শেষের পাতা
সৌমেনের দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানতো না তার পরিবার
মাগুরা প্রতিনিধি
১৫ জুন ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:৩৬ অপরাহ্ন
কুষ্টিয়ায় তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আটক পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়ের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের আসবা গ্রামে। স্থানীয় বরইচারা অভয়াচরণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। পরে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি হয় তার। কয়েক বছর চাকরির সুবাদে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হন তিনি। চাকরিরত অবস্থায় বিয়ে করেন মাগুরার শালিখা উপজেলার ধাওয়াসীমা গ্রামে। সৌমেনের দ্বিতীয় পক্ষের বিয়ের বিষয়টি জানতো না তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী।
সৌমেনের পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সৌমেনের বাবা সুনীল রায় মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। বাড়িতে তার মা ঝর্ণা রানি থাকেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সৌমেন দ্বিতীয়। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। ছোট ভাই শান্ত রায় কৃষি কাজ করেন। সৌমেনের পাঠানো টাকায় চলতো তাদের সংসার।
সৌমেনের ভাই শান্ত জানান, সৌমেন পারিবারিকভাবে ২০০৫ সালে মাগুরার শালিখা উপজেলার ধাওয়াসীমা গ্রামে কাশিনাথ বিশ্বাসের মেয়েকে বিয়ে করেন। বড় ভাই দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সে খুলনায় থাকতো।
তিনি বলেন, টিভিতে সংবাদ দেখে আমরা তার দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি জানতে পারি। কুষ্টিয়ায় চাকরিরত অবস্থায় হয়তো বা আসমার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারেন।
সরজমিন সৌমেনের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, টিনের একটি ছোট্ট ঘরে মা ঝর্ণাকে নিয়ে সৌমেনের ছোট ভাই শান্ত তার পরিবার নিয়ে থাকে। ঘরের দেয়ালে সৌমেনের একটা বড় রঙিন ছবি টাঙানো। ঘটনার পর থেকে বাড়িজুড়ে সুনসান নীরবতা।
সৌমেনের প্রতিবেশীরা জানান, ছোটবেলা থেকে সে একটু শান্ত প্রকৃতির ভদ্র ছেলে ছিল। কিন্তু সে যে এমন একটি কাজ করবে আমরা কখনো ভাবতে পারিনি।
সৌমেনের বাল্যবন্ধুরা জানান, আমরা একসঙ্গে প্রাইমারিতে পড়েছি এবং হাইস্কুলে সে অত্যন্ত বিনয়ী এবং শান্ত প্রকৃতির ছেলে ছিল। চাকরি পাবার সুবাদে বাড়িতে তার আসা-যাওয়া কম ছিল।
সৌমেনের শ্বশুর কাশিনাথ বিশ্বাস জানান, ২০০৫ সালের দিকে আমার মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে প্রথমে একটি মেয়ে সন্তান হয়। মেয়েটা এখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। পরে তাদের আরেকটি ছেলে সন্তান হয়। ছেলেটি এখন ক্লাস টুতে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও টিভিতে দেখতেছি তার দ্বিতীয় বিবাহের কথা। কখনো ভাবিনি আমার মেয়ের জীবনে এমন একটি দিন নেমে আসবে।
উল্লেখ্য, গত রোববার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের ৬নং ওয়ার্ডের কাস্টমস মোড়ে তিনজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে এএসআই সৌমেন। পরে তাকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৌমেন পুলিশকে জানায়, তার স্ত্রীর শাকিলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। তাই তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। সৌমেন বর্তমানে খুলনা ফুলতলা থানায় কর্মরত ছিলেন।
সৌমেনের পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সৌমেনের বাবা সুনীল রায় মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। বাড়িতে তার মা ঝর্ণা রানি থাকেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সৌমেন দ্বিতীয়। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। ছোট ভাই শান্ত রায় কৃষি কাজ করেন। সৌমেনের পাঠানো টাকায় চলতো তাদের সংসার।
সৌমেনের ভাই শান্ত জানান, সৌমেন পারিবারিকভাবে ২০০৫ সালে মাগুরার শালিখা উপজেলার ধাওয়াসীমা গ্রামে কাশিনাথ বিশ্বাসের মেয়েকে বিয়ে করেন। বড় ভাই দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সে খুলনায় থাকতো।
তিনি বলেন, টিভিতে সংবাদ দেখে আমরা তার দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি জানতে পারি। কুষ্টিয়ায় চাকরিরত অবস্থায় হয়তো বা আসমার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারেন।
সরজমিন সৌমেনের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, টিনের একটি ছোট্ট ঘরে মা ঝর্ণাকে নিয়ে সৌমেনের ছোট ভাই শান্ত তার পরিবার নিয়ে থাকে। ঘরের দেয়ালে সৌমেনের একটা বড় রঙিন ছবি টাঙানো। ঘটনার পর থেকে বাড়িজুড়ে সুনসান নীরবতা।
সৌমেনের প্রতিবেশীরা জানান, ছোটবেলা থেকে সে একটু শান্ত প্রকৃতির ভদ্র ছেলে ছিল। কিন্তু সে যে এমন একটি কাজ করবে আমরা কখনো ভাবতে পারিনি।
সৌমেনের বাল্যবন্ধুরা জানান, আমরা একসঙ্গে প্রাইমারিতে পড়েছি এবং হাইস্কুলে সে অত্যন্ত বিনয়ী এবং শান্ত প্রকৃতির ছেলে ছিল। চাকরি পাবার সুবাদে বাড়িতে তার আসা-যাওয়া কম ছিল।
সৌমেনের শ্বশুর কাশিনাথ বিশ্বাস জানান, ২০০৫ সালের দিকে আমার মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে প্রথমে একটি মেয়ে সন্তান হয়। মেয়েটা এখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। পরে তাদের আরেকটি ছেলে সন্তান হয়। ছেলেটি এখন ক্লাস টুতে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও টিভিতে দেখতেছি তার দ্বিতীয় বিবাহের কথা। কখনো ভাবিনি আমার মেয়ের জীবনে এমন একটি দিন নেমে আসবে।
উল্লেখ্য, গত রোববার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের ৬নং ওয়ার্ডের কাস্টমস মোড়ে তিনজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে এএসআই সৌমেন। পরে তাকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৌমেন পুলিশকে জানায়, তার স্ত্রীর শাকিলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। তাই তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। সৌমেন বর্তমানে খুলনা ফুলতলা থানায় কর্মরত ছিলেন।