৌকা স্পিডবোট চলাচল করে। গোসল ও দৈনন্দিন কাজে খালের পানি ব্যবহার করেন তারা। বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানায়, অতীতেও খালে ব্যবসায়ীরা ময়লা ফেলতেন। তবে তা সামান্য ছিল। এ বছর পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ময়লা ফেলাতে স্তূপ হয়ে গেছে। পৌর
এলাকার রাধানগর ও মজলিশপুর মহল্লার অনেক বাসিন্দাই জানায়, দীর্ঘকাল ধরে আমরা এ এলাকায় বংশ পরম্পরায় বসবাস করছি। আগে খালে খরস্রোতা পানি প্রবাহিত হতো। হেমন্ত বর্ষা দুই মৌসুমেই খাল দিয়ে বাহারি রঙের নৌকা চলতো। খালপাড়ের বাসিন্দারা খালের পানিতে গোসল করতো, মাছ ধরতো। এখন সবই যেন কেবল স্মৃতি। ইতিমধ্যেই খালের বিভিন্ন অংশে দখলবাজরা দখল করে দোকান ও বাড়িঘর নির্মাণ করে ফেলেছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে সরু ব্রিজও নির্মিত হয়েছে। রাতের বেলা শহর এলাকার বাড়িঘরের ময়লা-আবর্জনা এনে খালে ফেলা হয়।
এলাকার রাধানগর ও মজলিশপুর মহল্লার অনেক বাসিন্দাই জানায়, দীর্ঘকাল ধরে আমরা এ এলাকায় বংশ পরম্পরায় বসবাস করছি। আগে খালে খরস্রোতা পানি প্রবাহিত হতো। হেমন্ত বর্ষা দুই মৌসুমেই খাল দিয়ে বাহারি রঙের নৌকা চলতো। খালপাড়ের বাসিন্দারা খালের পানিতে গোসল করতো, মাছ ধরতো। এখন সবই যেন কেবল স্মৃতি। ইতিমধ্যেই খালের বিভিন্ন অংশে দখলবাজরা দখল করে দোকান ও বাড়িঘর নির্মাণ করে ফেলেছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে সরু ব্রিজও নির্মিত হয়েছে। রাতের বেলা শহর এলাকার বাড়িঘরের ময়লা-আবর্জনা এনে খালে ফেলা হয়।