শেষের পাতা
এক মাসে সর্বোচ্চ শনাক্ত, চীনের উপহারের ৬ লাখ টিকা ঢাকায়
কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৪ জুন ২০২১, সোমবার, ৯:৩৬ অপরাহ্ন
উপহার হিসেবে চীন সরকারের পাঠানো সিনোফার্মের তৈরি ৬ লাখ টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। রোববার বিকাল ৫টার পর বিমান বাহিনীর দু’টি উড়োজাহাজে করে এই টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস উভয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। চীনা দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় ছয় লাখ উপহারের টিকা বেইজিং এয়ারপোর্টে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দু’টি প্লেন ঢাকার পথে রওনা দেয়। রোববার বিকালে এই টিকা ঢাকায় পৌঁছে। শনিবার টিকা আনার জন্য দুটি বিমান চীন গিয়েছিল। এর আগে গত মাসে বাংলাদেশকে ৫ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দিয়েছিল চীন। রোববার সকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে তিনটি ছবি দিয়ে ঢাকায় চীনা দূতাবাসের উপ-প্রধান হুয়ালং ইয়ান বলেন, উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ আর্মির দুটি সি১৩০জে। ওদিকে শনিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমান বাহিনীর দু’টি সি১৩০জে পরিবহন বিমান চীন থেকে টিকা আনার জন্য রাতে ঢাকা ত্যাগ করবে। এদিকে, গত ২১শে মে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর ফোনালাপ হয়। এ সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে দ্বিতীয় দফায় ছয় লাখ টিকা উপহার দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন। চীনা দূতাবাস থেকে জানানো হয়, করোনা মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে চীন। বাংলাদেশ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে বন্ধু দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। সে কারণে প্রথম দফায় ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেয়ার পর আরও ৬ লাখ টিকা উপহার দেয়া হচ্ছে। ওদিকে একটি সূত্র জানায়, চীনা টিকার সঙ্গে বেশ কিছু মেডিকেল সামগ্রীও ঢাকায় এসেছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে এসব মেডিকেল সামগ্রী উপহার দেয়া হয়েছে।
এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৭ জনের মৃত্যু: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত এক মাসের মধ্যে এটা সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা। এর আগে গত ৯ই মে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ মৃত ৪৭ জনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১৩ হাজার ১১৮ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত দুটোই বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৩৬ জন। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ৮ লাখ ২৬ হাজার ৯২২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৪২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৬ জন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনার নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৪৭৩টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৭৪৯টি নমুনা। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ১১২টি। তার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৪১১টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ লাখ ৭১ হাজার ৭০১টি। দেশে বর্তমানে ৫১২টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে হচ্ছে ১৩২টি পরীক্ষাগারে, জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে ৪৬টি পরীক্ষাগারে এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ৩৩৪টি পরীক্ষাগারে। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন আর নারী ১৫ জন। দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন ৯ হাজার ৪৩৮ জন এবং নারী ৩ হাজার ৬৮০ জন।
মারা যাওয়া ৪৮ জনের মধ্যে ৬০ বছরের উপরে রয়েছেন ২৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন ৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে আছেন ৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে আছেন ৫ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আছেন ১ জন। মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন, রাজশাহী বিভাগের ৬ জন, খুলনা বিভাগের ৮ জন, বরিশাল বিভাগের ১ একজন, রংপুর বিভাগের আছেন ৪ জন এবং সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে আছেন ২ জন করে। এই ৪৭ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪২ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩ জন এবং বাসায় মারা গেছেন ২ জন।
এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৭ জনের মৃত্যু: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত এক মাসের মধ্যে এটা সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা। এর আগে গত ৯ই মে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ মৃত ৪৭ জনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১৩ হাজার ১১৮ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত দুটোই বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৩৬ জন। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ৮ লাখ ২৬ হাজার ৯২২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৪২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৬ জন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনার নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৪৭৩টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৭৪৯টি নমুনা। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ১১২টি। তার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৪১১টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ লাখ ৭১ হাজার ৭০১টি। দেশে বর্তমানে ৫১২টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে হচ্ছে ১৩২টি পরীক্ষাগারে, জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে ৪৬টি পরীক্ষাগারে এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ৩৩৪টি পরীক্ষাগারে। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন আর নারী ১৫ জন। দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন ৯ হাজার ৪৩৮ জন এবং নারী ৩ হাজার ৬৮০ জন।
মারা যাওয়া ৪৮ জনের মধ্যে ৬০ বছরের উপরে রয়েছেন ২৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন ৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে আছেন ৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে আছেন ৫ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আছেন ১ জন। মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন, রাজশাহী বিভাগের ৬ জন, খুলনা বিভাগের ৮ জন, বরিশাল বিভাগের ১ একজন, রংপুর বিভাগের আছেন ৪ জন এবং সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে আছেন ২ জন করে। এই ৪৭ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪২ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩ জন এবং বাসায় মারা গেছেন ২ জন।